Hare to Whatsapp
কৃষকদের আয় দ্বিগুণের লক্ষ্যে সচেষ্ট আমাদের কৃষকবন্ধু সরকার : সুশান্ত চৌধুরী
নিজস্ব প্রতিবেদন
আগরতলা, জুলাই ১১, : আজ সকালে জিরানিয়ায় একটি অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে রাজ্যের খাদ্য ও জন সংভরণ এবং কৃষি ও কৃষক কল্যাণ দপ্তরের যৌথ উদ্যোগে রাজ্যের কৃষকদের কাছ থেকে সরকারি সহায়ক মূল্যে চলতি রবি মরসুমের ধান কেনার কাজ শুরু হল। এই উপলক্ষে জিরানিয়া মহকুমার মাধববাড়ীস্থিত আন্তঃ রাজ্য ট্রাক টার্মিনাসে আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে মঙ্গলদ্বীপ প্রজ্জ্বলিত করে জিরানিয়া মহকুমার অধীন বিভিন্ন এলাকার কৃষকদের কাছ থেকে ধান ক্রয়ের আনুষ্ঠানিক শুভ সূচনা করেন মজলিশপুর কেন্দ্রের বিধায়ক তথা রাজ্যের খাদ্য ও জনসংভরণ দপ্তরের মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী। সেখানে উপস্থিত কৃষকদের সম্বোধন করতে গিয়ে মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী তার বক্তব্যে বলেন, আমাদের রাজ্যের কৃষকবন্ধুদের প্রতি রাজ্যের মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডাঃ) মানিক সাহা সর্বদাই সহানুভূতিশীল। তাঁর নির্দেশেই ধারাবাহিকতা বজায় রেখে কৃষকদের কাছ থেকে সরকারি সহায়ক মূল্যে আবারও ধান কেনার কাজ শুরু হয়েছে। কৃষকরা খোলাবাজারে ধান বিক্রি করে যে দাম পান তার থেকে অনেক বেশি দাম পান সরকারি ধান ক্রয়কেন্দ্রে। শুধুমাত্র কৃষকরাই যাতে এই সুবিধা পান তাঁর জন্য সচেষ্ট রয়েছে আমাদের কৃষকবন্ধু সরকার।
তিনি বলেন, রাজ্যের কৃষকদের আয় দ্বিগুণ করার লক্ষ্যে রাজ্য সরকারের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় রাজ্যের কৃষকদের কাছ থেকে ন্যুনতম সহায়ক মূল্যে এবছরও ধান ক্রয় করছে এফ.সি.আই। এটা একটা ঐতিহাসিক ঘটনা। এরই অঙ্গ হিসেবে আজ মাধববাড়ীস্থিত আন্তঃ রাজ্য ট্রাক টার্মিনাসে এফ.সি.আই এর উদ্যোগে জিরানিয়া মহকুমার কৃষকদের কাছ থেকে ন্যুনতম সহায়ক মূল্যে আবারও ধান কেনার কাজ শুরু হয়েছে।
ধানের মূল্য বৃদ্ধিতে কৃষকদের উৎসাহ বেড়েছে৷ ফলে, ফলনও বেড়েছে। ন্যূনতম সহায়ক মূল্যে ধান ক্রয়ের কর্মসূচি শুরু হওয়ার পর থেকে ত্রিপুরায় কয়েক লক্ষ কৃষক উপকৃত হয়েছেন। তাতে, ত্রিপুরা সরকারের আর্থিক বোঝা বেড়েছে ঠিকই, কিন্তু কৃষকরা আর্থিকভাবে লাভবান হয়েছেন।অতীতে ত্রিপুরায় এমএসপি-র মাধ্যমে ধান কেনার কোনও বন্দোবস্তই ছিল না। ফলে কৃষকরা বঞ্চিত হতেন। আমাদের সরকার তা শুরু করেছে৷ ত্রিপুরা সরকার কৃষকদের কাছ থেকে কুইন্টাল প্রতি ২০৪০ টাকা দরে ধান ক্রয় করছে। এবছর রাজ্য সরকার কৃষকদের কাছ থেকে ৩৫,০০০ মেট্রিক টন ধান ক্রয়ের লক্ষ্যমাত্রা হাতে নিয়েছে। তিনি রাজ্যের কৃষকবন্ধুদের কাছে অনুরোধ করে বলেন, আপনারা আপনাদের নিকটবর্তী কৃষি বিভাগ বা মহকুমাশাসকের দফতরের সাথে যোগাযোগ রেখে আপনাদের ধান বিক্রয় করুন এবং ন্যূনতম সহায়ক মূল্যে ধান বিক্রয়ের সুবিধা গ্রহণ করুন। সব কৃষক যাতে সরকারি সহায়ক মূল্যে নির্দিষ্ট পরিমাণ ধান বিক্রি করতে পারেন তার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা অবলম্বন করা হবে। ধান ক্রয় কেন্দ্রে সরকারি সহায়ক মূল্যে ধান বিক্রি করতে আমাদের কৃষক বন্ধুদের কোনোভাবেই যাতে হয়রানির শিকার না হতে হয় সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রাখার জন্য তিনি সেখানে উপস্থিত আধিকারিকদের নির্দেশ প্রদান করেন।
আজকের এই অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন,খাদ্য ও জনসংভরণ দপ্তরের বিশেষ সচিব রাভাল হেমেন্দ্র কুমার, কৃষি ও কৃষক কল্যাণ দপ্তরের অধিকর্তা শরদিন্দু দাস,জিরানীয়া পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারপার্সন শ্রীমতি মঞ্জু দাস, ভাইস চেয়ারপার্সন প্রীতম দেবনাথ, খাদ্য ও জনসংভরণ দপ্তরের অতিরিক্ত অধিকর্তা অনিমেষ দেববর্মা, জিরানিয়া মহকুমার মহকুমা শাসক শান্তিরঞ্জন চাকমা,অতিরিক্ত মহকুমা শাসক সুশান্ত দেববর্মা, জিরানিয়া কৃষি মহকুমার কৃষি তত্বাবধায়ক আধিকারিক সুব্রত দাস, ফুড কর্পোরেশন অব ইন্ডিয়ার আধিকারিকেরা সহ অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিগণ ও স্থানীয় ধান উৎপাদনকারী কৃষকেরা।।