Share Whatsapp

গনবণ্টন ব্যবস্থায় নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী মানুষের কাছে পৌছে দিতে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ : মুখ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদন

আগরতলা, অক্টোম্বর ১১, : সরকার উন্নয়নমুখী কর্মসূচির মধ্য দিয়ে মানুষের চাহিদা পূরণে সচেষ্ট। সরকার ভোক্তা অধিকার, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ ও বাজারে নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রীর স্থিতিশীলতা রক্ষায় নিয়মিত প্রয়াস জারি রেখেছে। গনবন্টন ব্যবস্থায় নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ১০ অক্টোবর রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনে খাদ্য, জনসংভরণ ও ক্রেতাস্বার্থ বিষয়ক দপ্তরের উদ্যোগে গণবন্টন ব্যবস্থায় সরিষার তেল ও অন্যান্য সামগ্রী সরবরাহ কর্মসূচির উদ্বোধন করে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডাঃ) মানিক সাহা একথা বলেন। অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বাজারে দ্রব্যমূল্য যাতে কোনভাবেই সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে না যায় সেজন্য সরকার অবহিত রয়েছে। এজন্যই ই-পিডিস সিস্টেম চালু করা হয়েছে।

অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, গণবন্টন ব্যবস্থায় সরিষার তেল বন্টন রাজ্য সরকারের উন্নয়নমুখী কর্মসূচির একটি অঙ্গ। নির্বাচনী প্রতিশ্রুতির সংকল্পপত্রেও গণবন্টন ব্যবস্থায় সরিষার তেল বন্টনের ঘোষণা করা হয়েছিল। বর্তমান রাজ্য সরকার সেবার মানসিকতা নিয়ে কাজ করছে। তিনি বলেন, ২০১৮ সালে রাজ্য সরকার গঠন হওয়ার পর ন্যূনতম সহায়ক মূল্যে কৃষকদের কাছ থেকে ধান ক্রয় করার প্রক্রিয়া শুরু করা হয়। কৃষকদের আত্মনির্ভর করে তুলতেই সরকারের এই পদক্ষেপ। কর্মসংস্থানের পাশাপাশি সমৃদ্ধ ত্রিপুরা গড়ে তোলা সরকারের অন্যতম লক্ষ্য।

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্যে শিল্পের বিকাশে বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। এই সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে সরকার উদ্যোগ নিয়েছে। বর্তমানে বহির্রাজ্যের বিনিয়োগকারীরা ত্রিপুরাতে বিনিয়োগে আগ্রহ প্রকাশ করছে। রাজ্যের বাঁশবেত শিল্প আজ দেশ বিদেশে সমাদৃত। রাজ্যে তৈরী বাঁশের টাইলস ভারতের নতুন পার্লামেন্ট ভবনে ব্যবহার করা হয়েছে। ত্রিপুরার স্বাস্থ্য, শিক্ষা, যোগাযোগ ব্যবস্থা আজ খুবই উন্নতশীল। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে দেশ আজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে। আগামীতে রাজ্যের ভবিষ্যতও খুবই উজ্জ্বল।

অনুষ্ঠানে খাদ্য, জনসংভরণ ও ক্রেতাস্বার্থ বিষয়ক মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী বলেন, সরকারের অন্যতম লক্ষ্য গণবন্টন ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করা। এই সরকার মানুষের চাহিদা অনুধাবন করতে পারে। এখন কিছু পাওয়ার জন্য মানুষকে আন্দোলন করতে হয়না।

গণবন্টন ব্যবস্থায় সরিষার তেল প্রদান সংকল্পপত্রের প্রতিশ্রুতিরই রূপায়ণ। এবারই প্রথম রাজ্য সরকারের উদ্যোগে রেশনশপের মাধ্যমে সরিষার তেল দেওয়া হবে ভোক্তাদের মধ্যে। সারা রাজ্যের ৯ লক্ষ ৭০ হাজার রেশনকার্ড হোল্ডারদের কার্ড কিছু ১ লিটার করে সরিষার তেল দেওয়া হবে। বছরে চারবার ভুর্তুকি মূল্যে এই সরিষার তেল ভোক্তাদের মধ্যে দেওয়া হবে। সরিষার তেলের দরপত্র স্থির হয়েছে প্রতি লিটার ১২৮ টাকা। তবে রাজ্য সরকার এই মূল্যের উপর আরও ১৫ টাকা একাকালীন ভুর্তুকি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন খাদ্য, জনসংভরণ ও ক্রেতাস্বার্থ বিষয়ক দপ্তরের অধিকর্তা নির্মল অধিকারি। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন আগরতলা পুর নিগমের মেয়র দীপক মজুমদার। ধন্যবাদসূচক বক্তব্য রাখেন খাদ্য দপ্তরের অতিরিক্ত অধিকর্তা অনিমেষ দেববর্মা। উল্লেখ্য, অনুষ্ঠানে ২০ জন ভোক্তার হাতে সরিষার তেল সহ বিভিন্ন রেশন সামগ্রি সমেত ক্যানভাস ব্যাগ তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী। অনুষ্ঠানে রাজ্যের ৮ জেলার ৮ জন রেশন ডিলারের হাতে মডেল রেশনশপ গড়ে তোলার জন্য ৫ হাজার টাকার চেক তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী। এছাড়াও রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শারদোৎসব উপলক্ষ্যে খাদ্য দপ্তরের অধীনে থাকা ৬৩৫ জন শ্রমিককে ২ হাজার টাকা করে অনুদান দেওয়া হবে। অনুষ্ঠানে ৩ জন শ্রমিকের হাতে ২ হাজার টাকার চেক তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী। অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী খাদ্য দপ্তরের একটি পুস্তিকারও আবরণ উন্মোচন করেন।


You can post your comments below  
নিচে আপনি আপনার মন্তব্য বাংলাতেও লিখতে পারেন।  
বিঃ দ্রঃ
আপনার মন্তব্য বা কমেন্ট ইংরেজি ও বাংলা উভয় ভাষাতেই লিখতে পারেন। বাংলায় কোন মন্তব্য লিখতে হলে কোন ইউনিকোড বাংলা ফন্টেই লিখতে হবে যেমন আমার বাংলা কিংবা অভ্রো কী-বোর্ড (Avro Keyboard)। আমার বাংলা কিংবা অভ্রো কী-বোর্ডের সাহায্যে মাক্রোসফট্ ওয়ার্ডে (Microsoft Word) টাইপ করে সেখান থেকে কপি করে কমেন্ট বা মন্তব্য বক্সে পেস্ট করতে পারেন। আপনার কম্পিউটারে আমার বাংলা কিংবা অভ্রো কী-বোর্ড বাংলা সফ্টওয়ার না থাকলে নিম্নে দেয়া লিঙ্কে (Link) ক্লিক করে ফ্রিতে ডাওনলোড করে নিতে পারেন।
 
Free Download Avro Keyboard  
Name *  
Email *  
Address  
Comments *  
 
 
Posted comments
Till now no approved comments is available.