Hare to Whatsapp
বিদ্যুৎ হাব-এ পরিণত হচ্ছে উত্তর পূর্বাঞ্চল, বিদুত উদ্বৃত্ত রাজ্য ত্রিপুরা: রতন লাল নাথ
নিজস্ব প্রতিবেদন
আগরতলা, জুন ২৯, : বিদ্যুৎ উদ্বৃত্ত রাজ্য হিসেবে উঠে এসেছে ত্রিপুরা, মিজোরাম, অসম এবং অরুণাচল প্রদেশ ।এই অঞ্চলকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের হাব হিসেবে গড়ে তোলার উদ্যোগ চলছে বলেও জানিয়েছেন রাজ্যের বিদ্যুৎমন্ত্রী রতন লাল নাথ ।
অরুণাচল প্রদেশের তাওয়াঙ-এ এক বৈঠকে ত্রিপুরার বিদুত স্বার্থ সংশ্লিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ সাতটি সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। রতনবাবু জানান, বৈঠকের সিদ্ধান্ত মোতাবেক ৮২ কিলোমিটার ১৩২ কিলো ভোল্ট লাইনের পুরানো পরিবাহী তার পরিবর্তন করার জন্য রাজ্যকে ৭০ কোটি টাকা অনুমোদন দেওয়া হয়েছে । এছাড়া আরো ৭৪ কিলোমিটার পিকে বাড়ি থেকে ধর্মনগর এবং ধর্মনগর থেকে দুর্লভছড়া পর্যন্ত ১৩২ কিলো ভোল্ট পরিবাহি তার পরিবর্তন করার সিদান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। পাশাপাশি বিদ্যুৎ সংক্রান্ত স্মার্ট ট্রেনিং ইনস্টিটিউট গঠন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ৪৪ কোটি ৪৬ লক্ষ টাকা ব্যায়ে ত্রিপুরা SLDC তে SCADA আপগ্রেডেশন করার বিষয়েও অনুমোদন মিলেছে। ভারত সরকার এবং বিশ্ব ব্যাংকের আর্থিক সহযোগিতায় NERPSIP প্রজেক্ট এর মাধ্যমে যে সকল নতুন বিদ্যুৎ সাব স্টেশন গঠিত হচ্ছে এবং আগামী দিনে হবে তার জন্য অতিরিক্ত কর্মী আধিকারিকদের বেতন ভাতা সংক্রান্ত সমস্ত খরচ কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎ মন্ত্রকের তরফে বহন করার বিষয়েও সিদ্ধান্ত হয়েছে। উল্লেখ্য অরুনাচল প্রদেশের তাওয়াং এ ২৪ তম উত্তর পূর্বাঞ্চলীয় আঞ্চলিক পাওয়ার কমিটির বৈঠকে বিদ্যুৎ মন্ত্রী এদিন ভাষণ দেন । এর আগে মঙ্গলবার একই স্থানে অনুষ্ঠিত হয়েছে ২৪ তম টেকনিক্যাল কো-অর্ডিনেশন কমিটির বৈঠক। উভয় বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ত্রিপুরা রাজ্য বিদ্যুৎ নিগমের ব্যবস্থাপক অধিকর্তা দেবাশীষ সরকার এবং বিদ্যুৎ পরিবহন বিভাগের জেনারেল ম্যানেজার TPTL রঞ্জন দেববর্মা। উত্তর পূর্বাঞ্চলীয় পাওয়ার কমিটির বৈঠকে এদিন বিদ্যুৎ মন্ত্রী জানান, রাজ্যের ডবল ইঞ্জিন সরকার ত্রিপুরায় বিদ্যুত বিতরণ এবং উত্পাদন দক্ষতা জোরদার ও উন্নত করতে এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাঙ্ক এর (এডিবি) সাথে ২২৭৫ কোটি টাকার একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। সিপাহিজলা জেলার রোখিয়া এবং গোমতি জেলার গুমতি হাইড্রো প্রকল্প - দুটির ব্যাপক সংস্কারের জন্য পরিকল্পনা করা হয়েছে। বর্তমানে গ্যাসভিত্তিক রোখিয়া বিদ্যুৎ প্রকল্প থেকে ৬৩ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হচ্ছে এবং প্লান্টের আধুনিকায়নের মাধ্যমে এর স্থাপিত ক্ষমতা দ্বিগুণ করা হবে। একইভাবে ডম্বুর জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের ক্ষমতা ৫ মেগাওয়াট থেকে বাড়িয়ে ১০ মেগাওয়াটে করা হবে। তাছাড়াও ত্রিপুরার গোমতি জেলায় পড়ে থাকা ডুম্বুর হ্রদে ১৩০ মেগাওয়াট ভাসমান সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এই বিষয়ে, ত্রিপুরা পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি উন্নয়ন সংস্থা সম্ভাব্যতা অধ্যয়নের এনটিপিসি এর সাথে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছে৷ প্রস্তাবিত ১৩০ মেগাওয়াট ভাসমান বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি ২০৩০ সালের মধ্যে ২০০ মেগাওয়াট সৌর শক্তি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে এগোচ্ছে।