Hare to Whatsapp
রাজ্যের বর্তমান সরকার জনস্বার্থে বিভিন্ন পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে : খাদ্যমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদন
আগরতলা, সেপ্টেম্বর ২৮, : রাজ্যের সমস্ত অংশের মানুষ যাতে সঠিক সময়ে বিভিন্ন পরিষেবা পান তা সুনিশ্চিত করতে হবে। জনগণের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়গুলি কোনভাবেই উপেক্ষা করা চলবে না। রাজ্যের বর্তমান সরকার জনস্বার্থে বিভিন্ন পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে। এগুলি যথাযথ ভাবে রূপায়ণ করতে হবে। ২৭ সেপ্টেম্বর পশ্চিম ত্রিপুরা জেলা প্রশাসনের কার্যালয়ের কনফারেন্স হলে অনুষ্ঠিত পশ্চিম ত্রিপুরা জিলা পরিষদের সাধারণ সভায় খাদ্য ও জনসংভরণ মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী একথা বলেন। তিনি বলেন এখন উৎসবের মরসুম। সামনেই আসছে বাঙ্গালীর শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপূজা। এই সময়ে বিদ্যুৎব্যবস্থা যাতে কোনভাবেই বিঘ্নিত না হয় সেদিকে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের আধিকারিকদের বিশেষভাবে নজর দিতে হবে। তিনি পানীয় জলের উৎস ও পাম্পহাউজগুলিতে সঠিক ভাবে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার উপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, সামনেই শুখা মরসুম আসছে। শুখা মরসুম আসার আগেই এই বিষয়টির দিকে বিশেষভাবে নজর দিতে হবে। জলজীবন মিশনের আওতায় নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যেই যাতে পশ্চিম জেলার সমস্ত বাড়িতে পানীয় জলের সংযোগ পৌছে দেওয়া যায় তা সুনিশ্চিত করতে তিনি পানীয় জল ও স্বাস্থ্যবিধান দপ্তরের আধিকারিকদের নির্দেশ দেন। সঠিক সময়ে বিভিন্ন পরিষেবা কৃষকদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার উপর গুরুত্ব আরোপ করে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, কৃষকদের কল্যাণে কেন্দ্রীয় এবং রাজ্যের বর্তমান সরকার বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে। বিভিন্ন প্রকল্পের সুফল যাতে কৃষকরা পেতে পারেন সেদিকে বিশেষভাবে নজর দিতে হবে। জেলার যেসমস্ত রাস্তা সংস্কারের প্রয়োজন সেগুলি পূজার আগেই সম্পন্ন করে নেওয়ার জন্য তিনি পূর্ত দপ্তরের আধিকারিকদের নির্দেশ দিয়েছেন।
সভায় পানীয়জল ও স্বাস্থ্যবিধান দপ্তরের জেলা প্রতিনিধি জানান, জেলায় জলজীবন মিশন গ্রামীণ প্রকল্পে এখন পর্যন্ত ৮৪ হাজার ১২১টি বাড়িতে পানীয়জল পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। জলসম্পদ দপ্তরের প্রতিনিধি সভায় জানান, প্রধানমন্ত্রী কৃষি সিঞ্চাই যোজনায় এবছর ১৪০টি স্মলবোর খননের লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়। ইতিমধ্যে ১৩৮টি স্মলবোর খনন কাজ শেষ হয়েছে। এর মধ্যে ১৩২টি স্মলবোর চালুও করা হয়ে গেছে। ২টি স্মলবোর খনন কাজ চলছে। রেশম শিল্প দপ্তরের প্রতিনিধি সভায় জানান, চলতি বছরে জেলার তিনটি রেশম শিল্প কেন্দ্র এলাকার ১৫০ একর জমিতে তুঁত বাগান করা হয়েছে। এতে ১৭১টি তুঁত চাষি পরিবার উপকৃত হয়েছে। সভায় প্রাণীসম্পদ বিকাশ দপ্তরের জেলা প্রতিনিধি জানান, চলতি বছরে মুখ্যমন্ত্রী স্বনির্ভর পরিবার যোজনায় জেলার ৪,২৯০টি কৃষক পরিবারকে পোল্ট্রি ফার্ম প্রকল্পে সহায়তা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে ৬০৪টি পরিবারকে এই সহায়তা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া এই যোজনায় ১৪৩০টি পরিবারকে হাঁস পালন প্রকল্পেও সহায়তা দেওয়া হবে। সভায় মৎস্য দপ্তরের প্রতিনিধি জানান, এবছর মুখ্যমন্ত্রী মৎস্য বিকাশ যোজনায় জেলার ৪,৫৩৫টি পরিবারকে মৎস্য চাষে সহায়তা ও প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। কৃষি ও কৃষক কল্যাণ দপ্তরের জেলা প্রতিনিধি সভায় জানান, এবছর জেলার ১৬৪জন কৃষককে কিষাণ ক্রেডিট কার্ডে ঋণ মঞ্জুর করা হয়েছে। এজন্য ৭০ লক্ষ ৯৩ হাজার টাকা ব্যয় হবে। এছাড়া এখন পর্যন্ত জেলার ১৭ হাজার ১০৯ জন কৃষক প্রধানমন্ত্রী কৃষি সম্মাননিধি প্রকল্পের আওতাভুক্ত হয়েছেন এবং বছরে ৬০০০ টাকা করে আর্থিক সুবিধা পাচ্ছেন।
পশ্চিম ত্রিপুরা জিলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাধিপতি হরিদুলাল আচার্যের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক মীনারাণী সরকার, পশ্চিম ত্রিপুরা জেলার জেলাশাসক দেবপ্রিয় বর্ধন, অতিরিক্ত জেলাশাসক রাজীব দত্ত, জেলার বিভিন্ন পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারম্যানগণ, বিভিন্ন ব্লকের বিডিওগন এবং বিভিন্ন দপ্তরের আধিকারিকগণ।