Hare to Whatsapp
গ্রামীণ এলাকায় উন্নত স্বাস্থ্য পরিষেবা সম্প্রসারণে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে : মুখ্যমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদন
আগরতলা, অক্টোম্বর ৬, : প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির স্বপ্ন স্বাস্থ্য পরিষেবাকে প্রান্তিক জনপদের মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া। প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করতেই রাজ্য সরকার গ্রামীণ এলাকায় উন্নত স্বাস্থ্য পরিষেবা সম্প্রসারণে অগ্রাধিকার দিয়েছে। গ্রামীণ এলাকাগুলিতে গড়ে তোলা হচ্ছে উন্নত স্বাস্থ্য পরিকাঠামো। ৫ অক্টোবর কল্যাণপুর কমিউনিটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ব্লক পাবলিক হেলথ ইউনিটের উদ্বোধন করে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা একথা বলেন। খোয়াই জেলা সফরে এসে মুখ্যমন্ত্রী আজ তেলিয়ামুড়া মহকুমা হাসপাতালে অপারেশন থিয়েটারেরও উদ্বোধন করেন। কল্যাণপুর কমিউনিটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ব্লক পাবলিক হেলথ ইউনিট নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ২২ লক্ষ ১৭ হাজার ২৯৫ টাকা। তেলিয়ামুড়া মহকুমা হাসপাতালে নবনির্মিত অত্যাধুনিক অপারেশন থিয়েটার নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ৬০ লক্ষ টাকা। এই দুটি স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর উদ্বোধন উপলক্ষে কল্যাণপুর ও তেলিয়ামুড়ায় দুটি পৃথক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠান দুটিতে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা বলেন, কল্যাণপুরেই রাজ্যের প্রথম ব্লক পাবলিক হেলথ ইউনিট চালু করা হলো। রাজ্যের ৫৮টি ব্লকের মধ্যে আরও ১৮টি ব্লকে এই ধরনের স্বাস্থ্য পরিকাঠামো গড়ে তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। অন্যান্য ব্লকগুলিতেও পরবর্তী সময়ে ব্লক পাবলিক হেলথ ইউনিট গড়ে তোলা হবে।
কল্যাণপুরে আয়োজিত অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, গ্রামীণ এলাকার মানুষের কাছে সহজে চিকিৎসা পরিষেবার সুযোগ পৌঁছে দিতে বর্তমান সরকার বিভিন্ন পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে। ব্লক পাবলিক হেলথ ইউনিট স্থাপনের মূল লক্ষ্যই হচ্ছে প্রান্তিক জনপদের মানুষের কাছে চিকিৎসার সুযোগ পৌঁছে দেওয়া। গ্রামীণ এলাকায় চিকিৎসা পরিষেবা শক্তিশালী হলে মহকুমা ও স্টেট হাসপাতালগুলিতে রোগীদের চাপ অনেকটা কমানো যাবে। এতে জনসাধারণও উপকৃত হবেন। তেলিয়ামুড়া মহকুমা হাসপাতালে অপারেশন থিয়েটারের উদ্বোধন করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এই অপারেশন থিয়েটার চালু হওয়ায় মহকুমাবাসী উপকৃত হবেন। এরফলে মহকুমাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ হলো। তিনি বলেন, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা হচ্ছে সরকারের অগ্রাধিকারের ক্ষেত্র। সুস্বাস্থ্য ছাড়া রাজ্যের সার্বিক বিকাশ সম্ভব নয়।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানগুলিতে উপস্থিত ছিলেন জনজাতি কল্যাণমন্ত্রী বিকাশ দেববর্মা, বিধানসভার সরকারি মুখ্যসচেতক বিধায়ক কল্যাণী রায়, বিধায়ক পিনাকী দাস চৌধুরী, খোয়াই জিলা পরিষদের সহকারি সভাধিপতি হরিশংকর পাল, স্বাস্থ্য অধিকর্তা ডা. সুপ্রিয় মল্লিক, পরিবার কল্যাণ ও রোগ প্রতিরোধক দপ্তরের অধিকর্তা ডা. অঞ্জন দাস, খোয়াই জেলার জেলাশাসক ও সমাহর্তা চাঁদনী চন্দ্রন, তেলিয়ামুড়া মহকুমার মহকুমা শাসক অভিজিৎ চক্রবর্তী প্রমুখ।