Hare to Whatsapp
আগরতলা-চিটাগাং রুটে আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবা দ্রুত চালু নিয়ে বৈঠক করলেন মুখ্যমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদন
আগরতলা, আগষ্ট ৩, : আন্তর্জাতিক বিমান পরিবহণ প্রক্রিয়ার বর্তমান অবস্থা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডাঃ) মানিক সাহার সভাপতিত্বে আজ সচিবালয়ে এক উচ্চ পর্যায়ের সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় পরিবহনমন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী, মুখ্যসচিব জে কে সিনহা, রাজ্য পুলিশের মহানির্দেশক অমিতাভ রঞ্জন উপস্থিত ছিলেন। আগরতলা-চিটাগাং রুটে আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবা চালুর পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে যে সমস্ত পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে তা পর্যালোচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি সভায় বলেন, মহারাজা বীর বিক্রম বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ঘোষণা করার উদ্যোগ গ্রহণ করার বিষয়ে রাজ্য সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ আগরতলা-চিটাগাং রুটে আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবা চালুর বিষয়ে রাজ্য মন্ত্রিসভাও অনুমোদন দিয়েছে।কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয় থেকে প্রাপ্ত অনুরোধ অনুযায়ী এম বি বি বিমানবন্দরের ব্যুরো অব ইমিগ্রেশনে ১৭ জন আরক্ষাকর্মীকে নিযুক্ত করার জন্য ডিজিপি-কে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রনালয় ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের নির্দেশানুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে আরক্ষা ও পরিবহন দপ্তরের সচিবকে নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। আগরতলা-চিটাগাং রুটে আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবা চালুর যাবতীয় প্রক্রিয়া দ্রুত শেষ করার জন্যও সংশ্লিষ্ট দপ্তরের আধিকারিকদের নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী।
সভায় মুখ্যসচিব জে কে সিনহা জানান, আগরতলা থেকে চিটাগাং পর্যন্ত আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবা চালুর জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা গ্রহণ করেছে রাজ্য পরিবহন দপ্তর।মহারাজা বীর বিক্রম বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হিসেবে ঘোষনা এবং আগরতলা থেকে চিটাগাং পর্যন্ত আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবা চালুর ব্যবস্থা করার অসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রনালয়কে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে অনুরোধও জানানো হয়। পাশাপাশি মহারাজা বীর বিক্রম বিমানবন্দরকে ইমিগ্রেশন চেক পোষ্ট হিসাবে ঘোষনা করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়কে অনুরোধ জানানো হয়েছিল। এমবিবি বিমানবন্দরে ইমিগ্রেশন চেক পোষ্ট স্থাপনের বিষয়টি বর্তমানে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের বিবেচনাধীন রয়েছে বলে মুখ্যসচিব সভায় অবহিত করেন।
সভায় এছাড়াও পরিবহন দপ্তরের সচিব উত্তম কুমার চাকমা, আরক্ষা দপ্তরের সচিব শরদিন্দু চৌধুরী এবং পরিবহন দপ্তরের কমিশনার সুব্রত চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।