Hare to Whatsapp
কৃষকদের অর্থনৈতিক বুনিয়াদ শক্তিশালী হলে রাজ্যের অর্থনৈতিক বিকাশ তরান্বিত হবে : খাদ্যমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদন
আগরতলা, জুলাই ১২, : ভারতবর্ষ কৃষি প্রধান দেশ। কৃষকরা হচ্ছেন আমাদের অন্নদাতা। কৃষকদের অর্থনৈতিক বুনিয়াদ শক্তিশালী হলে দেশ ও রাজ্যের অর্থনৈতিক বিকাশ তরান্বিত হবে। ১১ জুলাই জিরানীয়া মহকুমায় মাধববাড়ি সরকারি খাদ্য গুদামে কৃষকদের কাছ থেকে সহায়ক মূল্যে ধান ক্রয় কর্মসূচির সূচনা করে খাদ্যমন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী একথা বলেন। অনুষ্ঠানে খাদ্যমন্ত্রী আরও বলেন, আগে আমাদের রাজ্যে কৃষকদের কাছ থেকে সহায়ক মূল্যে ধান ক্রয় করা হত না। ২০১৮ সালে রাজ্যে বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর কৃষকদের কাছ থেকে সহায়ক মূল্যে ধান ক্রয় করা শুরু হয়েছে। সরকারের এই কর্মসূচিতে রাজ্যের কৃষকগণ লাভবান হচ্ছেন ও কৃষকরাও উৎসাহিত হচ্ছেন।
অনুষ্ঠানে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, সরকার বছরে দু'বার কৃষকদের কাছ থেকে ধান ক্রয় করছে। এর ফলে কৃষকরা আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন। খাদ্যমন্ত্রী বলেন, কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকার কৃষকদের রোজগার দ্বিগুণ করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। পিএম-কিষাণ প্রকল্পে কৃষকদের বছরে ৩ কিস্তিতে ৬ হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। অনুষ্ঠানে খাদ্য দপ্তরের বিশেষ সচিব রাভেল হেমেন্দ্র কুমার জানান, আজ থেকে সারা রাজ্যে কৃষকদের কাছ থেকে সহায়ক মূল্যে ধান ক্রয় শুরু হয়েছে। রাজ্যের ৩২টি স্থানে এই কর্মসূচি চলবে। কৃষকদের কাছ থেকে প্রতি কুইন্টাল ধান ২,০৪০ টাকা দরে ক্রয় করা হবে। অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কৃষি ও কৃষক কল্যাণ দপ্তরের অধিকর্তা শরদিন্দু দাস। স্বাগত বক্তব্য রাখেন জিরানীয়া মহকুমার অতিরিক্ত মহকুমা শাসক সুশান্ত দেববর্মা। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জিরানীয়া পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারম্যান মঞ্জু দাস ও খাদ্য দপ্তরের অতিরিক্ত অধিকর্তা অনিমেষ দেববর্মা। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জিরাণীয়া পঞ্চায়েত সমিতির ভাইস চেয়ারম্যান প্রীতম দেবনাথ। উল্লেখ্য খাদ্য, জনসংভরণ ও ক্রেতা স্বার্থ বিষয়ক দপ্তরের উদ্যোগে এবং কৃষি ও কৃষক কল্যাণ দপ্তরের সহযোগিতায় এই কর্মসূচির সূচনা হয়েছে। মাধববাড়ি সরকারি খাদ্যগুদামে এই কর্মসূচিতে আগামী ১৫ জুলাই পর্যন্ত কৃষকদের কাছ থেকে সহায়ক মূল্যে ধান ক্রয় করা হবে।