Hare to Whatsapp
সরকারের অন্যতম লক্ষ্য সমাজের অন্তিম ব্যক্তি পর্যন্ত সমস্ত সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পৌঁছে দেওয়া : মুখ্যমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদন
আগরতলা, ডিসেম্বর ১, : সরকারের অন্যতম লক্ষ্য সমাজের অন্তিম ব্যক্তি পর্যন্ত সমস্ত সরকারি প্রকল্প ও পরিষেবার সুবিধা পৌছে দেওয়া। এই লক্ষ্যেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দেশব্যাপী বিকশিত ভারত সংকল্প যাত্রার সূচনা করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর মার্গ দর্শনে এক ভারত শ্রেষ্ঠ ভারত এবং এক ত্রিপুরা শ্রেষ্ঠ ত্রিপুরা গড়ার লক্ষ্যে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার কাজ করছে। এরফলে দেশ ও আমাদের রাজ্য অগ্রগতির দিকে এগিয়ে চলেছে। ৩০ নভেম্বর আগরতলার এমবিবি চৌমুহনিতে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডাঃ) মানিক সাহা বিকশিত ভারত সংকল্প যাত্রার ভ্রাম্যমান প্রচার গাড়ির আনুষ্ঠানিক যাত্রার সূচনা করে একথা বলেন। অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, উন্নয়নের সাথে জড়িয়ে আছে দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নাম। প্রধানমন্ত্রী হলেন উন্নয়নের নিশ্চয়তা।
অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, গত ১৫ নভেম্বর জনজাতীয় গৌরব দিবসে দেশজুড়ে কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পগুলির সুবিধা জনগণের কাছে পৌছে দেওয়ার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বিকশিত ভারত সংকল্প যাত্রার সূচনা করেছিলেন। এই সংকল্প যাত্রার মূল উদ্দেশ্য হলো কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প ও পরিষেবাসমূহ জনগণের ঘরে ঘরে পৌঁছে দেওয়া। জনগণের জন্য আবাস, খাদ্য নিরাপত্তা, সঠিক পুষ্টি, নির্ভরযোগ্য স্বাস্থ্য পরিষেবা, বিশুদ্ধ পানীয়জল, গুণগত শিক্ষার মতো মৌলিক সুযোগ সুবিধা প্রদানের লক্ষ্যে সরকার বিভিন্ন জনকল্যাণমুখী প্রকল্প চালু করেছে। সরকারি প্রকল্প ও ১০০ শতাংশ রূপায়ণ করা এই সংকল্প যাত্রার মুখ্য উদ্দেশ্যে। এই সংকল্প যাত্রা আগামী ২৬ জানুয়ারি, ২০২৪ পর্যন্ত চলবে।
অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, গত ১৫ নভেম্বর থেকে রাজ্যে বিকশিত ভারত সংকল্প যাত্রার সাথে প্রতি ঘরে সুশাসন ২.০ অভিযানও শুরু হয়েছে। বিকশিত ভারত সংকল্প যাত্রায় এখন পর্যন্ত ৩টি ভ্রাম্যমান প্রচার গাড়ি এসেছে। এই প্রচার গাড়ি রাজ্যের সমস্ত গ্রাম, নগর ও শহর এলাকার জনগণের কাছে কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন ফ্ল্যাগশিপ প্রকল্প সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে প্রচার অভিযান চালাবে। পাশাপাশি জনজাতি অধ্যুষিত এলাকাগুলিতে সিকেল সেল অ্যানিমিয়া দূরীকরণ অভিযান, একলব্য মডেল রেসিডেন্সিয়াল স্কুল, বনাধিকার, বনধন বিকাশ কেন্দ্র বিষয়েও জনসচেতনতামূলক কর্মসূচির আয়োজন করা হবে। সবার সম্মিলিত উদ্যোগে এই সংকল্প যাত্রা সফলভাবে বাস্তবায়িত হবে বলে মুখ্যমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আগরতলা পুরনিগমের মেয়র দীপক মজুমদার, জোনাল চেয়ারম্যান কর্পোরেটর রত্না দত্ত, মুখ্যমন্ত্রীর সচিব ড. প্রদীপ কুমার চক্রবর্তী, বিশিষ্ট সমাজসেবী সঞ্জয় সাহা। স্বাগত বক্তব্য রাখেন আগরতলা পুরনিগমের কমিশনার ড. শৈলেশ কুমার যাদব। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের সুবিধাভোগীরা তাদের অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেন। অনুষ্ঠানে বিকশিত ভারত সংকল্প যাত্রা উপলক্ষ্যে একটি শপথ গ্রহণ করা হয়। মুখ্যমন্ত্রীর সচিব ড. প্রদীপ কুমার চক্রবর্তী উপস্থিত সবাইকে শপথ বাক্য পাঠ করান।