Hare to Whatsapp
খার্চি উৎসব আমাদের কৃষ্টি ও সংস্কৃতিকে সমৃদ্ধ করে : কেন্দ্রীয় সামাজিক ন্যায় প্রতিমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদন
আগরতলা, জুলাই ৩, : খার্চি উৎসব রাজ্যের জাতি জনজাতি সম্প্রদায়ের ঐক্য ও সংহতিকে আরও সুদৃঢ় করে। সমৃদ্ধ করে আমাদের কৃষ্টি ও সংস্কৃতিকে। ২ জুলাই ঐতিহ্যবাহী খার্চি উৎসব ও প্রদর্শনীর সমাপ্তি অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় সামাজিক ন্যায় ও ক্ষমতায়ণ প্রতিমন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিক একথা বলেন। সমাপ্তি অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। সমাপ্তি অনুষ্ঠানে তিনি আরও বলেন, দেখতে দেখতে ৭দিন কেটে গেল। খার্চি উৎসবের আনন্দ শেষ হয়ে গেলেও আমরা আগামী বছরের অপেক্ষায় থাকব। কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী বলেন, খার্চি উৎসবের আলোয় আমাদের পারস্পরিক মেলবন্ধনও সুদৃঢ় হয়। নানা ভাষা কৃষ্টি ও সংস্কৃতির মানুষ এখানে মিলিত হন। আমাদের দেশের প্রধানমন্ত্রীও আমাদের সমগ্র দেশকে সাংস্কৃতিক ঐক্যের সুরে বাঁধতে চান। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি শুধু আমাদের দেশ নয় সমগ্র বিশ্বকেও এক সুরে বাঁধতে চান।
সমাপ্তি অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি সমবায় মন্ত্রী শুক্লাচরণ নোয়াতিয়া বলেন, খাৰ্চি উৎসব আমাদের রাজ্যের জাতি জনজাতি সম্প্রদায়ের কৃষ্টি ও সংস্কৃতির মিলন উৎসব। এই উৎসবের মধ্য দিয়ে সংস্কৃতির বিকাশ যেমন হয় তেমনি মেলাকে কেন্দ্র করে রোজগারের সুযোগ ঘটে। অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিশেষ অতিথি সমাজসেবী রাজীব ভট্টাচার্য। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন খার্চি উৎসব কমিটির চেয়ারম্যান বিধায়ক রতন চক্রবর্তী ও খার্চি উৎসব কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান পুরাতন আগরতলা পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারম্যান বিশ্বজিৎ শীল। সমাপ্তি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিম ত্রিপুরা জেলার জেলাশাসক দেবপ্রিয় বর্ধন ও সমাজসেবী অমিত কুমার নন্দী। অনুষ্ঠানে দিব্যাঙ্গ মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের আর্থিক সহায়তা ও সংবর্ধনা দেওয়া হয়। তাছাড়াও তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তর এবং রাজস্ব দপ্তরের উদ্যোগে আয়োজিত বসে আঁকো প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের পুরস্কৃত করা হয়। সমাপ্তি অনুষ্ঠানে ঐতিহ্যবাহী খার্চি উৎসব ও প্রদর্শনী উপলক্ষে অংশগ্রহণকারী প্রদর্শনী স্টলগুলিকে পুরস্কৃত করা হয়।