Hare to Whatsapp
উদয়পুরের বনদুয়ারে কেন্দ্রীয় বিদ্যালয় স্থাপনের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে : মুখ্যমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদন
আগরতলা, জুলাই ১৪, : কেন্দ্রীয় বিদ্যালয় সংগঠনের নিয়ম অনুযায়ী দেশের প্রতিটি জেলায় অন্তত একটি কেন্দ্রীয় বিদ্যালয় স্থাপন করা হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে। এখন পর্যন্ত রাজ্যে নয়টি কেন্দ্রীয় বিদ্যালয় খোলা হয়েছে। উদয়পুরের বনদুয়ারে একটি কেন্দ্রীয় বিদ্যালয় স্থাপনের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। ১৩ জুলাই বিধানসভা অধিবেশনে উল্লেখ পর্বে বিধায়ক অভিষেক দেবরায়ের জনস্বার্থে আনা একটি নোটিশের জবাবে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা একথা জানান। বিধায়ক অভিষেক দেবরায়ের আনা মূল নোটিশটি ছিল ‘গোমতী জেলার বনদোয়ারে প্রস্তাবিত কেন্দ্রীয় বিদ্যালয় স্থাপনের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে”।
বিধায়কের নোটিশের জবাবে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা সভায় জানান, কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রকের উদ্যোগে দেশের বিভিন্ন রাজ্যে সেন্ট্রাল বোর্ড অফ সেকেন্ডারি এডুকেশন দ্বারা অনুমোদিত ‘কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়' স্থাপন করা হয়ে থাকে। দেশব্যাপী একটি অভিন্ন পাঠ্যক্ৰম অনুসরণকারী এই বিদ্যালয়গুলি স্থাপনের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনে কর্মরত সরকারি কর্মচারিগণ এক স্থান থেকে অন্য কর্মস্থলে বদলি হলে তাদের সন্তানদের গুণগত শিক্ষা লাভের অধিকার যাতে কোনভাবেই বিঘ্নিত না হয় তা সুনিশ্চিত করা।
প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় কর্মচারিদের পরিবারভুক্ত শিক্ষার্থীদের ভর্তি করার পর অবশিষ্ট আসনে রাজ্য সরকারের কর্মচারিদের ও সাধারণ জনগণের ছেলে মেয়েদের ভর্তি করা হয়। কেন্দ্রীয় বিদ্যালয় সংগঠনের নিয়ম অনুযায়ী ভারতবর্ষের প্রতিটি জেলায় অন্ততপক্ষে একটি কেন্দ্রীয় বিদ্যালয় স্থাপন করা হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে। এই পর্যন্ত রাজ্যে মোট ৯টি কেন্দ্রীয় বিদ্যালয় খোলা হয়েছে। এগুলির অতিরিক্ত উদয়পুরের বনদুয়ারে কেন্দ্রীয় বিদ্যালয় স্থাপনের জন্য প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। কেন্দ্রীয় বিদ্যালয় সংগঠনের চাহিদা অনুযায়ী উদয়পুরে বনদুয়ারে ১০ একর জমি হস্তান্তর করা হয়েছে এবং সেই জমিতে ২৫ লক্ষ টাকা ব্যয় করে অস্থায়ীভাবে ছাত্রছাত্রীদের জন্য শ্রেণীকক্ষ, শৌচাগার বিদ্যুৎ সংযোগ, পানীয় জল এবং শিক্ষার্থী ও শিক্ষক শিক্ষিকাদের আবাসনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই সংক্রান্ত রিপোর্ট সমূহ জমা দেওয়ার পর প্রস্তাবটি কেন্দ্রীয় বিদ্যালয় সংগঠন নীতিগতভাবে সমর্থন করেছে। তবে প্রকল্পটির নীতিগতসমর্থন হলেও বিদ্যালয় শুরু করার ব্যাপারে চূড়ান্ত অনুমোদন না পাওয়ায় বিদ্যালয় পঠন পাঠন শুরু হয়নি।