Hare to Whatsapp
দেশের অখন্ডতা রক্ষায় ড. শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জীর অবদান ছিল অতুলনীয় : মুখ্যমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদন
আগরতলা, জুলাই ৭, : ভারত কেশরী ড. শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জী ভারতবর্ষের এক কিংবদন্তী নেতা ছিলেন। দেশের অখন্ডতা রক্ষায় তাঁর অবদান ছিল অতুলনীয়। কিন্তু স্বাধীনোত্তর ভারতবর্ষে তৎকালীন শাসকদল দেশ গড়ার কাজে ও দেশের অখন্ডতা রক্ষায় ড. শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জীর অবদানকে কখনও স্মরণ করেনি। ৬ জুলাই রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনে ড. শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জীর ১২৩তম জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে শ্রদ্ধাঞ্জলি অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা একথা বলেন। শ্রদ্ধাঞ্জলি অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি শুরু থেকেই যুব সমাজকে ভারতের কিংবদন্তী ব্যক্তিত্বদের জীবন ও দর্শন দ্বারা প্রভাবিত করার জন্য প্রয়াস নিয়েছেন। ড. শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জীর জীবন, দর্শন, দেশপ্রেম নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জী ও দীনদয়াল উপাধ্যায়ের মত ভারতমাতার বরেণ্য সন্তানদের চিন্তাধারায় প্রভাবিত হয়েই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দেশের অন্তিম ব্যক্তি পর্যন্ত উন্নয়নে ব্রতী হয়েছেন। রাজ্য সরকারও প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশিত পথেই রাজ্যবাসীর কল্যানে কাজ করে চলেছে। তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তর আয়োজিত এই শ্রদ্ধাঞ্জলি অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী এদিন রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনে ড. শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জীর জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে আয়োজিত আলোকচিত্র প্রদর্শনী ও চিত্রাঙ্কন প্রদর্শনীরও উদ্বোধন করেন।
শ্রদ্ধাঞ্জলি অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা আরও বলেন, ড. শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জীর কাছে সর্বাগ্রে ছিল দেশ, দেশের অখন্ডতা ও দেশবাসীর কল্যাণ। ড. শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জী সবসময়ই দেশকে শক্তিশালী করার আহ্বান জানিয়েছিলেন। বর্তমান সময়ের প্রেক্ষাপটে দেশের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সন্ধিক্ষণে ড. শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জীর মত নেতার খুবই প্রয়োজন। তিনি সবসময় অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও প্রতিরোধ গড়ে তোলার কথা বলতেন। বনেদি ঘরের সন্তান হয়েও দেশমাতৃকার কল্যাণে তিনি নিজের জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, দেশের বরেণ্য সন্তানদের চিন্তাধারায় প্রভাবিত হয়ে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজে সকলকে সংঘবদ্ধভাবে এগিয়ে আসতে হবে। দেশকে শক্তিশালী করার মাধ্যমেই নতুন ভারতবর্ষ গড়ে তোলা সম্ভব।
শ্রদ্ধাঞ্জলি অনুষ্ঠানে মুখ্য আলোচক মহারাজা বীরবিক্রম মহাবিদ্যালয়ের প্রাক্তন অধ্যাপক ড. জগদীশ গণচৌধুরী বলেন, ড. শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জী ছিলেন একজন সংগ্রামী ও সংযমী পুরুষ। দেশের অখন্ডতা রক্ষায় তিনি বলিষ্ঠ ভূমিকা নিয়েছিলেন। ত্রিপুরার ভারতভুক্তিতেও ড. শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জীর উল্লেখযোগ্য অবদান ছিল। অনুষ্ঠানে ড. শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জী সম্পর্কে এক তথ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতে অতিথিগণ ড. শ্যামপ্রসাদ মুখার্জীর প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। অনুষ্ঠানে এছাড়াও বক্তব্য রাখেন তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের সচিব ড. পি কে চক্রবর্তী ও অধিকর্তা বিম্বিসার ভট্টাচার্য।
অনুষ্ঠান উপলক্ষে তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের উদ্যোগে বিভিন্ন মহাবিদ্যালয় ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে প্রবন্ধ প্রতিযোগিতা, বিভিন্ন বিদ্যালয়ে আলোচনাসভার আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী সহ অন্যান্য অতিথিগণ প্রবন্ধ প্রতিযোগিতায় বিজয়ী কমলপুর সরকারি মহাবিদ্যালয়ের ছাত্রী শালিনী দেব, মোহনপুরের স্বামী বিবেকানন্দ মহাবিদ্যালয়ের ছাত্র সাগরদ্বীপ কুড়ি ও বিবিএমসি'র ছাত্র অভিষেক সরকারের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।