Hare to Whatsapp
প্রাণীজখাদ্য উৎপাদনে রাজ্যকে স্বনির্ভর করে তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে : প্রাণীসম্পদ বিকাশ মন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদন
আগরতলা, জুলাই ৬, : প্রাণীজ খাদ্য উৎপাদনে রাজ্যকে স্বনির্ভর করার উদ্যোগ নিয়েছে বর্তমান সরকার। এজন্য প্রাণীসম্পদ বিকাশ দপ্তরের উদ্যোগে বিভিন্ন কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। দপ্তরের গৃহীত কর্মসূচিগুলি প্রকৃত সুবিধাভোগীদের কাছে পৌছে দিতে হবে। ৫ জুলাই গোমতী জিলা পরিষদের কনফারেন্স হলে প্রাণীসম্পদ বিকাশ দপ্তরের জেলাভিত্তিক এক পর্যালোচনা সভায় প্রাণীসম্পদ বিকাশ মন্ত্রী সুধাংশু দাস একথা বলেন। জেলাভিত্তিক এই পর্যালোচনা সভায় জেলার মৎস্য ও তপশিলিজাতি কল্যাণ দপ্তরের উন্নয়নমূলক কাজেরও পর্যালোচনা করা হয়। পর্যালোচনা সভায় সংশ্লিষ্ট দপ্তরের জেলা আধিকারিকগণ কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের অগ্রগতি ও কর্মপরিকল্পনা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।
সভায় প্রাণীসম্পদ বিকাশ, মৎস্য এবং তপশিলিজাতি কল্যাণ মন্ত্রী সুধাংশু দাস সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলিতে জনকল্যাণে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের গৃহীত প্রকল্পগুলি বাস্তবায়ণের উপর গুরুত্ব আরোপ করেন। তিনি বলেন, মৎস্য ও প্রাণীজখাদ্য উৎপাদনে রাজ্যকে আত্মনির্ভর করে তুলতে সরকার উদ্যোগ নিয়েছে। রাজ্যের অর্থনৈতিক বিকাশে মৎস্য ও প্রাণীপালনের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। তাই সরকার এই দু'টি ক্ষেত্রের সার্বিক বিকাশে অগ্রাধিকার দিয়েছে। মাছের উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য জেলার পরিত্যক্ত জলাশয়গুলিকে মৎস্যচাষের আওতায় নিয়ে আসতে হবে। এজন্য দপ্তরকে কর্মপরিল্পনা গ্রহণের জন্য তিনি নির্দেশ দেন।
পর্যালোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন গোমতী জিলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাধিপতি দেবল দেবরায়, বিধায়ক রামপদ জমাতিয়া, বিধায়ক রঞ্জিত দাস, বিধায়ক অভিষেক দেবরায়, বিধায়ক জিতেন্দ্র মজুমদার, বিধায়ক সঞ্জয় মানিক ত্রিপুরা, গোমতী জেলার জেলাশাসক গোবেকার ময়ূর রতিলাল, প্রাণীসম্পদ বিকাশ দপ্তরের অধিকর্তা ডক্টর কে শশী কুমার, মৎস্য দপ্তরের অধিকর্তা মোসলেম উদ্দিন আহমেদ এবং তফসিলি জাতি কল্যাণ দপ্তরের অধিকর্তা অসীম সাহা সহ জেলার বিভিন্ন পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারম্যানগণ, উদয়পুর পুর পরিষদ এবং অমরপুর নগরপঞ্চায়েতের চেয়ারপার্সনগণ, মহকুমা শাসকগণ প্রমুখ।