Hare to Whatsapp
রাজ্যের ঐতিহ্যবাহী কৃষ্টি-সংস্কৃতি জাতি ও জনজাতিদের মধ্যে সুদৃঢ় মেলবন্ধন গড়ে তুলতে সহায়ক ভূমিকা নিয়েছে : মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা
নিজস্ব প্রতিবেদন
আগরতলা, অক্টোম্বর ২৭, : রাজ্যের ঐতিহ্যবাহী কৃষ্টি-সংস্কৃতি জাতি ও জনজাতিদের মধ্যে সুদৃঢ় মেলবন্ধন গড়ে তুলতে সহায়ক ভূমিকা নিয়েছে। এখানকার বিভিন্ন উৎসব ও অনুষ্ঠান জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলকে একসূত্রে বেঁধে রেখেছে। যা এক ত্রিপুরা শ্রেষ্ঠ ত্রিপুরা গড়ার ক্ষেত্রে সহায়ক হবে। ২৬ অক্টোবর প্যারাডাইস চৌমুহনীতে তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের আয়োজিত মায়ের গমন-কার্নিভালের উদ্বোধন করে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা একথা বলেন। অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের উদ্যোগে গত বছর থেকে এক উদ্ভাবনী চিন্তাভাবনা নিয়ে এই কার্নিভালের শুরু হয়েছিল। এই কার্নিভাল রাজ্যের জনগণের মধ্যে একটা আনন্দ ও উচ্ছাস সৃষ্টি করেছিল। এবছরও তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তর বিভিন্ন দপ্তরের সহযোগিতায় সুন্দর ও সুশৃঙ্খলভাবে কার্নিভালের আয়োজন করেছে। এজন্য মুখ্যমন্ত্রী তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, বর্তমানে রাজ্যে শান্তির পরিবেশ বজায় রয়েছে। ফলে এবছর দুর্গাপূজার সংখ্যা গত বছরের তুলনায় অনেক বেড়েছে। এবছর সারা রাজ্যেই শান্তি ও সুশৃঙ্খল পরিবেশের মধ্যে দিয়ে দুর্গাপূজা আয়োজিত হয়েছে। পূজাকে কেন্দ্র করে জনগণের মধ্যেও একটা আনন্দের অনুভূতি তৈরি হয়েছে। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের সচিব প্রদীপ কুমার চক্রবর্তী বলেন, গত বছর থেকে রাজ্যে প্রথমবারের মতো মায়ের গমন (কার্নিভাল) অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। তাতে জনগণের মধ্যে ব্যাপক আনন্দ-উচ্ছাস পরিলক্ষিত হয়। এবছরও মায়ের গমন অনুষ্ঠানকে আকর্ষণীয় করে তোলার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। গত বছরের মতো এবছরও অনেকগুলি ক্লাব ও সংস্থা মায়ের গমন (কার্নিভাল) অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেছে। বিচারক মন্ডলীর দ্বারা নির্বাচিত শ্রেষ্ঠ ক্লাব ও সংস্থাকে এবছরও পুরস্কৃত করা হবে।
অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহরায়, পর্যটন মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী, শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্ৰী সান্ত্বনা চাকমা, সমাজকল্যাণ ও সমাজশিক্ষা মন্ত্রি টিংকু রায়, জনজাতি কল্যাণ মন্ত্রী বিকাশ দেববর্মা, প্রাণী সম্পদ বিকাশ মন্ত্রী টিংকু রায়, সমবায় মন্ত্রী শুক্লাচরণ নোয়াতিয়া, আগরতলা পুর নিগমের মেয়র দীপক মজুমদার, মুখ্যসচিব জে কে সিনহা, পুলিশের মহানির্দেশক অমিতাভ রঞ্জন, তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের সচিব প্রদীপ কুমার চক্রবর্তী, তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের অধিকর্তা বিম্বিসার ভট্টাচার্য প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।