Hare to Whatsapp
এমজিএন রেগায় দেশের মধ্যে ত্রিপুরা দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেছে : বিদ্যুৎ ও কৃষিমন্ত্রী রতনলাল নাথ
নিজস্ব প্রতিবেদন
আগরতলা, ২৫ , : এমজিএন রেগায় চলতি অর্থবছরে দেশের মধ্যে ত্রিপুরা দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেছে। সারা দেশের মধ্যে ত্রিপুরা গড়ে ৫১.৩৭ দিনের কাজ করে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেছে। ২৪ নভেম্বর সচিবালয়ের প্রেস কনফারেন্স হলে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে বিদ্যুৎ ও কৃষিমন্ত্রী রতনলাল নাথ এই সংবাদ জানান। সাংবাদিক সম্মেলনে বিদ্যুৎমন্ত্রী জানান ৫৩.৪৪ দিনের কাজ করে প্রথম স্থানে রয়েছে মিজোরাম। রাজ্যে এখন পর্যন্ত ২ কোটি ৯৪ লক্ষ ১৬ হাজার ৩১২ দিনের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। হাতে আরও ৮১ লক্ষ শ্রমদিবসের কাজ রয়েছে। সাংবাদিক সম্মেলনে বিদ্যুৎমন্ত্রী জানান, যদি জানুয়ারি মাসের মধ্যে এই ৮১ লক্ষ শ্রমদিবস শেষ করা যায় তবে আরও কাজ হাতে পাওয়া যাবে। তিনি জানান, ৫১.৩৭ দিনের কাজের মধ্যে জনজাতি অংশের মানুষ সবচেয়ে বেশি কাজ পেয়েছে। শতাংশের নিরিখে ৫৯.৪৭ শতাংশ। ধলাই জেলায় জনজাতি অংশের মানুষ কাজে পেয়েছে গড়ে ৭১.৪১ দিবস, গোমতী জেলায় ৫৯.৮১ দিবস, খোয়াই জেলায় ৬৭.০৮ দিবস, উত্তর ত্রিপুরা জেলায় ৫৯.৭৫ দিবস, সিপাহীজলা জেলায় ৫২.৫৪ দিবস, দক্ষিণ ত্রিপুরা জেলায় ৪৮.০৮ দিবস, ঊনকোটি জেলায় ৬৪.০৮ দিবস এবং পশ্চিম ত্রিপুরা জেলায় ৪৩.৮৭ দিবস। তিনি জানান, ২০১৮-১৯ থেকে 2023-24 পর্যন্ত সারা রাজ্য মিলিয়ে এমজিএন রেগার মাধ্যমে ৫ লক্ষ ২২ হাজার ৫৩৩টি সম্পদ তৈরী করা হয়েছে। এর মধ্যে রাস্তা তৈরী থেকে শুরু করে কালভার্ট নির্মাণ, পুকুর খনন ইত্যাদি রয়েছে। তিনি জানান, ২০১৭-১৮ সালে সারা রাজ্যে গড়ে বছরে কাজ হয়েছে এমজিএন রেগায় ৪৬ দিন। ২০১৮-১৯ এ হয়েছে ৫১ দিন, ২০১৯-২০ এ হয়েছে ৬১ দিন, ২০২০-২১ এ হয়েছে ৭৫ দিন, 2021-22 এ হয়েছে ৭২ দিন, ২০২২-২৩ এ হয়েছে ৬০ দিন এবং 2023-24 এ এখন পর্যন্ত হয়েছে ৫১ দিন।
সাংবাদিক সম্মেলনে বিদ্যুৎমন্ত্রী আরও জানান, ২০১৭-১৮ সালে এমজিএন রেগা প্রকল্পে রাজ্যে ১৪৪ কোটি ৯১ লক্ষ টাকা পেয়েছিল। ২০১৮-১৯ এ এই প্রকল্পে টাকা আসে ৮৭৯ কোটি ৫৫ লক্ষ টাকা। ২০১৯-২০তে আসে ৮১৪ কোটি ৩ লক্ষ, ২০২০-২১ এ আসে ১২৪৩ কোটি ৪৮ লক্ষ, ২০২১-২২ এ ১০৫১ কোটি ৬৯ লক্ষ, ২০২২-২৩ এ আসে ৯৯৬ কোটি ২ লক্ষ এবং ২০২৩-২৪ এ আসে ৮৪৯ কোটি ৪৫ লক্ষ টাকা। তিনি জানান, মোট জব কার্ড ইস্যু করা হয়েছে ৬ লক্ষ ৭২ হাজার ৪৪৬টি। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে কাজ পেয়েছে ৫ লক্ষ ৭২ হাজার ৫৯১ জন। বিদ্যুৎ মন্ত্রী আরও জানান, ২০১৮-১৯ থেকে এখন পর্যন্ত এমজিএন রেগার মাধ্যমে ৩ হাজার ৯৭৯ কোটি ৬৭ লক্ষ টাকা মানুষের কাছে পৌঁছেছে। তিনি জানান, এমজিএন রেগায় প্রতিদিনের মজুরিও অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে দিনপ্রতি ২২৬ টাকা প্রদান করা হয়ে থাকে।
সাংবাদিক সম্মেলনে বিদ্যুৎমন্ত্রী জানান, বর্তমান সরকার আসার আগে রাজ্যে স্বসহায়ক দলের সংখ্যা ছিল ১৯ হাজার। এখন তা বেড়ে হয়েছে ৫১ হাজার ২৫৪টি। এর মধ্যে সদস্য-সদস্যা রয়েছে ৪ লক্ষ ৬৬ হাজার ৮৫৩ জন। এই সরকারের সময় এই পাঁচ বছরে ৫০৪ কোটি টাকা স্বসহায়ক দলগুলিকে প্রদান করা হয়েছে। ১ হাজার ১১৩ কোটি টাকা ব্যাঙ্কের মাধ্যমে ঋণ দেওয়া হয়েছে। এই স্বসহায়ক দলগুলি থেকে এখন পর্যন্ত ৮৩ হাজার ৪২৪ জন লাখপতি দিদি তৈরী হয়েছে। গ্রামাঞ্চলে তিন শতাংশ বাড়িতে পাইপ লাইনের মাধ্যমে জল সংযোগ প্রদান করা হয়েছিল। এই সরকারের সময় ৭১.৭৬ শতাংশ বাড়িতে পাইপ লাইনের মাধ্যমে জল দেওয়া হয়েছে। আগে জাতীয় সড়ক ছিল ৯৯ কিমি। বর্তমানে জাতীয় সড়ক রয়েছে ৪৬১ কিমি। এছাড়াও বিদ্যুৎ মন্ত্রী সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মসূচি যেমন পিএম কিষাণ প্রকল্প, কিষাণ ক্রেডিট কার্ডের ঋণ প্রদান ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয়ের উপর আলোকপাত করেন।