Share Whatsapp

উইকেন্ড ট্যুরিস্ট হাব ত্রিপুরার পর্যটনের একটি নতুন পালক : মুখ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদন

আগরতলা, জুলাই ৩১, : উইকেন্ড ট্যুরিস্ট হাব ত্রিপুরার পর্যটনের একটি নতুন পালক। দেশের উন্নত রাজ্যগুলিতে পর্যটন কেন্দ্রভিত্তিক এই ধরনের কর্মসূচি লক্ষ্য করা যায়। ৩০ জুলাই থেকে রাজ্যবাসীও প্রত্যেক শনি ও রবিবার এই উইকেন্ড ট্যুরিস্ট হাব অনুষ্ঠানের আনন্দ উপভোগ করতে পারবেন। ৩০ জুলাই সন্ধ্যায় উজ্জয়ন্ত প্রাসাদের প্রধান ফটকের সামনে উইকেন্ড ট্যুরিস্ট হাবের উদ্বোধন করে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা একথা বলেন। অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, দৈনন্দিন কাজের বাইরেও মানুষের মনের জন্য বিনোদনের প্রয়োজন। এই ধরনের বিনোদনের প্রয়োজনে এরকম উইকেন্ড ট্যুরিস্ট হাব অত্যন্ত উপযোগী হবে। বহির্রাজ্যের পর্যটকদেরও আকর্ষণ করতে সক্ষম হবে এই উইকেন্ড ট্যুরিস্ট হাব। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, উইকেন্ড ট্যুরিস্ট হাবে প্রতি শনি ও রবিবার ১৯টি জনজাতি সম্প্রদায়ের চিরাচরিত ঐতিহ্য থেকে শুরু করে ত্রিপুরার রাজ পরিবার এবং রাজবাড়ির ঐতিহ্যকে প্রাধান্য দিয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। এরফলে শিল্পীদের প্রতিভার বিকাশ হবে। উইকেন্ড ট্যুরিস্ট হাবের মাধ্যমে বিনোদনের পাশাপাশি শিক্ষামূলক পর্যটনের উপরও গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সক্রিয় ভূমিকায় রাজ্যের যোগাযোগ ব্যবস্থা আজ অনেকটাই উন্নত। তাই বর্তমানে ত্রিপুরার পর্যটনও অনেকটাই প্রচার ও প্রসার লাভ করেছে। প্রতিবছর রাজ্যের পর্যটক সংখ্যা বেড়ে চলছে। অনুষ্ঠানে পর্যটনমন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী বলেন, ত্রিপুরার জনগণ পর্যটনপ্রেমী। ত্রিপুরার মানুষের পর্যটনের প্রতি ভালোবাসাকে মান্যতা দিয়েই আজ থেকে এই উইকেন্ড ট্যুরিস্ট হাবের সূচনা করা হচ্ছে। রাজ্য সরকার রাজ পরিবার এবং রাজবাড়িকে সম্মান জানিয়েই এই স্থানকে নির্বাচন করেছে উইকেন্ড ট্যুরিস্ট হাবের জন্য। এখানে রাজ্যের শিল্প, সংস্কৃতি, ঐতিহ্য এবং রাজবাড়ির ইতিহাস সম্পর্কে জানার অনেক সুযোগ থাকবে। এই ট্যুরিস্ট হাবের মাধ্যমে বেকার যুবক যুবতীদের রোজগারের সুযোগও সৃষ্টি হবে।

অনুষ্ঠানে আগরতলা পুরনিগমের মেয়র দীপক মজুমদার বলেন, আগেও ত্রিপুরার পর্যটন কেন্দ্রগুলি ছিল। কিন্তু এতোটা প্রচার, প্রসার বা উন্নয়নের ছোঁয়া পায়নি। বর্তমান রাজ্য সরকার পর্যটনকে এগিয়ে নিয়ে যেতে খুবই আন্তরিক। তিনি বলেন, যখন কোনও রাজ্যে শান্তি, শৃঙ্খলা এবং অর্থনৈতিক স্বচ্ছলতা থাকে সেখানকার জনগণ পর্যটনমুখী হয়। বর্তমান ত্রিপুরায় সেই চিত্রই পরিলক্ষিত হচ্ছে।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন পর্যটন দপ্তরের সচিব ইউ কে চাকমা। বক্তব্য রাখেন মুখ্যসচিব জে কে সিনহা। ধন্যবাদসূচক বক্তব্য রাখেন পর্যটন দপ্তরের অধিকর্তা তপন দাস। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন পশ্চিম ত্রিপুরার জেলাশাসক ও সমাহর্তা ড. দেবপ্রিয় বর্ধন, পশ্চিম ত্রিপুরার পুলিশ সুপার কিরণ কুমার কে প্রমুখ।


You can post your comments below  
নিচে আপনি আপনার মন্তব্য বাংলাতেও লিখতে পারেন।  
বিঃ দ্রঃ
আপনার মন্তব্য বা কমেন্ট ইংরেজি ও বাংলা উভয় ভাষাতেই লিখতে পারেন। বাংলায় কোন মন্তব্য লিখতে হলে কোন ইউনিকোড বাংলা ফন্টেই লিখতে হবে যেমন আমার বাংলা কিংবা অভ্রো কী-বোর্ড (Avro Keyboard)। আমার বাংলা কিংবা অভ্রো কী-বোর্ডের সাহায্যে মাক্রোসফট্ ওয়ার্ডে (Microsoft Word) টাইপ করে সেখান থেকে কপি করে কমেন্ট বা মন্তব্য বক্সে পেস্ট করতে পারেন। আপনার কম্পিউটারে আমার বাংলা কিংবা অভ্রো কী-বোর্ড বাংলা সফ্টওয়ার না থাকলে নিম্নে দেয়া লিঙ্কে (Link) ক্লিক করে ফ্রিতে ডাওনলোড করে নিতে পারেন।
 
Free Download Avro Keyboard  
Name *  
Email *  
Address  
Comments *  
 
 
Posted comments
Till now no approved comments is available.