Hare to Whatsapp
সংশোধনাগারগুলির জন্য ২৪৯ জন মহিলা ওয়ার্ডার নিয়োগের প্রক্রিয়া চলছে : কারাদপ্তরের সচিব
নিজস্ব প্রতিবেদন
আগরতলা, জুন ২৮, : ‘ত্রিপুরা কম্পেনসেশন স্কিম ফর উইমেন ভিক্টিম-২০১৮' আইনের মাধ্যমে ধর্ষণ, গার্হস্থ হিংসা সহ বিভিন্ন অপরাধের শিকার ২৬ জনকে এখন পর্যন্ত ১ কোটি ৩৬ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ হিসেবে প্রদান করা হয়েছে। ২৭ জুন সচিবালয়ের প্রেস কনফারেন্স হলে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে কারাদপ্তরের সচিব তাপস রায় এই সংবাদ জানান। তিনি জানান কেন্দ্রীয় সংশোধনাগার সহ রাজ্যে বর্তমানে ১৪টি সংশোধনাগার রয়েছে। এরমধ্যে একটি মহিলা সংশোধনাগার রয়েছে। সংশোধনাগারগুলিতে মোট ২,৩৬৫ জন কারাবাসী রাখার সংস্থান রয়েছে। বর্তমানে রাজ্যের বিভিন্ন সংশোধনাগারগুলিতে ১,৩৩৫ জন সাজাপ্রাপ্ত কারাবাসী রয়েছেন। সংশোধনাগারগুলিতে সাজাপ্রাপ্ত কারাবাসীদের চিকিৎসা প্রদানের সুযোগ সহ সব ধরনের সুযোগ সুবিধা প্রদানের ব্যবস্থা রয়েছে। পাশাপাশি জেলাগুলিতে মাঝেমধ্যে চিকিৎসা শিবিরের আয়োজনও করা হয়ে থাকে।
সাংবাদিক সম্মেলনে কারা দপ্তরের সচিব জানান, রাজ্যের বিভিন্ন সংশোধনাগারগুলির জন্য ২৪৯ জন মহিলা ওয়ার্ডার নিয়োগের প্রক্রিয়া চলছে। ইতিমধ্যে শারীরিক পরীক্ষা সমাপ্ত হয়েছে। এরপর লিখিত পরীক্ষা ও মৌখিক ইন্টারভিউ নেওয়া হবে। মহিলা ওয়ার্ডার পদে যাতে বেশি সংখ্যক চাকরি প্রত্যাশী অংশগ্রহণ করতে পারে সেজন্য নিয়োগনীতির সংশোধন করে চাকরির আবেদনের বয়সসীমা ২৪ থেকে বাড়িয়ে ২৭ বছর করা হয়েছে। এছাড়া এস সি, এস টিদের জন্য ৫ বছর বয়সসীমার ছাড়ও থাকবে। তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় সরকারের নিদের্শানুসারে আজাদি কা অমৃত মহোৎসবের অঙ্গ হিসাবে রাজ্যের সাজাপ্রাপ্ত আসামী যারা তাদের সাজার মেয়াদকালের ৬৬ শতাংশ সময় কাটিয়ে ফেলেছে এবং আচার আচরণ ভালো তাদের আগামী ১৫ আগস্ট, ২০২৩ তারিখে মুক্তি দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এরকম ৫ জন আসামীকে দুটি পর্যায়ে ঐদিন মুক্তি দেওয়া হবে।
সাংবাদিক সম্মেলনে সচিব জানান, অন্যান্য দপ্তরের ন্যায় কারাদপ্তরের সমস্ত কাজকর্ম কাগজবিহীন করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই দপ্তরের কিছু কাজকর্ম কাগজবিহীন করা হয়েছে। তিনি বলেন, ভিক্টিম কম্পেনসেশন অ্যাক্টে ধর্ষণ, গার্হস্থ হিংসা সহ বিভিন্ন অপরাধের শিকার ও ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ প্রদান করছে দপ্তর। গত পাঁচবছরে বিভিন্ন অপরাধের শিকার ও ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ প্রদানের তথ্য দিয়ে সচিব জানান, ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষে ৩৬ জনকে ২৭ লক্ষ ৯৫ হাজার টাকা, ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে ৩১ জনকে ৭০ লক্ষ টাকা, ২০২০-২১ অর্থবর্ষে ১৩ জনকে ৪২ লক্ষ টাকা, ২০২১-২২ অর্থবর্ষে ৩৬ জনকে ৬৯ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা, ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে ২৬ জনকে ৬৯ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা এবং ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষের এখন পর্যন্ত ১৬ জনকে ৪৬ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ হিসেবে প্রদান করা হয়েছে। এই ক্ষতিপূরণ প্রক্রিয়া গত ২৪ এপ্রিল, ২০২৩ থেকে ডিবিটি-র মাধ্যমে প্রদান শুরু হয়েছে। সাংবাদিক সম্মেলনে ভারপ্রাপ্ত আই জি (প্রিজন) অপূর্বকৃষ্ণ চক্রবর্তী উপস্থিত ছিলেন।