Hare to Whatsapp
খারিফ মরশুমে কৃষকদের কাছ থেকে ন্যূনতম সহায়ক মূল্যে ৪০ হাজার মেট্রিকটন ধান ক্রয় করার লক্ষ্যমাত্রা : খাদ্যমন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী
নিজস্ব প্রতিবেদন
আগরতলা, ডিসেম্বর ৩, : রাজ্য সরকার খারিফ মরশুমে কৃষকদের কাছ থেকে ন্যূনতম সহায়ক মূল্যে ৪০ হাজার মেট্রিকটন ধান ক্রয় করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে। প্রতি কেজি ধান ২১ টাকা ৮৩ পয়সা দরে ক্রয় করা হবে। রাজ্যের ৪৯টি ধান ক্রয় কেন্দ্র থেকে এই ধান ক্রয় করা হবে। আগামী ১১ ডিসেম্বর থেকে ধান ক্রয় করা শুরু হবে। আগামী ৩১ জানুয়ারি, ২০২৪-এর মধ্যে ধান ক্রয় করার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। ২ ডিসেম্বর সচিবালয়ের প্রেস কনফারেন্স হলে কৃষি ও কৃষক কল্যাণ দপ্তর এবং খাদ্য, জনসংভরণ ও ক্রেতাস্বার্থ বিষয়ক দপ্তর আয়োজিত যৌথ সাংবাদিক সম্মেলনে খাদ্যমন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী এ সংবাদ জানান। সাংবাদিক সম্মেলনে কৃষিমন্ত্রী রতনলাল নাথ উপস্থিত ছিলেন। সাংবাদিক সম্মেলনে খাদ্যমন্ত্রী জানান, আগামী ১১ ডিসেম্বর সিপাহীজলা জেলার মেলাঘরের একটি ধান ক্রয় কেন্দ্র থেকে কৃষকদের কাছ থেকে ন্যূনতম সহায়ক মূল্যে ধান ক্রয়ের সূচনা হবে। এই বিষয়ে কৃষিমন্ত্রী রতনলাল নাথের সভাপতিত্বে আজ রাজ্যের বিভিন্ন মহকুমার মহকুমাশাসক, ৮টি জেলার কৃষি আধিকারিক সহ খাদ্য দপ্তরের বিভিন্ন স্তরের আধিকারিকদের সাথে ভার্চুয়াল সভা অনুষ্ঠিত হয়। সাংবাদিক সম্মেলনে খাদ্যমন্ত্রী জানান, ২০১৮ সালে রাজ্যে বর্তমান সরকার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে বছরে ২ বার করে ধান ক্রয় করা হচ্ছে। সেই ধারাবাহিকতা বজায় রেখে রাজ্য সরকার রাজ্যের কৃষকদের কাছ থেকে এবারের খারিফ মরশুমে ৪০ হাজার মেট্রিকটন ধান ক্রয় করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
সাংবাদিক সম্মেলনে কৃষিমন্ত্রী রতনলাল নাথ জানান, রাজ্যের কৃষকদের আয় দ্বিগুণ করার লক্ষ্যে ২০১৮ সাল থেকে রাজ্য সরকার কৃষকদের কাছ থেকে ন্যূনতম সহায়ক মূল্যে ধান ক্রয় করা শুরু করে। কৃষকদের কৃষি কাজে উৎসাহিত করার পাশাপাশি তারা যেন উৎপাদিত ফসলের নায্য মূল্য পান সেজন্য এই উদ্যোগ নেওয়া হয়। তিনি তথ্য দিয়ে জানান, ২০১৮-১৯ সাল থেকে ২০২২-২৩ সাল পর্যন্ত রাজ্যের ৯১ হাজার ৩৭৭ জন কৃষকের কাছ থেকে ন্যূনতম সহায়ক মূল্যে ১ লক্ষ ৭৯ হাজার ২১৯ মেট্রিকটন ধান ক্রয় করা হয়েছে। এর ফলে কৃষকরা ৩৪২ কোটি ৩৪ লক্ষ টাকা পেয়েছেন। কৃষকদের সুবিধার্থে ২০১৮-১৯ সাল থেকে নূন্যতম সহায়ক মূল্যের তুলনামুলক বৃদ্ধির তথ্য তুলে ধরে কৃষি মন্ত্রী জানান, ২০১৮-১৯ সালে প্রতি কেজি ধানের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য ছিল ১৭ টাকা ৫০ পয়সা, ২০১৯-২০ সালে ১৮ টাকা ১৫ পয়সা, ২০২০-২১ সালে ১৮ টাকা ৬৮ পয়সা, ২০২১-২২ সালে ১৯ টাকা ৪০ পয়সা, ২০২২-২৩ সালে ২০ টাকা ৪০ পয়সা এবং এখন ২১ টাকা ৮৩ পয়সা। তিনি গতকাল উত্তর পূর্বাঞ্চল রাজ্যগুলির জন্য আইসিএআর আয়োজিত ভার্চুয়াল সম্মেলনে কৃষির উন্নতি সংক্রান্ত আলোচনার বিষয়বস্তু এবং উত্তর পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলির ধানের চাহিদার সাথে উৎপাদনের পার্থক্যের তথ্য তুলে ধরেন। খাদ্যে স্বয়ম্ভরতা ও কৃষকদের আয় দ্বিগুণ করার লক্ষ্যে রাজ্য সরকার ক্রমাগত এগিয়ে যাচ্ছে বলে কৃষিমন্ত্রী উল্লেখ করেন।
সাংবাদিক সম্মেলনে খাদ্য, জনসংভরণ ও ক্রেতাস্বার্থ বিষয়ক দপ্তরের বিশেষ সচিব রাভাল হেমেন্দ্ৰ কুমার, কৃষি ও কৃষক কল্যাণ দপ্তরের অধিকর্তা শরদিন্দু দাস, খাদ্য জনসংভরণ ও ক্রেতাস্বার্থ বিষয়ক দপ্তরের অতিরিক্ত অধিকর্তা অনিমেষ দেববর্মা উপস্থিত ছিলেন।