Hare to Whatsapp
ভারত আজ যোগব্যায়ামের ক্ষেত্রে বিশ্বকে পথ দেখাচ্ছে : মুখ্যমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদন
আগরতলা, নভেম্বর ২৪, : যোগাভ্যাস ছাড়া কোন মানুষ পূর্ণাঙ্গ হতে পারেনা। যোগা আমাদের শরীর, মন ও আত্মাকে সংহত করে। ভারত আজ যোগব্যায়ামের ক্ষেত্রে বিশ্বকে পথ দেখাচ্ছে। ২৩ নভেম্বর এনএসআরসিসি-তে ৬৭তম জাতীয় স্কুল অনুর্ধ্ব ১৭ বালক-বালিকাদের যোগাসন প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা একথা বলেন। পাচদিনব্যাপী এই প্রতিযোগিতা চলবে আগামী ২৭ নভেম্বর পর্যন্ত। দেশের ২৭টি রাজ্যের প্রতিযোগীরা এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছেন।
অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, একটি সুস্থ শরীরেই সুস্থ মনের বিকাশ ঘটে। আমরা জানি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আহ্বানে সাড়া দিয়ে রাষ্ট্র সংঘ ২১ জুন দিনটি আন্তর্জাতিক যোগা দিবস হিসেবে ঘোষণা করেছে। এর পর থেকেই বিশ্বব্যাপী যোগাভ্যাস করা শুরু হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, নিজেকে জানতে হবে। নিজেকে নিজে না জানলে কোন ব্যক্তি সমাজের জন্য গরীব অংশের মানুষের জন্য কাজ করতে পারেনা। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বিশ্বের প্রায় সব দেশ যোগার গুরুত্ব অনুধাবন করেছে। এই কৃতিত্ব প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। তিনি বলেন, আমি খুবই খুশি হয়েছি দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছেলে মেয়েরা এই প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণ করতে আসায়। আমি নিশ্চিত তারা তাদের প্রতিভা তুলে ধরতে সক্ষম হবে।
অনুষ্ঠানে ক্রীড়ামন্ত্রী টিঙ্কু রায় বলেন, ভারত আজ সমস্ত ক্ষেত্রে অগ্রগতির দিকে এগিয়ে চলছে। ক্রীড়া ক্ষেত্রে ভারত বিশ্বব্যাপী সমাদৃত। ত্রিপুরা রাজ্য থেকে উঠে আসা অনেক ক্রীড়াবিদ আজ জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক স্তরে সুনাম অর্জন করেছেন। এই প্রসঙ্গে তিনি দীপা কর্মকার, সোমদেব দেববর্মণ, আর্শিয়া দাস প্রমুখ ক্রীড়াবিদদের কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, আজকের যুব ক্রীড়াবিদরাই আগামীতে দেশের নাম উজ্জ্বল করবে।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে ক্রীড়া দপ্তরের সচিব ড. প্রদীপ কুমার চক্রবর্তী বলেন, যোগ ব্যায়ামের মাধ্যমে শরীর ও মানসিকতার বিকাশ ঘটে। পাশাপাশি ব্যক্তিত্বের উন্নতিসাধন হয়। সুস্থ দেহেই সুস্থ মানসিকতার জন্ম হয়। এতে সমাজের উপরও প্রভাব বিস্তার করে এবং সুস্থ সমাজ গড়ে উঠতে সাহায্য করে। তিনি ছাত্রছাত্রীদের ভবিষ্যতের সফলতা কামনা করেন।
অনুষ্ঠানে এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ত্রিপুরা ক্রীড়া পর্ষদের সচিব সুকান্ত ঘোষ, পদ্মশ্রী দীপা কর্মকার, জাতীয় ফেডারেশনের পক্ষে পর্যবেক্ষক দীনেশ সিং। ধন্যবাদসূচক বক্তব্য রাখেন ক্রীড়া ও যুব বিষয়ক দপ্তরের অধিকর্তা সত্যব্রত নাথ। উল্লেখ্য, অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা ৬৭তম জাতীয় স্কুল ক্রীড়ার একটি স্মরণিকার আবরণ উন্মোচন করেন।