Hare to Whatsapp
রাজ্যে কোভিড-১৯ সংক্রান্ত সরঞ্জামের কোনো ঘাটতি নেইঃ মুখ্যমন্ত্রী
By Our Correspondent
আগরতলা, এপ্রিল ৯, : রাজ্যে স্বাস্থ্যপরিসেবার যাবতীয় সরঞ্জাম মজুত রয়েছে। কোভিড-১৯ সংক্রান্ত চিকিৎসা ক্ষেত্রেও কোন ধরনের অভাব নেই। জিবি হাসপাতালেও যাবতীয় সরঞ্জামের মজুত রয়েছে। আজ জিবি হাসপাতালে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বৈঠক শেষে একথা জানালেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব।
এদিন বৈঠক থেকেই রাজ্যের একমাত্র করোনা আক্রান্ত রোগীর সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। পরে তিনি সাংবাদিকদের জানান, রোগিণী বর্তমান সময়ে ভালো রয়েছেন। তিনি ক্রমশ সুস্থ হয়ে উঠছেন।
হাসপাতালে সরঞ্জাম নেই বলে গতকাল কতিপয় নার্স যেভাবে বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে, সেক্ষেত্রেও ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন 'কিছু নার্স যেভাবে বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে, তার জন্য সরকার কড়া পদক্ষেপ নেবে। হাসপাতালে একটা ব্যবস্থা রয়েছে। সচিব বা তার উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হবে।' তিনি বলেন, সরকারের একটা নির্দিষ্ট নিয়ম রয়েছে। কাদের পিপিই পরতে হবে, তা দেখার জন্য ব্যবস্থা রয়েছে। শ্রী দেব বলেন জিবিতে পর্যাপ্ত পরিমাণে পিপিই, গ্লাভস, মাস্ক, স্যানিটাইজার ইত্যাদি রয়েছে। এ সম্পর্কে মিডিয়াকে বলে মানুষকে বিভ্রান্ত ও আতঙ্কিত করার যে প্রচেষ্টা করা হয়েছে, তার সমালোচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন এর বিরুদ্ধে সরকার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
মুখ্যমন্ত্রী এদিন পুনরায় আপিল করেন, স্বাস্থ্যপরিসেবা সহ জরুরী বিভিন্ন পরিষেবা প্রদানে যারা নিয়োজিত রয়েছেন, তাদের যেন কেউ অবহেলার দৃষ্টিতে না দেখে। তিনি বলেন 'তারা আপনাদের সেবায় নিয়োজিত রয়েছেন। নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছেন। যদি কোনো অভিযোগ আসে, তবে সরকার কড়া ব্যবস্থা নেবে। বর্তমান সময়ে এপিডেমিক ডিজিজ অ্যাক্ট এবং ১৪৪ ধারা লাগু রয়েছে'। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্যবাসীর কর্তব্য এই জরুরী পরিষেবা প্রদানে যারা নিয়োজিত রয়েছে তাদের উৎসাহিত করে সাহায্য করা।
তিনি বারবার উল্লেখ করেন, জিবি হাসপাতালে বর্তমানে কোন ধরনের অভাব নেই। ডাক্তাররাও সবাই রয়েছেন। ভারত সরকারের নীতি অনুযায়ী যে ব্যবস্থা, তার সবটাই রাজ্যে রয়েছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন যে দ্বিতীয় রোগী যেন রাজ্যে না পাওয়া যায়। জেলা ভিত্তিক নমুনা সংগ্রহের ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলেও তিনি জানান।
জিবি হাসপাতলে ১০৮ জন সুলভ কর্মী বর্তমান সময়ের কাজ করছে। মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব বলেন, একটি চক্র সমস্যা তৈরি করার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু বর্তমান সময়ে কোন ধরনের সমস্যা নেই। মুখ্যমন্ত্রী উল্লেখ করেন কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে স্বাস্থ্যপরিসেবার সঙ্গে যুক্ত ২২ লক্ষ কর্মচারীর বীমার আওতাভুক্ত করা হয়েছে। এছাড়া রাজ্য সরকার ঘোষণা করেছে যে কেউ যদি কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়ে মারা যায়, তবে সেই পরিবারকে চার লক্ষ টাকা দিয়ে সাহায্য করা হবে।
ভারতীয় রেল ত্রিপুরায় একটি আইসোলেশন সেন্টার খোলার জন্য, রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েলকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
জিবি হাসপাতালের পরে, বৃহস্পতিবার আইজিএম হাসপাতালে নির্মীয়মাণ আইসোলেশন সেন্টার ঘুরে দেখেন মুখ্যমন্ত্রী। গোটা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখার পর, তিনি বলেন সরকারের পক্ষ থেকে যাবতীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তিনি আশা ব্যক্ত করেন যে রাজ্যে কোভিড-১৯ মোকাবেলায় ত্রিপুরা জয়ী হবেই।