Hare to Whatsapp
গ্রামীণ এলাকার মানুষের রোজগার বৃদ্ধি করতে কৃষি ও কৃষি সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রের বিকাশে সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে : মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা
নিজস্ব প্রতিবেদন
আগরতলা, জুলাই ২৯, : রাজ্যের আর্থিক বিকাশের লক্ষ্যে কৃষি, উদ্যানপালন, মৎস্যচাষ ও প্রাণীসম্পদ বিকাশের উপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এসমস্ত ক্ষেত্রের উন্নয়ন কর্মসূচিগুলিতে সিপাহীজলা জেলার প্রান্তিক জনপদগুলির মানুষকে আরও বেশী করে যুক্ত করতে হবে। ২৮ জুলাই বিশ্রামগঞ্জে সিপাহীজলা জেলার জেলাশাসক ও সমাহর্তার কার্যালয়ের কনফারেন্স হলে জেলার উন্নয়ন কর্মসূচি নিয়ে এক পর্যালোচনা সভায় মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা একথা বলেন। পর্যালোচনা সভায় মুখ্যমন্ত্রী কৃষির বিকাশে সিপাহীজলা জেলায় জলসেচের সুযোগ সুনিশ্চিত করার উপর গুরুত্ব আরোপ করেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, জেলার কৃষি জমিগুলিকে স্থায়ীভাবে জলসেচের আওতায় নিয়ে আসতে হবে। জলসেচের ক্ষেত্রে যেসমস্ত সমস্যা রয়েছে তার সমাধানে একটি কর্মপরিকল্পনা তৈরী করতে তিনি কৃষি ও কৃষক কল্যাণ দপ্তর এবং জলসম্পদ দপ্তরের আধিকারিকদের নির্দেশ দেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, গ্রামীণ এলাকার মানুষের রোজগার বৃদ্ধি করতে সরকার কৃষি ও কৃষি সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রের বিকাশে সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এই ক্ষেত্রগুলিতে কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের অনেক উন্নয়ন প্রকল্প রয়েছে। এই প্রকল্পগুলি যথাযথভাবে রূপায়ণ করতে হবে।
পর্যালোচনা সভায় মুখ্যমন্ত্রী সিপাহীজলা জেলায় কেন্দ্রীয় ফ্ল্যাগশিপ প্রকল্প জলজীবন মিশন, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা, প্রধানমন্ত্রী মৎস্য সম্পদ যোজনা, প্রধানমন্ত্রী কৃষি সিঞ্চাই যোজনার মত প্রকল্পগুলির সঠিক বাস্তবায়ণের উপর গুরুত্ব আরোপ করেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এসমস্ত কেন্দ্রীয় প্রকল্পের সুবিধা প্রকৃত সুবিধাভোগীদের কাছে পৌছে দিতে হবে। পর্যালোচনা সভায় রাজ্য সরকারের ২০টি দপ্তরের উন্নয়ন কর্মসূচি নিয়ে পর্যালোচনা করা হয়। পর্যালোচনা সভায় সিপাহীজলা জিলা পরিষদের সভাধিপতি সুপ্রিয়া দাস দত্ত, বিধায়ক কিশোর বর্মণ, বিধায়ক অন্তরা সরকার দেব, বিধায়ক সুশান্ত দেব এবং সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলির প্রধান সচিব, সচিব, অধিকর্তা ও জেলাস্তরের অফিসারগণ উপস্থিত ছিলেন। সভায় মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্যে স্বাস্থ্য পরিষেবা ও গুণগত শিক্ষার সম্প্রসারণে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্য পরিষেবা ও গুণগত শিক্ষা সম্প্রসারণে উন্নত পরিকাঠামো গড়ে তুলতে সিপাহীজলা জেলাকেও গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, সম্প্রতি সোনামুড়া মহকুমায় ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। স্বাস্থ্য দপ্তরকে ইতিমধ্যেই সমগ্র জেলায় বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন ও আগাম ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শুধু সিপাহীজলা জেলা নয় সমগ্র রাজ্যেই ডেঙ্গু প্রতিরোধে স্বাস্থ্য দপ্তরকে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দেন।
পর্যালোচনা সভায় বিধায়ক কিশোর বর্মণ, বিধায়ক অন্তরা সরকার দেব ও বিধায়ক সুশান্ত দেব সংশ্লিষ্ট বিধানসভা কেন্দ্রের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন নিয়ে আলোচনা করেন। সভায় সিপাহীজলা জেলার জেলাশাসক ও সমাহর্তা ডা. বিশাল কুমার জেলার বিভিন্ন ব্লকের এমজিএন রেগা, ত্রিপুরা গ্রামীণ জীবিকা মিশন, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা-গ্রামীণ, স্বচ্ছ ভারত মিশন ও জলজীবন মিশনের সামগ্রিক চিত্র তুলে ধরেন। তাছাড়াও সভায় পুলিশ সুপার জে রেড্ডি নেশামুক্ত ত্রিপুরা অভিযানে সিপাহীজলা জেলার সাফল্যের চিত্র তুলে ধরেন।