Hare to Whatsapp
নির্মাণ কাজে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারে বিশেষভাবে গুরুত্ব দিতে হবে : মুখ্যমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদন
আগরতলা, নভেম্বর ৫, : উন্নয়ন কর্মসূচি রূপায়ণে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের উপর বিশেষভাবে গুরুত্ব দিতে হবে। রাজ্যে বর্তমানে চলমান প্রকল্পগুলির কাজ আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে, গুণমান বজায় রেখে নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে দ্রুততার সাথে সম্পন্ন করতে হবে। এরজন্য প্রয়োজনীয় যা যা ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন তা দ্রুত সম্পন্ন করতে হবে। ৪ নভেম্বর সচিবালয়ের ২নং সভাকক্ষে আগরতলা-এয়ারপোর্ট সড়ক, ইউনিটি মল ও গুর্খাবস্তিতে বহুতলবিশিষ্ট প্রশাসনিক ভবন নির্মাণ প্রকল্পের বর্তমান পরিস্থিতি ও অগ্রগতি নিয়ে এক পর্যালোচনা সভায় মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসের (ডাঃ) মানিক সাহা একথা বলেন। সভায় এই প্রকল্পগুলির পর্যালোচনা করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, প্রকল্পগুলির নির্মাণ কাজে নিয়মিত পর্যবেক্ষন ও নজরদারি রাখতে হবে।
পর্যালোচনা সভায় মুখ্যসচিব জে কে সিনহা আমতলী বাইপাস সংলগ্ন এলাকায় আধুনিক সুবিধাযুক্ত ইউনিটি মল ও গুর্খাবস্তিতে বহুতলবিশিষ্ট প্রশাসনিক ভবন নির্মাণে প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট ধারণাকে প্রয়োগ করার পরামর্শ দেন। এতে সংশ্লিষ্টদের মধ্যে দায়বদ্ধতা বাড়বে। সভায় আগরতলা-এয়ারপোর্ট সড়ক, ইউনিটি মল ও বহুতল বিশিষ্ট প্রশাসনিক ভবন নির্মাণ প্রকল্পের বর্তমান অবস্থা এবং প্রকল্প রূপায়ণে গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। আগরতলা স্মার্টসিটি লিমিটেডের সিইও ডা. শৈলেশ কুমার যাদব এয়ারপোর্ট রোড ও ইউনিটি মল নির্মান প্রকল্পের বর্তমান কাজের অবস্থা এবং অগ্রগতি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন। তিনি জানান, এয়ারপোর্ট রোড নির্মান ও প্রশস্তিকরণে ৫.৩৭ কিলোমিটার দীর্ঘ রাস্তার কাজ শুরু হয়েছে। এবছরের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে আগরতলা-এয়ারপোর্ট সড়কের ব্ল্যাকটপের কাজ সম্পূর্ণ করার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। তাছাড়াও ২০২৪ সালের মার্চ মাসের মধ্যে এই সড়কে ডিভাইডার বসানো ও জুলাই মাসের মধ্যে আরসিসি ব্রিজ নির্মাণের কাজ সম্পূর্ণ করার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে।
পর্যালোচনা সভায় আগরতলা স্মার্টসিটি লিমিটেডের সিইও ডা. যাদব আরও জানান, আমতলী বাইপাস সংলগ্ন এলাকায় ৪.১৮ একর জমিতে ইউনিটি মল নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আগরতলা স্মার্টসিটি লিমিটেড এই মলটি নির্মাণের দায়িত্বে থাকবে। ইতিমধ্যেই শিল্প ও বাণিজ্য দপ্তর থেকে প্রশাসনিক অনুমোদন পাওয়া গেছে। জি+৩ বিশিষ্ট ইউনিটি মল নির্মানের কাজ ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসে শুরু করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। দু'বছরের মধ্যে মলটির নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
আগরতলার গুর্খাবস্তিস্থিত বহুতল বিশিষ্ট প্রশাসনিক ভবন নির্মাণের বর্তমান অবস্থা নিয়ে পূর্ত দপ্তরের চিফ ইঞ্জিনিয়ার (আর এন্ড বি) রাজীব দেববর্মা জানান, গ্রীণ বিল্ডিং নিয়ম মেনে এই বহুতল ভবনটি নির্মাণ করা হবে। পর্যালোচনা সভায় মুখ্যমন্ত্রী পূর্ত দপ্তরের বিভিন্ন কাজের পর্যালোচনা করেন। সভায় মুখ্যমন্ত্রী বলেন, পূর্ত দপ্তরের কাজে ই-টেন্ডারিং হওয়া সত্বেও অনেক সময় টেন্ডার রফা নিয়ে বিভিন্ন সমস্যা দেখা যায়। অনাকাঙ্ক্ষিত এসব বিষয় কোনোভাবেই কাম্য নয়। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্য সরকার আইন বিরুদ্ধ কার্যকলাপের বিরুদ্ধে আপোসহীন নীতি গ্রহণ করেছে। বিভিন্ন প্রকল্প রূপায়ণে কোন প্রকার বেআইনি কার্যকলাপ দেখা দিলে সরকার যথাযথ ব্যবস্থা নেবে। সভায় মুখ্যমন্ত্রীর সচিব ড. প্রদীপ কুমার চক্রবর্তী, পূর্ত দপ্তরের সচিব অভিষেক সিং, পশ্চিম ত্রিপুরা জেলার জেলাশাসক ও সমাহর্তা ড. বিশাল কুমার, মুখ্যমন্ত্রীর ওএসডি পরমানন্দ সরকার ব্যানার্জী সহ অন্যান্য উচ্চপদস্থ আধিকারিকগণ উপস্থিত ছিলেন।