Hare to Whatsapp
সরকার প্রশাসনিক প্রতিটি ক্ষেত্রেই ডিজিটাইজেশন ব্যবস্থা চালু করার কাজ দ্রুতগতিতে শুরু করেছে : মুখ্যমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদন
আগরতলা, ডিসেম্বর ৬, : রাজ্য সচিবালয়ের ভিডিও কনফারেন্স হলটিকে সুসজ্জিত ও অত্যাধুনিকভাবে গড়ে তোলা হয়েছে। নতুন করে সাজিয়ে তোলা ভিডিও কনফারেন্স হলটিতে আধুনিক প্রযুক্তিগত ব্যবস্থা রয়েছে। ৫ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডাঃ) মানিক সাহা অত্যাধুনিক ও সুসজ্জিত এই ভিডিও কনফারেন্স হলটির উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনের পর মুখ্যমন্ত্রী অত্যাধুনিক ও সুসজ্জিত এই ভিডিও কনফারেন্স হলে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে রাজ্যের সমস্ত জেলার জেলাশাসকদের সাথে ই-অফিস নিয়ে প্রথম সভা করেন। সে সময় মুখ্যসচিব জে কে সিনহা, তথ্য ও প্রযুক্তি দপ্তরের প্রধান সচিব পুনীত আগরওয়াল, পূর্ত দপ্তরের সচিব অভিষেক সিং প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, দেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ডিজিটাল ইন্ডিয়া গড়ার আহ্বান জানিয়েছেন। এই লক্ষ্যে তিনি অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের উপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন। রাজ্য সরকার প্রধানমন্ত্রীর আহ্বানে সাড়া দিয়ে সরকারের প্রশাসনিক প্রতিটি ক্ষেত্রেই ডিজিটাইজেশন ব্যবস্থা চালু করার কাজ দ্রুতগতিতে শুরু করেছে। ইতিমধ্যেই বিভিন্ন দপ্তরে সরকারি নানা পরিষেবাকে ডিজিটাইজেশন করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্য সরকার প্রশাসনিক কাজ দ্রুতগতিতে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে ইতিমধ্যেই রাজ্যস্তরে ই-অফিস কার্যকর করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে।
মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, এরপর জেলা, মহকুমা ও ব্লক স্তরে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ই-অফিস চালু করার জন্য জেলাশাসকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এটা আনন্দের বিষয় যে অতি অল্প সময়ের মধ্যেই বিভিন্ন জেলা অফিস, মহকুমা শাসক অফিস ও বিডিও অফিসে ই-অফিস কার্যকর করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এজন্য তথ্য ও প্রযুক্তি দপ্তর সহ প্রতিটি দপ্তরের আধিকারিকদের ধন্যবাদ জানান মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্য সরকার ই-অফিস সহ সমস্ত কেন্দ্রীয় প্রকল্প রূপায়ণেই প্ৰশংসনীয় কাজ করছে। রাজ্যে ই-অফিস কার্যকর করার ফলে জনগণ যেমন দ্রুত পরিষেবা পাচ্ছেন তেমনি সময়ের পাশাপাশি অর্থেরও সাশ্রয় হচ্ছে। বর্তমানে রাজ্যে ক্যাবিনেট ও বিধানসভার কাজকর্মও কাগজহীন করা হয়েছে। ফলে জনগণ আরও দ্রুত পরিষেবা পাবেন বলে মুখ্যমন্ত্রী আশা ব্যক্ত করেন।
অনুষ্ঠানে মুখ্যসচিব জে কে সিনহা বলেন, ডিজিটাল পরিষেবা প্রদানে রাজ্য সরকার ভালো কাজ করছে। রাজ্যে সুশাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে প্রতিটি ক্ষেত্রেই ডিজিটাইজেশন ব্যবস্থা চালুর উপর রাজ্য সরকার গুরুত্ব আরোপ করেছে। এরফলে রাজ্যের জনগণ অতিদ্রুত পরিষেবা গ্রহণের সুযোগ পাচ্ছেন। রাজ্য সরকার রাজ্যস্তরে ই- অফিস চালু করার পর জেলাস্তরে, মহকুমাস্তরে এবং ব্লকস্তরেও ই-অফিস চালু করার উদ্যোগ নিয়েছে। ইতিমধ্যে বিভিন্ন জেলা, সহকুমা ও ব্লকস্তরের অফিসে ই-অফিস চালু করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে। আশা করা যায় আগামী কয়েক মাসের মধ্যে রাজ্যের সমস্ত মহকুমা ও বিডিও অফিসেও ই-অফিস চালু হয়ে যাবে। এছাড়াও রাজ্যের ক্যাবিনেট ও বিধানসভার কাজও কাগজহীন করা হয়েছে।