Hare to Whatsapp
লকডাউনের কারনে বহিরাজ্যে আটকে পড়া ৩৯৭ টি একাউন্টে টাকা পাঠানোর কাজ শুরু
By Our Correspondent
আগরতলা, এপ্রিল ৬, : বহিরাজ্যে গিয়ে লকডাউনের কারনে আটকা পড়া ৩৯৭ টি পরিবারের ৬৬০ জনকে এখন পর্যন্ত চিহ্নিত করা গেছে এবং তাদের নামে অনলাইনে টাকা পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
রাজ্য সচিবালয় সূত্রে পাওয়া খবরে জানা গেছে, গত শনিবার পর্যন্ত ৮১ জনের একাউন্টে টাকা পাঠানো হয়েছে। আজ আরও কিছু একাউন্টে টাকা পাঠানো হচ্ছে। টাকা পাঠানোর কাজটি করা হচ্ছে জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে।
সংবাদ সূত্রে জানা গেছে, যারা ভ্রমন করতে বা চিকিৎসার প্রয়োজনে বহিরাজ্যে গিয়ে করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় দেশজূড়ে চালু লকডাউনের কারনে আটকা পড়ে গেছেন রাজ্য সরকার শুধু এমন পরিবার গুলিকেই আপাতত অর্থ সাহায্য দিচ্ছেন। কেউ পড়াশুনা বা স্থায়ী কাজের প্রয়োজনে আগে থেকেই বহিরাজ্যে রয়েছেন এমন কাউকে এই সাহায্য দেওয়া হচ্ছেনা।
পড়াশুনা ও কর্ম সংস্থানের জন্যে বহিরাজ্যে রয়েছেন এমন বহু যুবক যুবতীও দিল্লী, মুম্বাই, হায়দ্রাবাদ, ব্যাঙ্গালোর, পুনে, পশ্চিমবঙ্গ, গুয়াহাটি প্রভৃতি জায়গা থেকে অনুরোধ করছেন তারা বাড়ি ফিরতে চাইছেন। তাদেরকে ফেরানোর জন্য যাতে কোন ব্যবস্থা করা হয়। তাদের সন্দেহ দেশজুড়ে করোনা ভাইরাসের কারনে যে করুন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে নিকটদিনে সমস্যা আরও বাড়তে পারে। বাড়তে পারে লকডাউনের সময়সীমাও।
উদ্ভত অবস্থার প্রেক্ষিতে আগামী দিনে তাদের চাকুরীতেও টান পড়তে পারে। ইতিমধ্যেই লকডাউনের কারনে বেশ কিছু কোম্পানী তাদের কাজকর্ম বন্ধ রেখেছেন। লকডাউনের সময়সীমা বাড়লে আরও কিছু কোম্পানী অপারেশন বন্ধ করে দিতে পারে। অনেক কোম্পানীই কর্মচারীদের ছাটাই করে দিয়েছেন। এই অবস্থায় ভবিষ্যতে আরও করুন পরিণতির কথা মাথায় রেখে ত্রিপুরার বেকার যুবক যুবতীরা চাইছেন যেভাবেই হোক বাড়ি ফিরে আসতে। এবং এব্যাপারে তারা রাজ্য সরকারের হস্তক্ষেপ চাইছেন যাতে বিশেষ কোন ট্রেন বা বিমান পরিষেবা চালু করে তাদের ফিরিয়ে নিয়ে আসা হয়।
প্রসঙ্গত, রাজ্য সরকার ইতিপূর্বে ঘোষনা করেছিল যে লকাডাউনের কারনে চিকিৎসা বা নানা কারনে বহিরাজ্যে গিয়ে যারা আটক পড়েছেন তারা যে যেখানে রয়েছেন তাদের থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা করবে রাজ্য সরকার। বিশেষত ত্রিপুরা ভবন গুলিতে যারা রয়েছেন তাদের টাকা পুরোটাই দেবে রাজ্য সরকার। যারা বিভিন্ন হোটেলে রয়েছেন ২১ দিনের জন্যে তাদের প্রতিদিন হোটেল ভাড়া বাবদ ১০০০/- টাকা ও খাওয়া বাবদ দেওয়া হবে ১৫০/- টাকা।