Hare to Whatsapp
ভারতীয় সেনা ও মুক্তিযোদ্ধাদের অদম্য সাহসিকতায় বাংলাদেশের স্বাধীনতা এসেছে : মুখ্যমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদন
আগরতলা, আগষ্ট ১৫, : ভারতীয় সেনা ও মুক্তিযোদ্ধাদের অদম্য সাহসিকতায় বাংলাদেশের স্বাধীনতা এসেছে। এই সাহসিকতার ইতিহাস আগামী প্রজন্মের জানা উচিত। এতে দেশাত্মবোধের মানসিকতা গড়ে উঠতে সহায়ক হবে। ১৪ আগস্ট লিচুবাগানস্থিত অ্যালবার্ট এক্কা পার্কে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেজার প্রদর্শনীর উদ্বোধন করে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা একথা বলেন। অনুষ্ঠানের শুরুতে মুখ্যমন্ত্রী অ্যালবার্ট এক্কা পার্কে শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ করেন।
লেজার প্রদর্শনীর উদ্বোধন করে মুখ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের সাথে কথা বলার সময় মুক্তিযুদ্ধের বিভীষিকাময় দিনের স্মৃতিচারণ করেন। তিনি বলেন, আজ সারা দেশে দেশ বিভাজন বিভীষিকা স্মৃতি দিবস হিসেবে পালন করা হচ্ছে। ১৯৪৭ সালে দেশ বিভাজনের ফলে দুটি পৃথক স্বাধীন রাষ্ট্রের জন্ম হয়। ১৯৪৭ সালে দেশ বিভাজনের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত অসহায় মানুষের দুর্ভোগ এবং তাদের ত্যাগকে স্মরণ করে এই বিভাজন বিভীষিকা স্মৃতি দিবস পালন করা হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এই বিভাজনের ফলে শুধু দুটি জায়গার মানুষের বিভাজন হয়নি। সংস্কৃতিরও বিভাজন হয়েছে। মানবিকতারও বিভাজন হয়েছে। দেশ বিভাজনের বিভীষিকাময় অধ্যায় খুবই পীড়াদায়ক। তাই সমাজে কোনও প্রকার বিভাজনই কাম্য নয়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও বিভাজন এড়িয়ে শান্তি ও সম্প্রীতি বজায় রেখে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। তিনি আরও বলেন, ভারতের বীর সেনানীদের ইতিহাস আমাদের ভুলে গেলে চলবে না।
অনুষ্ঠানে এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন আগরতলা পুরনিগমের মেয়র দীপক মজুমদার, মুখ্যসচিব জে কে সিনহা, মুখ্য বন সংরক্ষক কে এস শেট্টি, আইজি সিআরপিএফ সুব্রত কুমার মিশ্রা, ব্রিগেডিয়ার বিক্রম গুলেরিয়া এবং আগরতলা পুরনিগমের কমিশনার ডা. শৈলেশ কুমার যাদব প্রমুখ।