Hare to Whatsapp

রাজ্যবাসীর মধ্যে স্বাধীনতা সংগ্রামীদের প্রতি সম্মান চির অম্লান থাকবে : মুখ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদন

আগরতলা, জুলাই ১৫, : দেশের স্বাধীনতা অর্জনের গৌরবময় ইতিহাসকে বর্তমান প্রজন্মের সামনে তুলে ধরাই সরকারের লক্ষ্য। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দিশায় দেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের সাথে জড়িত রাজ্যের সমস্ত নাম জানা ও অজানা স্বাধীনতা সংগ্রামীদের স্মরণ করার উদ্দেশ্যেই তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের উদ্যোগে ১৪ জুলাই থেকে শুরু হয়েছে ‘৭৫ সীমান্ত গ্রাম ক্রান্তি বীরো কে নাম’ অনুষ্ঠান। সাব্রুমের মৈত্রী সেতু সংলগ্ন স্থানে রাজ্যভিত্তিক এই অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা একথা বলেন। উল্লেখ্য, আজ থেকে রাজ্যের চিহ্নিত ৭৫টি সীমান্ত গ্রামে এই কর্মসূচির সূচনা হয়েছে।

অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা আশা প্রকাশ করেন রাজ্যবাসীর মধ্যে স্বাধীনতা সংগ্রামীদের প্রতি সম্মান চির অম্লান থাকবে। তিনি বলেন, আমাদের মহান স্বাধীনতার জন্য যেসকল স্বাধীনতা সংগ্রামীগণ তাদের জীবন বলিদান দিয়েছেন কিন্তু ইতিহাসের পাতায় অবহেলিতই রয়ে গেছেন তাদেরকে জানার জন্যই এই অনুষ্ঠানের আয়োজন। স্বাধীনতা সংগ্রামীদের স্মরণ করতেই এবং দেশের মানুষের মধ্যে দেশাত্মবোধকে পুনরায় জাগ্রত করার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির চিন্তাধারায় শুরু হয়েছিল আজাদি কা অমৃত মহোৎসব কর্মসূচি। এই কর্মসূচির অঙ্গ হিসেবে আজ থেকে আগামী ১ মাস ব্যাপী রাজ্যের ৭৫টি সীমান্ত গ্রামে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের করা হবে। এরফলে সীমান্ত এলাকার মানুষ যেমন উজ্জীবিত হবেন তেমনি সারা রাজ্যের মানুষের মধ্যে স্বাধীনতা সংগ্রামীদের সম্পর্কে জানার আগ্রহ জাগ্রত হবে। মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, এই অনুষ্ঠান উপলক্ষে বাইসাইকেল র‍্যালি, রিলে ম্যারাথন, চিহ্নিত গ্রামগুলিতে সাংস্কৃতিক কর্মশালা, ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে দেশাত্মবোধক সংগীত লিখন, প্রবন্ধ প্রতিযোগিতা, অঙ্কন কর্মশালা, জেলাভিত্তিক মেলা আয়োজন করা হবে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পূর্বে মুখ্যমন্ত্রী সহ অন্যান্য অতিথিগণ সাব্রুম শহর সংলগ্ন স্থানে নাম জানা ও অজানা স্বাধীনতা সংগ্রামীদের স্মরণে একটি ফলক উন্মোচন করেন। পরে মৈত্রী সেতুর উপর অতিথিগণ বেলুন উড়িয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা করেন।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখতে গিয়ে তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের সচিব ড. পি কে চক্রবর্তী বলেন, রাজ্যে এখন পর্যন্ত ৫৩০ জন স্বাধীনতা সংগ্রামী এবং তাদের উত্তরাধিকারীদের খুঁজে পাওয়া গেছে। তাদেরকে এই অনুষ্ঠান উপলক্ষে আয়োজিত বিভিন্ন কর্মসূচিতে সম্মানিত করা হবে। তিনি আরও বলেন, সারুমের যেখানে আজ ফলক উন্মোচন করা হয়েছে সেখানে স্বাধীনতা সংগ্রামীদের খোদাইকৃত নাম সহ আরও বড় ফলক পরবর্তীতে স্থাপন করা হবে, যাতে রাজ্যের মানুষ তাদের সম্পর্কে জানতে পারেন।

অনুষ্ঠানে অন্যান্য অতিথিদের মধ্যে ছিলেন সমবায়মন্ত্রী শুক্লাচরণ নোয়াতিয়া, দক্ষিণ ত্রিপুরা জিলা পরিষদের সভাধিপতি কাকলি দাস দত্ত, বিধায়ক প্রমোদ রিয়াং, বিধায়ক মাইলাফ্লু মগ, বিধায়ক স্বপ্না মজুমদার, দক্ষিণ ত্রিপুরা জেলার জেলাশাসক সাজু ওয়াহিদ, পুলিশ সুপার ড. কুলবন্ত সিং প্রমুখ। অনুষ্ঠানে শেষে মুখ্যমন্ত্রী সহ অন্যান্য অতিথিগণ সাব্রুম মহকুমার ৬ জন এবং শান্তিরবাজার মহকুমার ১ জন স্বাধীনতা সংগ্রামীর পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা জ্ঞাপন করেন।


You can post your comments below  
নিচে আপনি আপনার মন্তব্য বাংলাতেও লিখতে পারেন।  
বিঃ দ্রঃ
আপনার মন্তব্য বা কমেন্ট ইংরেজি ও বাংলা উভয় ভাষাতেই লিখতে পারেন। বাংলায় কোন মন্তব্য লিখতে হলে কোন ইউনিকোড বাংলা ফন্টেই লিখতে হবে যেমন আমার বাংলা কিংবা অভ্রো কী-বোর্ড (Avro Keyboard)। আমার বাংলা কিংবা অভ্রো কী-বোর্ডের সাহায্যে মাক্রোসফট্ ওয়ার্ডে (Microsoft Word) টাইপ করে সেখান থেকে কপি করে কমেন্ট বা মন্তব্য বক্সে পেস্ট করতে পারেন। আপনার কম্পিউটারে আমার বাংলা কিংবা অভ্রো কী-বোর্ড বাংলা সফ্টওয়ার না থাকলে নিম্নে দেয়া লিঙ্কে (Link) ক্লিক করে ফ্রিতে ডাওনলোড করে নিতে পারেন।
 
Free Download Avro Keyboard  
Name *  
Email *  
Address  
Comments *  
 
 
Posted comments
Till now no approved comments is available.