Hare to Whatsapp
নেশামুক্ত ত্রিপুরা গড়ে তোলার অভিযানকে জনআন্দোলনের রূপ দিতে হবে : ক্রীড়ামন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদন
আগরতলা, জুলাই ১৬, : নেশামুক্ত ত্রিপুরা গড়ে তোলার অভিযানকে জনআন্দোলনের রূপ দিতে হবে। নেশাসক্তদের নেশার কবল থেকে মুক্ত করার পাশাপাশি যুবসমাজ যেন নেশার প্রতি আসক্ত না হয় সেজন্য সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে। নেশার কুফল সম্পর্কে সবাইকে আরও সচেতন করতে হবে। ১৫ জুলাই বিকেলে রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনে ‘নেশা মুক্ত ভারত কে লিয়ে খেলো ত্রিপুরা' অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করে যুব বিষয়ক ও ক্রীড়ামন্ত্রী টিংকু রায় একথা বলেন।
অনুষ্ঠানে ক্রীড়ামন্ত্রী বলেন, সুস্থ জীবনশৈলী অভ্যাস এবং নেশামুক্ত ভারত গড়ার লক্ষ্যে নেশামুক্ত ভারত অভিযান নামে একটি জাতীয় পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। নেশামুক্ত ভারত গড়ার লক্ষ্যে উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস, স্কুল প্রভৃতি জায়গায় সচেতনতা সৃষ্টির কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। রাজ্যে যুব বিষয়ক ও ক্রীড়া দপ্তর ‘স্বনীতি ইনিশিয়েটিভ' নামে একটি এনজিও-র সহযোগিতায় কাজ শুরু করেছে। এই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাটি রাজ্যের প্রতিটি ব্লকে ভলিবল প্রশিক্ষণের মাধ্যমে নেশায় আসক্ত ব্যক্তিদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনার কাজ শুরু করেছে। রাজ্যের ৯০ জন প্রাক্তন ভলিবল খেলোয়াড়কে প্রশিক্ষক হিসেবে নির্বাচিত করা হয়েছে এবং তাদের নিয়ে এনএসআরসিসিতে একটি কর্মশালার আয়োজন করা হয়। তারা সারা রাজ্যে নেশায় আসক্তদের ভলিবল খেলার মাধ্যমে নেশার কবল থেকে মুক্ত করার কাজ করবেন।
অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করে যুব বিষয়ক ও ক্রীড়ামন্ত্রী বলেন, স্বচ্ছ ভারত অভিযান দেশবাসী আন্তরিকভাবে গ্রহণ করেছেন বলেই তা সফল হয়েছে। যে কাজ আমরা করব তা মন থেকে করতে হবে। প্রত্যেক খেল মিত্রকে শপথ নিতে হবে যে আপনারা প্রত্যেকে কমপক্ষে ৫ জন নেশায় আসক্ত ব্যক্তিকে এর কবল থেকে বের করে আনবেন। এর পাশাপাশি সবাইকে এর কুফল বিষয়ে আরও সচেতন করতে হবে। ক্রীড়ামন্ত্রী এই কর্মসূচির সাফল্য কামনা করেন।
অনুষ্ঠানে যুব বিষয়ক ও ক্রীড়া দপ্তরের সচিব ড. পি কে চক্রবর্তী বলেন, নেশার বিরুদ্ধে জনসচেতনতা আরও বাড়াতে হবে। বিশেষ করে অভিভাবকদের এ বিষয়ে সচেতন করতে হবে। তিনি এই কর্মসূচির সাফল্য কামনা করেন। অনুষ্ঠানে সবাইকে স্বাগত জানান, স্বনীতি ইনিশিয়েটিভ-র ট্রাস্টি উমা ভট্টাচার্য। সবাইকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন যুব বিষয়ক ও ক্রীড়া দপ্তরের অধিকর্তা এস বি নাথ।