Hare to Whatsapp
আজাদি কা অমৃত মহোৎসবের সমাপ্তিতে ৯ আগস্ট থেকে শুরু হচ্ছে মেরি মাটি মেরা দেশ অভিযান
নিজস্ব প্রতিবেদন
আগরতলা, আগষ্ট ৫, : আজাদি কা অমৃত মহোৎসবের সমাপ্তি উপলক্ষে আগামী ৯ আগস্ট থেকে ৩০ আগস্ট পর্যন্ত সারা দেশে ‘মেরি মাটি মেরা দেশ” শীর্ষক এক অভিযান কর্মসূচি শুরু হচ্ছে। রাজ্যেও যথাযোগ্য মর্যাদায় এই অভিযান উদযাপন করা হবে। এই অভিযানে যাঁদের প্রচেষ্টায় দেশের স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছিল তাঁদের বলিদানকে স্বরণ করা হবে। ৪ আগস্ট সন্ধ্যায় সচিবালয়ে এক সাংবাদিক সম্মেলনে তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের সচিব ড. প্রদীপ চক্রবর্তী একথা জানান। সাংবাদিক সম্মেলনে সচিব জানান, এই অভিযানে রাজ্যে স্বাধীনতা সংগ্রামী এবং প্রতিরক্ষা, আধাসামরিক ও পুলিশে কর্মরত অবস্থায় দেশের জন্য যাঁরা জীবন বলিদান দিয়েছেন তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। তিনি জানান, ভারতের স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তিকে স্মরণীয় করে রাখতে ২০২১ সালের ১২ মার্চ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আজাদি কা অমৃত মহোৎসবের সূচনা করেছিলেন।
সাংবাদিক সম্মেলনে সচিব জানান, ‘মেরি মাটি মেরা দেশ” অভিযানে স্বাধীনতা সংগ্রামী এবং প্রতিরক্ষা, আধাসামরিক ও পুলিশে কর্মরত অবস্থায় দেশের জন্য যাঁরা জীবন বলিদান দিয়েছেন তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েত, ভিলেজ কমিটি, নগর পঞ্চায়েত, পুরপরিষদ, আগরতলা পুরনিগম এলাকায় ‘শিলাফলকম' উৎসর্গ করা হবে। রাজ্যের প্রতিটি গ্রাম ও ওয়ার্ড, গ্রাম পঞ্চায়েত, এডিসি ভিলেজ কমিটি, নগর পঞ্চায়েত, পুরপরিষদ, আগরতলা পুরনিগম এলাকায় এবং রাজ্যস্তরের অনুষ্ঠানগুলিতে অংশগ্রহণকারীরা মাটির প্রদীপ বা এক মুঠো মাটি হাতে নিয়ে পঞ্চপ্রাণে শপথ গ্রহণ করবেন। অংশগ্রহণকারীরা অভিযান সম্পর্কিত তাদের সেলফি নিজেরাই ওয়েবসাইটে আপলোড করবেন। সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ারযোগ্য ডিজিটাল সার্টিফিকেট ডাউনলোড করা যাবে। ওয়েবসাইটটি হলো- merimaatimeradesh.gov.in.
