Hare to Whatsapp
রাজ্যে ক্লাব সংস্কৃতির এখন পরিবর্তন হয়েছে : মুখ্যমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদন
আগরতলা, জুলাই ৩, : রাজ্যে ক্লাব সংস্কৃতির এখন পরিবর্তন হয়েছে। ক্লাবগুলি এখন রক্তদান, যোগা, বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও খেলাধূলার আয়োজন করছে। সমাজ থেকে নেশা ও গার্হস্থ্য হিংসা দূর করে সমাজকে নতুন রূপে গড়ে তুলতে ক্লাবগুলি উদ্যোগ নিয়েছে। ক্লাবগুলির এই উদ্যোগ আজ সমাজের চেহারাই পাল্টে দিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা ২ জুলাই জয়নগরস্থিত যুব সমাজ ক্লাবের উদ্যোগে আয়োজিত রক্তদান শিবির এবং রবীন্দ্র-নজরুল জন্মজয়ন্তী অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করে একথা বলেন। যুব সমাজ ক্লাবের এই উদ্যোগের প্রশংসা করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্য সরকার স্বাস্থ্য পরিষেবার সম্প্রসারণ ও উন্নয়নে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। নেশামুক্ত ত্রিপুরা গড়তে রাজ্যের বিভিন্ন ক্লাব, সামাজিক সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানকে আরও অগ্রণী ভূমিকা নিতে হবে। গার্হস্থ্য হিংসা ও সমাজের নানা অবক্ষয় রোধে সকলকে একসাথে মিলে কাজ করতে হবে।
অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, রক্তদানের চেয়ে বড় দান আর কিছু হতে পারে না। সমাজে যত দান আছে তার মধ্যে রক্তদান সর্বশ্রেষ্ঠ। একজন রক্তদাতার রক্তে ৩ থেকে ৪ জন রোগীর প্রাণ বাঁচে। রাজ্যে বর্তমানে ১২টি সরকারি ও ২টি বেসরকারি ব্লাড ব্যাংক রয়েছে। বর্তমানে ব্লাড ব্যাংকগুলিতে প্রায় ৪২ হাজার ইউনিট রক্ত মজুত রয়েছে। রাজ্যে ২টি মেডিক্যাল কলেজ রয়েছে। ত্রিপুরা ডেন্টাল কলেজ এবছর থেকে শুরু হচ্ছে। হোমিওপ্যাথিক ও আয়ুর্বেদিক মেডিক্যাল কলেজ চালু করার জন্য সরকার চিন্তাভাবনা করছে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি আগরতলা পুরনগিমের মেয়র দীপক মজুমদার বলেন, রক্তদান মহৎ দান। রক্তদান চাহিদা ও যোগানের মধ্যে সমতা বজায় রাখে। তিনি বলেন, আগরতলা পুরনিগম নিগম এলাকার পুরানো পুকুর সংস্কার ও সৌন্দর্যায়ণের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এরই অঙ্গ হিসাবে নিগম যুব সমাজ ক্লাব এলাকার পুকুরটির সংস্কার ও সৌন্দর্যায়ণের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এজন্য নিগম থেকে ৩০ লক্ষ টাকা মঞ্জুর করা হয়েছে। অনুষ্ঠানের পর মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা ফলক উন্মোচন করে এই পুকুর সংস্কার ও সৌন্দর্যায়ন প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন যুব সমাজ ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সুব্রত দে। উপস্থিত ছিলেন আগরতলা পুরনিগমের মেয়র ইন কাউন্সিল তুষার কান্তি ভট্টাচার্য, কর্পোরেটর জাহ্নবী দাস চৌধুরী, যুব সমাজ ক্লাবের সভাপতি সমীর রঞ্জন রায় প্রমুখ। শিবিরে ২১ জন রক্তদান করেন। সন্ধায় আয়োজিত হবে রবীন্দ্র-নজরুল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।