Hare to Whatsapp
ভবিষ্যৎ প্রজন্মের স্বাভাবিক শারীরিক বিকাশে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে : মুখ্যমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদন
আগরতলা, সেপ্টেম্বর ২০, : রাজ্যে স্বাস্থ্য পরিষেবা ও পরিকাঠামোর উন্নয়নকে সরকার অগ্রাধিকার দিয়েছে। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের স্বাভাবিক শারীরিক বিকাশে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। ১৯ সেপ্টেম্বর বিলোনীয়ার শচীন দেববর্মণ অডিটোরিয়ামে মুখ্যমন্ত্রী সুস্থ শৈশব সুস্থ কৈশোর অভিযান ৫.০’র উদ্বোধন করে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা একথা বলেন। অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, শিশু-কিশোর কিশোরীদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশ ঘটাতে অভিভাবকদেরও সচেতন হতে হবে। শিশু- কিশোর-কিশোরীদের স্বাস্থ্যের স্বাভাবিক বিকাশ না হলে তাদের মানসিক বিকাশ ব্যাহত হবে। সুস্থ ও সবল শিশু ও কিশোর কিশোরীরাই দেশের ভবিষ্যৎ। তাই তাদের সুস্থভাবে বেড়ে উঠার জন্য মুখ্যমন্ত্রী সুস্থ শৈশব সুস্থ কৈশোর অভিযান রাজ্যে চালু করা হয়েছে। এই অভিযানে শিশু ও কিশোর কিশোরীদের কৃমিনাশক ট্যাবলেট, আয়রন, ফলিক অ্যাসিড, ভিটামিন এ ট্যাবলেট এবং বিভিন্ন রোগের টিকাকরণ কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, সরকারের লক্ষ্য শিশু কিশোর কিশোরী ও মায়েদের সুস্থ রাখা। অভিযানের সূচনা করে মুখ্যমন্ত্রী আজ এই অনুষ্ঠানে ৫ জন কিশোর কিশোরীকে বিভিন্ন ওষুধ খাইয়ে দেন।
অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবা ও পরিকাঠামোর উন্নয়নে সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। আগরতলার সরকারি মেডিক্যাল কলেজে ৯টি সুপার স্পেশালিটি পরিষেবার ব্যবস্থা করা হয়েছে। রাজ্যে ডেন্টাল কলেজ চালু হয়েছে এবং পড়াশুনাও শুরু হয়েছে। রাজ্যের জেলা হাসপাতালগুলির পরিকাঠামো উন্নত করা হচ্ছে, যাতে স্টেট হাসপাতালগুলিতে চাপ কম পড়ে। চলতি অর্থবছরের বাজেটে রাজ্যে ১০০টি হেলথ সাবসেন্টার খোলার সংস্থান রাখা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বহির্রাজ্যে চিকিৎসার জন্য যাওয়ার প্রবণতা কমে আসছে। রাজ্যে চিকিৎসা পরিষেবায় মানুষের বিশ্বাস বাড়ছে। শুধু স্বাস্থ্য নয়, রাজ্যের সার্বিক বিকাশে ও জনসাধারণের কল্যাণে সরকার কাজ করছে। অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী সুস্থ শৈশব সুস্থ কৈশোর অভিযান ৪.০ সফলভাবে রূপায়ণের জন্য কয়েকজন আধিকারিককে পুরস্কৃত করা হয়। মুখ্যমন্ত্রী তাদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সমবায়মন্ত্রী শুক্লাচরণ নোয়াতিয়া, বিধায়ক স্বপ্না মজুমদার, বিধায়ক মাইলাফ্লু মগ, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দপ্তরের সচিব ড. দেবাশিস বসু, জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের অধিকর্তা দিলীপ কুমার চাকমা, দক্ষিণ ত্রিপুরা জেলার জেলাশাসক ও সমাহর্তা সাজু বাহিদ এ, দক্ষিণ ত্রিপুরা জেলার পুলিশ সুপার ড. কুলবন্ত সিং, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দপ্তরের অধিকর্তা ডা. সুপ্রিয় মল্লিক, উচ্চশিক্ষা দপ্তরের অধিকর্তা এন সি শর্মা প্রমুখ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের রাজ্য মিশন অধিকর্তা দিলীপ কুমার চাকমা। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন দক্ষিণ ত্রিপুরা জিলা পরিষদের সভাধিপতি কাকলি দাস দত্ত।