Hare to Whatsapp
রাজ্যের ৬ জেলার ১৩টি শিল্পনগরীর পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাঙ্ক থেকে ১৩ শত কোটির আর্থিক সহায়তা নিচ্ছেন শিল্প ও বাণিজ্য দপ্তর
নিজস্ব প্রতিবেদন
আগরতলা, সেপ্টেম্বর ৩, : রাজ্য সরকারের শিল্প দপ্তরের অধিকর্তা বিশ্বশ্রী বি গতকাল জানিয়েছেন এডিবি এর সহায়তায় রাজ্যের ১৩টি শিল্প নগরীর পরিকাঠামো উন্নয়নে উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন ত্রিপুরার শিল্প দফতর। তিনি জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আত্মনির্ভর ভারত ও মেক ইন ইন্ডিয়ার স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করতে রাজ্যে শিল্পক্ষেত্রের উন্নয়নে ত্রিপুরা সরকার বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে। এই লক্ষ্যে রাজ্যের স্থানীয় প্রাকৃতিক সম্পদ যেমন রাবার, বাঁশ, চা, গ্যাস, কৃষি ও উদ্যানজাত ফসল ভিত্তিক শিল্প ইউনিট গড়ে তোলার লক্ষ্যে বিশ্বের বিনিয়োগকারীদের আকর্ষিত করার জন্য সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এতে রাজ্যের সার্বিক উন্নয়নও গতি পাবে।
শিল্প অধিকর্তা জানিয়েছেন এই উদ্যোগের অঙ্গ হিসেবে রাজ্যের ৬ জেলার ১৩টি শিল্পনগরীর পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাঙ্ক থেকে আর্থিক সহায়তা নেওয়া হচ্ছে। শিল্প ও বাণিজ্য দপ্তরের অধিকর্তা বিশ্বশ্রী বি গতকাল এক প্রেস রিলিজে এই সংবাদ জানান। শিল্প ও বাণিজ্য দপ্তরের অধিকর্তা জানান, ২০২২ সালের মে মাসে এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাঙ্ক প্রজেক্ট রেডিনেস ফাইন্যান্স হিসেবে ঋণ মঞ্জুর করেছিল প্রায় ১৬ কোটি টাকা। এই অর্থ সমীক্ষা, গবেষণা ও ডিপিআর তৈরির জন্য মঞ্জুর করা হয়েছিল। ২০২৩-এর মার্চে মূল প্রকল্পের জন্য রাজ্য সরকার আরও ১৩ শত কোটি টাকার আবেদনপত্র জমা দেয়। এতে এডিবির ঋণ থাকবে ১২০ মিলিয়ন ডলার। রাজ্যের শেয়ার থাকবে ৩০ মিলিয়ন ডলার। ভারত সরকারের বাণিজ্য মন্ত্রকের ডিপার্টমেন্ট অব ইকোনমিক অ্যাফেয়ার্সে এই আবেদন জমা পড়েছে। গত ৩১ আগস্ট অনুষ্ঠিত ডিপার্টমেন্ট অব ইকোনমিক অ্যাফেয়ার্সের স্ক্রিনিং কমিটির বৈঠকে এই প্রস্তাব অনুমোদিত হয়। এই প্রকল্প রাজ্যের বড় বড় পরিকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের মধ্যে একটি।
প্রেস রিলিজে' শিল্প ও বাণিজ্য দপ্তরের অধিকর্তা আরও জানান, এই অর্থে বোধজংনগর, আর কে নগর, ডুকলি, কুমারঘাট, ধজনগর, দেওয়ানপাশার মতো শিল্পনগরীর পরিকাঠামো উন্নয়ন করা হবে। শিল্পনগরীগুলির প্রায় ১,২০০ একর এলাকায় উন্নয়নমূলক কাজ করা হবে। তারমধ্যে ৮০০ একর হবে ইন্ডাস্ট্রিয়াল প্লট এবং বাকি ৪০০ একর ব্যবহৃত হবে সড়ক যোগাযোগ, জল সরবরাহ, বিদ্যুৎ, নর্দমা, পার্কিং, কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, ইউটিলিটি ডাক্টস, কম খরচে হাউজিং, পাবলিক ট্রান্সপোর্ট, ডিসপেনসারি, মহিলা হোস্টেলের জন্য। এই প্রকল্পে ৫০০-এর বেশি শিল্প ইউনিট গড়ে উঠবে বলে আশা করা হচ্ছে। এই প্রকল্প রাজ্যের আর্থিক ও সামাজিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে নতুন দিগন্ত খুলে দেবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন শিল্প অধিকর্তা।