Hare to Whatsapp
উত্তর পূর্বাঞ্চলে রেল যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে রেলমন্ত্রক অগ্রাধিকার দিয়েছে : কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদন
আগরতলা, অক্টোম্বর ২০, : আগরতলা থেকে ১৯ অক্টোবর কামাখ্যা-লোকমান্য তিলক এক্সপ্রেস ট্রেনের পরিষেবার সূচনা হয়েছে। এই এক্সপ্রেস ট্রেনটি আগরতলা ও মুম্বাইয়ের মধ্যে চলাচল করবে। আগরতলা রেলওয়ে স্টেশনে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা এবং গুয়াহাটিতে কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব ভিডিও কনফারেন্সে পতাকা নেড়ে এক্সপ্রেস ট্রেনটির পরিষেবার সূচনা করেন। এছাড়াও আজ আগরতলা ও সাব্রুমের মধ্যে অতিরিক্ত ডেমু ট্রেন পরিষেবা এবং আগরতলা রেলওয়ে স্টেশনে এসকেলেটরেরও উদ্বোধন করা হয়। এ উপলক্ষে আগরতলা রেলওয়ে স্টেশনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা ছাড়াও কেন্দ্রীয় সামাজিক ন্যায় ও ক্ষমতায়ণ প্রতিমন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিক, পরিবহণ মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী, বিধায়ক মীনারাণী সরকার উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সে কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব বলেন, দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দায়িত্ব গ্রহণ করার পর উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলির উন্নয়নে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছেন। গত ৯ বছরে তিনি প্রায় ৬০ বার উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলি সফর করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর আন্তরিক প্রচেষ্টার ফলেই উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলির বিকাশ ত্বরান্বিত হচ্ছে। কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী বলেন, উত্তর পূর্বাঞ্চলে রেল যোগাযোগ ব্যবস্থার দ্রুত উন্নয়নে রেলমন্ত্রক অগ্রাধিকার দিয়েছে। এই লক্ষ্যে এবারের বাজেটে ১০ হাজার ২৭০ কোটি টাকার সংস্থান রাখা হয়েছে। ত্রিপুরা থেকে আগে মাত্র ৪ জোড়া ট্রেন চলাচল করত। বর্তমানে ত্রিপুরা থেকে ১৭ জোড়া ট্রেন চলাচল করছে। শুধু তাই নয় উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ৬০টি স্টেশনকে বিশ্বমানের স্টেশন হিসেবে গড়ে তোলার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই ৩৭টি স্টেশনের কাজ শুরু করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা বলেন, কামাখ্যা-লোকমান্য তিলক এক্সপ্রেস ট্রেনটির পরিষেবা আগরতলা পর্যন্ত সম্প্রসারিত করার জন্য ত্রিপুরাবাসী বহুদিন ধরে দাবি জানিয়ে আসছিলেন। এই পুজোর প্রাক্কালে সেই দাবিকে মাথায় রেখে রেল মন্ত্রক কামাখ্যা লোকমান্য তিলক এক্সপ্রেসের পরিষেবা আগরতলা পর্যন্ত সম্প্রসারিত করেছে। সেইসাথে রেল মন্ত্রকের অনুমোদন অনুসারে আরও একটি ডেমু ট্রেন পরিষেবা আগরতলা ও সাব্রুমের মধ্যে আজ থেকে চালু হয়েছে। গৌহাটি এবং আগরতলার মধ্যে লোকমান্য তিলক-কামাখ্যা আগরতলা থেকে মুম্বাই যেতে এই এক্সপ্রেস ট্রেনটির সময় লাগবে প্রায় ৫৫ ঘন্টা। আগরতলা থেকে প্রতি বৃহস্পতিবার সকাল ৬টায় ট্রেনটি মুম্বাইয়ের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হবে। ট্রেনটি মুম্বাই পৌছাবে শনিবার বিকেলে। মুম্বাই থেকে ট্রেনটি আবার রওনা হবে রবিবার সকাল সাড়ে ৭টায়। আগরতলা পৌঁছবে মঙ্গলবার সন্ধ্যায়।
অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, অমৃত ভারত প্রকল্পে ৯৬.৬০ কোটি টাকা ব্যয়ে উদয়পুর, ধর্মনগর ও কুমারঘাট রেল স্টেশনের উন্নয়নের কাজ চলছে। আগরতলা রেল স্টেশনটি আন্তর্জাতিক মানের স্টেশনে উন্নীত করার জন্য ২৩৫.৪৫ কোটি টাকার ডিপিআর জমা দেওয়া হয়েছে। আগরতলা স্টেশনে এসকেলেটরও উদ্বোধন করা হয়েছে। আগরতলা-আখাউড়া রেল যা ঢাকা হয়ে কোলকাতার সাথে সংযোগ তৈরী করবে তার কাজও দ্রুত গতিতে চলছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ত্রিপুরেশ্বরী এক্সপ্রেস ও কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের পরিষেবা উদয়পুর এবং বিলোনীয়ায় স্টপেজ সহ সাব্রুম পর্যন্ত সম্প্রসারণের জন্য ত্রিপুরা সরকারের পক্ষ থেকে রেল মন্ত্রকের কাছে দাবি জানানো হয়েছে। লোকমান্য তিলক- কামাখ্যা ট্রেনের সম্প্রসারণের ফলে ত্রিপুরা সহ উত্তর-পূর্বাঞ্চল এমনকি বাংলাদেশের মানুষও চিকিৎসা, শিক্ষা ও ব্যবসা সংক্রান্ত বিষয়ে উপকৃত হবেন।