সাংবাদিক সম্মেলনে তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের সচিব জানান, তাছাড়া প্রতিটি স্তরের অনুষ্ঠানে ‘বসুধা বন্দনায়' ৭৫টি করে গাছের চারা রোপণ করা হবে। বীরো কা বন্দনায় স্থানীয় প্রথা ও রীতিনীতি অনুসারে সমস্ত বীরদের পরিবারের সদস্যদের সম্মাননা দেওয়া হবে। তাছাড়া অভিযানের সাথে সংশ্লিষ্ট সমস্ত অনুষ্ঠানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও জাতীয় সংগীত পরিবেশন
করা হবে।
সাংবাদিক সম্মেলনে সচিব আরও জানান, এই অভিযানে মিটি যাত্রায় গ্রামীণ এলাকায় প্রতিটি গ্রাম বা ওয়ার্ড থেকে মাটি সংশ্লিষ্ট গ্রাম পঞ্চায়েত ও এডিসি ভিলেজ কমিটিতে নিয়ে যাওয়া হবে। পরবর্তীতে ১১৭৬টি গ্রাম পঞ্চায়েত ও এডিসি ভিলেজ কমিটি থেকে মাটি সংশ্লিষ্ট ৫৮টি ব্লকে নিয়ে যাওয়া হবে। রাজ্যের প্রতিটি ব্লক থেকে একজন করে যুবা স্বেচ্ছাসেবী ব্লক অন্তর্গত প্রত্যেক গ্রাম পঞ্চায়েত ও এডিসি ভিলেজ কমিটি থেকে সংগৃহীত মাটি কলসে করে প্রথমে রাজ্যস্তরে ও পরে নয়াদিল্লির কর্তব্যপথে নিয়ে যাবে। অনুরূপভাবে শহর ও নগর এলাকার বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে সংগৃহীত মাটি সংশ্লিষ্ট নগর পঞ্চায়েত ও পুরপরিষদে নিয়ে যাওয়া হবে। মোট ১৯টি নগর পঞ্চায়েত ও পুরপরিষদ থেকে সংগৃহীত মাটি আগরতলা পুরনিগমে নিয়ে আসা হবে। আগরতলা পুরনিগম এলাকা থেকে সংগৃহীত মাটি কলসে নিয়ে একজন যুবা স্বেচ্ছাসেবী প্রথমত রাজ্যস্তরে এবং পরে নয়াদিল্লির কর্তব্যপথে নিয়ে যাবে। নয়াদিল্লির কর্তব্যপথে স্মৃতিসৌধ ও অমৃত বাটিকা গড়ে তোলা হবে। সাংবাদিক সম্মেলনে সচিব জানান, রাজ্যের ৫৮টি ব্লক, ১৯টি নগরশাসিত সংস্থা এবং আগরতলা পুরনিগম থেকে আনা মাটির কিছু অংশ দিয়ে রাজ্যস্তরেও একটি অমৃত বাটিকা তৈরী করা হবে। রাজ্যস্তরের অনুষ্ঠানটি হবে সচিবালয়ের সন্নিকটে। মেরি মাটি মেরা দেশ অভিযানে ৯ থেকে ১৫ আগস্ট গ্রামপঞ্চায়েত, এডিসি ভিলেজ কমিটি, নগর ও পুর পরিষদের অনুষ্ঠানগুলি, ১৬ থেকে ২০ আগস্ট ব্লকস্তর ও আগরতলা পুরনিগমের অনুষ্ঠান, ১৬ থেকে ২৫ আগস্ট রাজ্যস্তরের অনুষ্ঠান ২৭ থেকে ২৮ আগস্ট নয়াদিল্লিতে যুবা স্বেচ্ছাসেবকদের আগমন এবং ২৯ থেকে ৩০ আগস্ট কর্তব্যপথে সর্বশেষ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে। তাছাড়াও ১৩ থেকে ১৫ আগস্ট গত বছরের মতো এবছরও ‘হর ঘর তিরঙ্গা' কর্মসূচিতে প্রতিটি বাড়ি ও প্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা স্ব স্ব উদ্যোগে উত্তোলন করা হবে। সচিব শ্রী চক্রবর্তী জানান, এই কর্মসূচির নোডাল দপ্তর হিসেবে থাকবে তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তর। যুব বিষয়ক ও ক্রীড়া দপ্তর এই অভিযান কর্মসূচিতে সহযোগিতা করবে। কর্মসূচি সাংবাদিক সম্মেলনে তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের অধিকর্তা বিম্বিসার ভট্টাচার্য এবং যুববিষয়ক ও ক্রীড়া দপ্তরের অধিকর্তা সত্যব্রত নাথ উপস্থিত ছিলেন।