Hare to Whatsapp
আমাদের দেশের ঐতিহ্যগত পরম্পরা হচ্ছে বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্য : মুখ্যমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদন
আগরতলা, নভেম্বর ২৪, : আমাদের দেশের ঐতিহ্যগত পরম্পরা হচ্ছে বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্য। যুব বিকাশ কেন্দ্র দেশের এই পরম্পরাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। যা অবশ্যই প্রশংসার দাবি রাখে। ২৩ নভেম্বর স্বামী বিবেকানন্দ ময়দানে যুব বিকাশ কেন্দ্রের উদ্যোগে আয়োজিত ৭দিনব্যাপী হেরিটেজ উৎসবের উদ্বোধন করে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা একথা বলেন। অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশের প্রায় ৬৫ শতাংশ হচ্ছে যুবশক্তি। এই যুবশক্তিকেই প্রধানমন্ত্রী দেশের মূলশক্তি হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। যুব বিকাশ কেন্দ্র দেশের যুবাদের মধ্যে সংস্কৃতিগত পরম্পরা জাগ্রত করার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। এই ধরনের অনুষ্ঠান দেশের বিভিন্ন রাজ্যের পাশাপাশি আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশের সাথে এক সাংস্কৃতিক মেলবন্ধন তৈরি করবে।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ভারতবর্ষ একটি ঐতিহ্যবাহী দেশ। এদেশের সংস্কৃতিগত পরম্পরা সারা বিশ্বেই প্রশংসিত। এবছর আমাদের দেশে এক পৃথিবী এক পরিবার এক ভবিষ্যৎ এই ভাবনা নিয়েই জি-২০ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর মার্গদর্শনেই করোনা অতিমারীর সময় দেশীয় প্রযুক্তিতে ভ্যাকসিন তৈরি করেন চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্যেও জাতি জনজাতির ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতির পরম্পরা বজায় রয়েছে। এই পরম্পরাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে যুবশক্তিকেই এগিয়ে আসতে হবে। সরকার সব সময় পাশে থেকে সহযোগিতা প্রদান করে যাবে।
অনুষ্ঠানে যুব বিষয়ক ও ক্রীড়া দপ্তরের মন্ত্রী টিংকু রায় বলেন, দেশের প্রধানমন্ত্রী নবভারত ও যুব ভারত দেখতে চান। প্রধানমন্ত্রী প্রায়শই বলে থাকেন যে যুবশক্তি হচ্ছে দেশের মূল্যবান সম্পদ। এই যুবশক্তিকে দেশের উন্নয়নে কাজে লাগাতে হবে। তিনি বলেন, বর্তমানে দেশে বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, যোগাযোগের উন্নয়নে যুবশক্তি বড় ভূমিকা গ্রহণ করছে।
অনুষ্ঠানে স্বাগত ভাষণে যুব বিকাশ কেন্দ্রের সভাপতি দেবাশিস মজুমদার বলেন, গত বছরও সফলতার সঙ্গে ত্রিপুরায় হেরিটেজ উৎসবের আয়োজন করা হয়েছিল। এবছর হেরিটেজ উৎসবে দেশের ২৪টি রাজ্যের যুবারা সহ বাংলাদেশ, ভুটান, ইন্দোনেশিয়া এবং নেপালের যুব প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেছেন। সাতদিনব্যাপী এই উৎসবে তারা তাদের নিজস্ব সংস্কৃতি প্রদর্শন করবেন। অনুষ্ঠানে এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন আগরতলা পুরনিগমের মেয়র দীপক মজুমদার, নাবার্ডের জেনারেল ম্যানেজার লোকেন দাস, রাজ্যের সাংস্কৃতিক উপদেষ্টা কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান সুব্রত চক্রবর্তী প্রমুখ।