Hare to Whatsapp
রাজ্যে রক্তদান এখন উৎসবের রূপ নিয়েছে : মুখ্যমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদন
আগরতলা, জুলাই ১০, : রাজ্যে রক্তদান এখন উৎসবের রূপ নিয়েছে। রক্তদানের চাইতে বড় দান আর কিছুই হতে পারে না। রক্তের কোন ধর্ম নেই। একজনের রক্তে ৩ থেকে ৪ জনের জীবন বাঁচে। ৯ জুলাই আগরতলার সূর্যচৌমুহনীস্থিত স্মৃতি ক্লাবের উদ্যোগে আয়োজিত মেগা রক্তদান শিবিরের উদ্বোধন করে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা একথা বলেন৷ রক্তদান শিবিরের উদ্বোধন করে মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ক্লাবগুলিকে রক্তদান শিবিরের আয়োজন করলে চলবে না, নেশামুক্ত রাজ্য গড়তে ক্লাবগুলিকে নেশাবিরোধী আলোচনাচক্রেরও আয়োজন করতে হবে। নেশা সভ্যতা ও সমাজের জন্য ক্ষতিকারক। নেশার করালগ্রাসে অনেক প্রতিভাবান সমাজ থেকে হারিয়ে যায়। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্য সরকার নেশামুক্ত ত্রিপুরা গড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী রাজ্য সরকার এবারের বাজেট প্রস্তাবে রাজ্যের ৮ জেলায় ৮টি নেশামুক্তি কেন্দ্র খোলার সংস্থান রেখেছে।
অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা বলেন, রক্তের গ্রুপ বিন্যাসের জনক হলেন ভিয়েনার বিজ্ঞানী ডা. কার্ল ল্যান্ডস্টেইনার। তিনিই রক্তের এ, বি, ও এবং এবি এই ৪টি শ্রেণীবিন্যাস করেন। এই আবিষ্কারের জন্য তিনি আজ সমগ্র বিশ্বে পূজিত হন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, একজন ১৮ থেকে ৬৫ বছর বয়সের সুস্থ ব্যক্তি প্রতি ৩ মাস অন্তর অন্তর রক্তদিতে পারেন। রক্তদিলে শরীর ভাল থাকে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এখন রাজ্যের সর্বত্র বিভিন্ন ক্লাব, সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা রক্তদানে এগিয়ে এসেছে। রাজ্যের সর্বত্র নতুন নতুন রক্তদাতাও রক্তদানে এগিয়ে এসেছেন। মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা রক্তদান শিবিরের আয়োজন করায় ক্লাব কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানান।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, অতীতের আতঙ্কের ক্লাব সংস্কৃতি এখন আমূল বদলে গেছে। তার জায়গায় স্থান করে নিয়েছে রক্তদান, সংস্কৃতিচর্চা, খেলাধুলা ও সামাজিক উন্নয়ন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, সরকার রাজ্যে সকল অংশের মানুষের কল্যাণে কাজ করছে। উন্নয়ন কর্মসূচি রূপায়ণে কোন রাজনৈতিক রঙ দেখা হয়না। সরকার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রদর্শিত পথে সবকা সাথ-সবকা বিকাশের লক্ষ্যে কাজ করছে। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি আগরতলা পুর নিগমের মেয়র দীপক মজুমদার বলেন, রক্তের কোন বিকল্প নেই। পৃথিবীর কোন বিজ্ঞানী এখন পর্যন্ত রক্তের বিকল্প তৈরী করতে পারেন নি।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন আগরতলা পুর নিগমের কর্পোরেটর তথা সেন্ট্রাল জোনের চেয়ারম্যান রত্না দত্ত। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন স্মৃতি ক্লাবের সভাপতি খোকন দাস। অনুষ্ঠানে ক্ষুদে অংকন শিল্পী নয়ন বসাক তার আঁকা মুখ্যমন্ত্রীর ছবি মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহার হাতে তুলে দেয়। অনুষ্ঠানে আগরতলা পুর নিগমের ২০নং ওয়ার্ডের পক্ষ থেকে মোট ৩০০টি পাপোস মহিলাদের হাতে তুলে দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সমাজসেবী সঞ্জয় সাহা, সমাজসেবী অসীম ভট্টাচার্য, স্মৃতি ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক রূপক সাহা প্রমুখ। শিবিরে ২৬ জন রক্তদান করেন।