Hare to Whatsapp
অ্যাক্ট ইস্ট পলিসি প্রনয়ণের পর ত্রিপুরাসহ উত্তর-পূর্বাঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থায় উন্নতি হয়েছে : পরিবহণ মন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদন
আগরতলা, জুলাই ৮, : প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির অ্যাক্ট ইস্ট পলিসি প্রনয়ণের পর ত্রিপুরাসহ উত্তর-পূর্বাঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থার ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব উন্নতি সাধিত হয়েছে। রাজ্যের যোগাযোগের ক্ষেত্রে সড়ক, বিমান এবং রেল চলাচল ব্যবস্থার পরিকাঠামোগত আমূল পরিবর্তন হয়েছে। রাজ্যের জনস্বার্থ সম্পর্কিত বিষয় সহ যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে কেন্দ্রীয় সরকার বেশ আন্তরিক। ৭ জুলাই বিধানসভায় বিধায়ক স্বপ্না দাস পাল আনীত ‘লামডিং থেকে আগরতলা হয়ে সাব্রুম পর্যন্ত ডাবল-ট্র্যাক রেলওয়ে লাইন স্থাপনের জন্য ত্রিপুরা বিধানসভা কেন্দ্রীয় সরকারকে অনুরোধ জানাচ্ছে' শীর্ষক বেসরকারি প্রস্তাবের উপর আলোচনায় অংশগ্রহণ করে পরিবহণ মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী কথাগুলি বলেন।
পরিবহণ মন্ত্রী শ্রী চৌধুরী বলেন, রাজ্য সরকার ত্রিপুরার যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের জন্য খুবই আন্তরিক ও উদ্যোমী ভূমিকা পালন করছে। বর্তমানে লামডিং থেকে সাব্রুম পর্যন্ত রেল ট্র্যাকটি সিঙ্গেল রয়েছে। এরফলে রাজ্যের ট্রেন পরিষেবা নির্ধারিত সময়ে গন্তব্যে পৌঁছতে পারে না। বিষয়টি উপলবদ্ধি করে ট্রেন পরিষেবার উন্নয়নে কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রকের নিকট রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী অশ্বীনি কুমারের সঙ্গে আলোচনায় রাজ্যের রেল পরিষেবা উন্নয়নে সর্বোত সহযোগিতার আশ্বাস পাওয়া গেছে।
পরিবহণ মন্ত্রী শ্রী চৌধুরী আরও বলেন, বাধারঘাট রেলস্টেশনকে আন্তর্জাতিক মানের করার কাজও শুরু হয়েছে। আগামী ডিসেম্বর মাসের মধ্যে নিশ্চিন্তপুর হয়ে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা চালু করা হবে। এর উদ্বোধনে উভয় দেশের প্রধানমন্ত্রীদের অংশগ্রহণে কথাও রয়েছে। এভাবে আগামীদিনে ত্রিপুরা উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বাণিজ্যিক দ্বারে পরিণত হবে। রাজ্যের সার্বিক উন্নয়নে তিনি সকলের অংশিদারিত্ব কামনা করেন। এছাড়াও বেসরকারি প্রস্তাবটিকে সমর্থন করে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন বিধানসভার মুখ্য সচেতক বিধায়ক কল্যাণী রায়, বিরোধী দলনেতা বিধায়ক অনিমেষ দেববর্মা, বিধায়ক গোপাল চন্দ্র রায়, বিধায়ক দীপঙ্কর সেন, বিধায়ক শৈলেন্দ্র চন্দ্র নাথ প্রমুখ। সভায় সকলের সম্মতিক্রমে বেসরকারি প্রস্তাবটি গৃহীত হয়।