Hare to Whatsapp
সচিবালয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সভাপতিত্বে বৈঠক
নিজস্ব প্রতিবেদন
আগরতলা, নভেম্বর ৩০, : রাজ্যে আগামী ১১ ডিসেম্বর প্রথমবারের মত অনুষ্ঠিত হতে চলছে ভারতীয় ভাষা দিবস। এদিন আগরতলার রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনে রাজ্যভিত্তিক ভারতীয় ভাষা দিবস উদযাপন করা হবে। এউপলক্ষ্যে ২৯ নভেম্বর সচিবালয়ের ২ নং সভাকক্ষে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডাঃ) মানিক সাহার সভাপতিত্বে এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সভায় মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডাঃ) মানিক সাহা এই দিনটির গুরুত্ব অনুধাবন করে টক-শো এবং প্রচারের আলোয় নিয়ে যাওয়ার উপর গুরুত্বারোপ করেন। এই প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, বহুভাষিকতাকে শক্তিশালী করতে ছাত্রছাত্রীদের নিজ ভাষার পাশাপাশি অন্যের ভাষার প্রতিও জ্ঞান আহরণ করা প্রয়োজন। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রীর সচিব ড. পি কে চক্রবর্তী, শিক্ষা দপ্তরের বিশেষ সচিব রাভেল হেমেন্দ্র কুমার, উচ্চ শিক্ষা দপ্তরের অধিকর্তা এন সি শর্মা, তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের অধিকর্তা বিম্বিসার ভট্টাচার্য, বুনিয়াদি শিক্ষা দপ্তরের অধিকর্তা সুভাশিষ বন্দ্যোপাধ্যায় সহ শিক্ষা দপ্তরের অন্যান্য আধিকারিক এবং বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকাগণ।
সভায় শিক্ষা দপ্তরের বিশেষ সচিব রাভেল হেমেন্দ্র কুমার রাজ্যভিত্তিক ‘ভারতীয় ভাষা দিবস' উদযাপন নিয়ে বিস্তৃত আলোচনা করেন। তিনি বলেন, ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে মাতৃভাষা আয়ত্ত করার পাশাপাশি সংবিধান স্বীকৃত ২২টি ভাষার প্রতি ভালোবাসা ও দক্ষতা বিকাশের জন্যই ভারতীয় ভাষা দিবস উদযাপন করা হবে। আগামী ১১ ডিসেম্বর তামিল কবি সি. সুব্রামনিয়াম ভারতী’র জন্ম দিবস। তিনি তামিল কবিতার একজন অগ্রনী কবি ছিলেন। তিনি কবিতা ও গানের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতা আন্দোলনের সময় দেশপ্রেম জাগ্রত করেছিলেন। তাই এই দিনটিকে ভারতীয় ভাষা দিবস হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে। তিনি আরও জানান, ইতিমধ্যেই রাজ্যব্যাপী এই বিষয়ে গত ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে রাজ্যের বিভিন্ন বিদ্যালয়গুলিতে ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে বিভিন্ন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এখন পর্যন্ত ৮টি থিমের উপর রাজ্যের ৬৩৩ টি বিদ্যালয়ে ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে প্রতিযোগিতা আয়োজন করা হয়েছে। ‘বহুভাষাবাদ হল ভারতের বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্যের মূল ভিত্তি’- এই বিষয়ের উপর অনলাইনে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণী ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে প্রবন্ধ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। আগামী ১১ ডিসেম্বর রাজ্যভিত্তিক ভারতীয় ভাষা দিবস উদযাপন অনুষ্ঠানে ৫ জন সেরা প্রবন্ধ লেখককে পুরস্কৃত করা হবে। এছাড়াও আগরতলার বিভিন্ন বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন।