Hare to Whatsapp
প্রথম কালবৈশাখী ঝড়ে পশ্চিম ও সিপাহীজলা জেলায় ১৭২ টি ঘর আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে, তাদের প্রত্যেকের ব্যাংক একাউন্টে তিনদিনের মধ্যে ৫২০০ টাকা করে পাঠানোর সিদ্ধান্ত
By Our Correspondent
আগরতলা, এপ্রিল ৪, : শুক্রবার সন্ধ্যায় মরসুমের প্রথম কালবৈশাখী ঝড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয় রাজ্যের পশ্চিম ও সিপাহীজলা জেলায়। রাবার বাগান, কৃষি জমি এবং বাড়িঘরে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। এই খবর শোনার পরদিন সকালেই মুখ্যমন্ত্রী ছুটে যান সেই ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে। সেখানে গিয়ে সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলেন, তাদের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিজের চোখে দেখেন।
মুখ্যমন্ত্রী গোলাঘাটি ও তার পার্শবর্তী অঞ্চল ঘুরে দেখেন। বিশেষ করে গ্রাম পাহাড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়ান। ঝড়-বৃষ্টিতে যে ক্ষতি হয়েছে তাদের মনের কথা শোনেন। মুখ্যমন্ত্রী তাদের ভরসা দিয়ে আসেন যে, যেকোনো দুর্যোগে তিনি পাশে থাকবেন। এদিন অনেকের হাতে সরকারি সাহায্য স্বরূপ চেক তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব।
পরে আগরতলায় এসে কালবৈশাখীর ঝড়ে দুর্গতদের পাশে দাঁড়ানোর বিষয়ে সরকারি সিদ্ধান্তের কথা তিনি জানান। মুখ্যমন্ত্রী বলেন মূলত পশ্চিম ও সিপাহীজলা জেলায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। পশ্চিম ত্রিপুরা জেলায় ১৭২ টি ঘর আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। তাদের প্রত্যেকের ব্যাংক একাউন্টে তিনদিনের মধ্যে ৫২০০ টাকা করে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। এছাড়া ৭০ হেক্টর কৃষি জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মোট ১২৪টি পরিবারের এই ক্ষয়ক্ষতি মিটিয়ে দেওয়ার প্রশ্নে সরকারের পক্ষ থেকে কানি প্রতি ১১০০ টাকা করে প্রত্যেকের একাউন্টে তিনদিনের মধ্যে দিয়ে দেয়া হবে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী।
মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব জানান সিপাহীজলা জেলাতে ৭৩ টি বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এরমধ্যে ৩৪টি বাড়ি সম্পূর্ণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাদের ৯৫ হাজার ১০০ টাকা করে দেয়া হবে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। ইতিমধ্যেই তাদের হাতে ৫২০০ টাকা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ঐ জেলাতে ৩৯ টি বাড়ি আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাদের ৫ হাজার ২০০ টাকা করে ক্ষতিপূরণ তিন দিনের মধ্যে দিয়ে দেওয়া হবে বলে মুখ্যমন্ত্রী জানান।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন স্টেট ডিজাস্টার রেসপন্স ফান্ড থেকে আর্থিক সাহায্য প্রদান করা হবে। সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের তা তদারকি করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিকে ঝড়ে বিধ্বস্ত পরিবারগুলোর পাশে মুখ্যমন্ত্রীর দাঁড়ানোর ফলে তাদের মধ্যে স্বস্তি বিরাজ করে।