Hare to Whatsapp
আমাদের দায়িত্ব দেশকে প্রাণ দিয়ে রক্ষা করা : কৃষিমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদন
আগরতলা, আগষ্ট ১৬, : ৭৭তম স্বাধীনতা দিবসের কর্মসূচির অঙ্গ হিসেবে ১৫ আগস্ট সকালে মুখ্যমন্ত্রীর সরকারি বাসভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা। অনুষ্ঠানে ত্রিপুরা পুলিশের জওয়ানগণ জাতীয় সংগীত পরিবেশন করেন। এরপর ত্রিপুরা পুলিশের সাব ইন্সপেক্টর বলরাম দেববর্মার নেতৃত্বে ত্রিপুরা পুলিশের জওয়ানগণ মুখ্যমন্ত্রীকে অভিবাদন জানান।
রাজ্য সচিবালয় প্রাঙ্গণে ১৫ আগস্ট সকালে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন কৃষি ও কৃষক কল্যাণমন্ত্রী রতনলাল নাথ। তিনি আরক্ষা বাহিনীর সমবেত কুচকাওয়াজ পরিদর্শন করেন ও অভিবাদন গ্রহণ করেন। জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে কৃষিমন্ত্রী বলেন, আমাদের দায়িত্ব দেশকে প্রাণ দিয়ে রক্ষা করা। স্বাধীনতার শত্রুদের চিহ্নিত করা। ২০৪৭ সালের মধ্যে উন্নত আত্মনির্ভর ভারতবর্ষ গড়ার অঙ্গীকার নেওয়ার আহ্বান জানান কৃষিমন্ত্রী। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রধান সচিব পুনীত আগরওয়াল, মুখ্যমন্ত্রীর সচিব ড. পি কে চক্রবর্তী প্রমুখ। পরে মহাকরণ বিনোদন সংস্থার শিল্পীগণ সংক্ষিপ্ত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করেন। বিধানসভা প্রাঙ্গণে আজ সকালে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন বিধানসভার উপাধ্যক্ষ রামপ্রসাদ পাল। তিনি আরক্ষা বাহিনীর জওয়ানদের কুচকাওয়াজ পরিদর্শন করেন ও অভিবাদন গ্রহণ করেন। জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে বিধানসভার উপাধ্যক্ষ স্বাধীনতা সংগ্রামীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবং স্বাধীনতা দিবস পালনের প্রেক্ষাপট তুলে ধরেন। অনুষ্ঠানে বিধানসভা সচিবালয়ে কর্মরত সকলস্তরের কর্মীগণ উপস্থিত ছিলেন।
স্বাধীনতা দিবস পালনের কর্মসূচির অঙ্গ হিসেবে ১৫ আগস্ট সকালে সার্কিট হাউস সংলগ্ন মূর্তি প্রাঙ্গণে মহাত্মা গান্ধীর মূর্তিতে মাল্যদান করে জাতির পিতার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন কৃষি ও কৃষক কল্যাণমন্ত্রী রতনলাল নাথ। উপস্থিত ছিলেন পশ্চিম ত্রিপুরা জেলার জেলাশাসক দেবপ্রিয় বর্ধন ও অন্যান্য পদস্থ আধিকারিকগণ। এরপর কৃষিমন্ত্রী আগরতলার গান্ধীঘাটে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। তিনি গান্ধীবেদিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিম ত্রিপুরা জেলার জেলাশাসক দেবপ্রিয় বর্ধন, পশ্চিম ত্রিপুরা জেলার এসপি ড. কিরণ কুমার কে সহ অন্যান্য অতিথিগণ। এরপর কৃষিমন্ত্রী লিচুবাগানস্থিত অ্যালবার্ট এক্কা পার্কে শহীদ মিনারে শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করেন। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিম ত্রিপুরা জেলার জেলাশাসক দেবপ্রিয় বর্ধন।
৭৭তম স্বাধীনতা দিবস উদযাপন উপলক্ষে ১৫ আগস্ট সন্ধ্যায় নতুন রাজভবনে আয়োজিত হয় অ্যাট হোম অনুষ্ঠান। অ্যাট হোম অনুষ্ঠানে রাজ্যের শিল্পীগণ মনোজ্ঞ দেশাত্মবোধক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশ নেন। অনুষ্ঠানে রাজ্যপাল সত্যদেও নারাইন আর্য, রাজ্যপাল পত্নী সরস্বতী দেবী, মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা, মুখ্যমন্ত্রীর পত্নী স্বপ্না সাহা, মন্ত্রিসভার সদস্য শুক্লাচরণ নোয়াতিয়া, বিধানসভার উপাধ্যক্ষ রামপ্রসাদ পাল, বিধায়কগণ, ত্রিপুরা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি অপরেশ কুমার সিং, মুখ্যসচিব জে কে সিনহা, রাজ্য পুলিশের মহানির্দেশক অমিতাভ রঞ্জন সহ পদস্থ আধিকারিকগণ উপস্থিত ছিলেন।
৭৭তম স্বাধীনতা দিবস উদযাপন উপলক্ষে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা ১৫ আগস্ট সকালে আগরতলার সংহতি ক্লাবের উদ্যোগে আয়োজিত স্বেচ্ছা রক্তদান, মরণোত্তর দেহদান ও চক্ষুদান শিবিরের উদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতা সংগ্রামীদের আত্মবলিদানের বিনিময়ে আমরা স্বাধীন হয়েছি। আজ তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর দিন। তিনি বলেন, আমাদের ঐক্য ও সংহতি রক্ষা করতে হবে। দেশমাতৃকার প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হবে। ১৫ আগস্ট যারা মরণোত্তর দেহদান, চক্ষুদান করেছেন এবং স্বেচ্ছা রক্তদানে অংশ নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী তাদের শুভেচ্ছা জানান। তিনি রক্তদান শিবির পরিদর্শন করেন ও তাদের উৎসাহিত করেন। এই অনুষ্ঠানে ৭ জন মরণোত্তর দেহদান করেছেন ও ১১ জন চক্ষুদান করেন। সংহতি ক্লাব আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন আগরতলা পুরনিগমের মেয়র দীপক মজুমদার। বক্তব্য রাখেন কাঠিয়াবাবা আশ্রমের অধ্যক্ষ সদানন্দ দাস কাঠিয়াবাবা। সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে বক্তব্য রাখেন ক্লাবের সভাপতি শিশির মজুমদার।