Hare to Whatsapp
শারদোৎসব নির্বিঘ্নে ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করাটাই সবথেকে আনন্দের বিষয় : মুখ্যমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদন
আগরতলা, অক্টোম্বর ২, : শারদোৎসবে আমরা সবাই অংশ নেই ও আনন্দ করি। শারদোৎসব নির্বিঘ্নে এবং শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করাটাই সবথেকে বেশী আনন্দের বিষয়। ১ অক্টোবর বিকালে মুক্তধারা অডিটোরিয়ামে মায়ের গমন ও শারদসম্মান-২০২৩ নিয়ে প্রস্তুতি সভায় মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা একথা বলেন। আজ প্রস্তুতি সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে আগামী ২৬ অক্টোবর আগরতলায় মায়ের গমন বা কার্নিভ্যালের আয়োজন করা হবে। মূল অনুষ্ঠান হবে মেলারমাঠ সিটি সেন্টারের সম্মুখে।
প্রস্তুতি সভায় মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা বলেন, সবার সহযোগিতায় গত বছর সাফল্যের সঙ্গে সারা রাজ্যে শারদোৎসব এবং আগরতলায় মায়ের গমন অনুষ্ঠান আয়োজন করা সম্ভব হয়েছে। আগরতলা পুরনিগম এবং তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তর সাফল্যের সঙ্গে গতবছর দুর্গা প্রতিমা নিরঞ্জন ও মায়ের গমন অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল। প্রস্তুতি সভায় মুখ্যমন্ত্রী শারদোৎসবের আগেই আগরতলা শহরের সব রাস্তা সারাই করার জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরের আধিকারিকদের নির্দেশ দেন। সভায় উপস্থিত বিভিন্ন ক্লাব ও সংস্থার প্রতিনিধিদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনাদের সবাইকে নিয়েই এই সরকার। সবাই যেন শারদোৎসব ও মায়ের গমন আয়োজনের জন্য রাজ্য সরকারের বিভিন্ন নির্দেশিকা মেনে চলেন। আলোচনায় অংশ নিয়ে আগরতলা পুরনিগমের মেয়র দীপক মজুমদার বলেন, সবার সহযোগিতায় গত বছর সাফল্যের সঙ্গে শারদোৎসব আয়োজন করা সম্ভব হয়েছিল। গত বছরের অভিজ্ঞতার নিরিখে এবছর বিভিন্ন সমস্যা আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা হবে। তিনি জানান, গত বছরের মতো এবছরও শহরের পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার জন্য বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।
প্রস্তুতি সভার শুরুতে তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের সচিব প্রদীপ কুমার চক্রবর্তী সভার উদ্দেশ্য তুলে ধরেন। তিনি জানান, গতবছর মায়ের গমন অনুষ্ঠানে ৪৭টি ক্লাব ও পুজো সংস্থা অংশগ্রহণ করেছিল। তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের অধিকর্তা বিম্বিসার ভট্টাচার্য মায়ের গমন এবং শারদ সম্মান বিষয়ে এবছরের প্রস্তুতির কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, গত বছর শারদ সম্মান অনুষ্ঠানে বিভিন্ন ক্লাব ও পুজো সংস্থাকে ২১টি পুরস্কার দেওয়া হয়েছিল। প্রস্তুতি সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন পশ্চিম ত্রিপুরা জেলার জেলাশাসক দেবপ্রিয় বর্ধন ও আইজি আইন শৃঙ্খলা সৌমিত্র ধর। উপস্থিত ছিলেন পশ্চিম ত্রিপুরা জিলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাধিপতি হরিদুলাল আচার্য, আগরতলা পুরনিগমের ডেপুটি মেয়র মণিকা দাস দত্ত, আগরতলা পুরনিগমের কমিশনার ডা. শৈলেশ কুমার যাদব, পশ্চিম ত্রিপুরা জেলার পুলিশ সুপার কিরণ কুমার কে।