Hare to Whatsapp
সংস্কৃতির বিকাশে সাংস্কৃতিক উপদেষ্টা কমিটির গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রয়েছে : মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা
নিজস্ব প্রতিবেদন
আগরতলা, জুন ২৮, : ক্রীড়া ও সংস্কৃতি ক্ষেত্রে রাজ্যের ছেলেমেয়েদের প্রতিভার অভাব নেই। তাদের প্রতিভাকে বিকশিত করার জন্য উপযুক্ত মঞ্চ প্রয়োজন। রাজ্য সরকার রাজ্যের ছেলেমেয়েদের প্রতিভা বিকাশে উদ্যোগ নিয়েছে। সংস্কৃতির বিকাশে সাংস্কৃতিক উপদেষ্টা কমিটিরও গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রয়েছে। ২৭ জুন নবগঠিত রাজ্যভিত্তিক সাংস্কৃতিক উপদেষ্টা কমিটির প্রথম সভায় মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা একথা বলেন। সচিবালয়ের ২নং সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত এই সভায় রাজ্যভিত্তিক সাংস্কৃতিক উপদেষ্টা কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান সুব্রত চক্রবর্তী, তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের সচিব ড. প্রদীপ কুমার চক্রবর্তী, দপ্তরের অধিকর্তা বিম্বিসার ভট্টাচার্য, পর্যটন দপ্তরের অধিকর্তা তপন দাস এবং উপদেষ্টা কমিটির সদস্য/সদস্যাগণ উপস্থিত ছিলেন।
সভায় মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্যের সাংস্কৃতিক পরিমন্ডল বিকশিত হলে সমাজ ও রাজ্যের বিকাশ তরান্বিত হয়। আমাদের রাজ্যে জাতি জনজাতিদের সমৃদ্ধ কৃষ্টি ও সংস্কৃতি রয়েছে। রাজ্যের জাতি জনজাতির চিরাচরিত কৃষ্টি সংস্কৃতিকে আরও বেশী করে মানুষের কাছে তুলে ধরতে হবে। আধুনিক এই সময়ের সাথে সঙ্গতি রেখে জাতি জনজাতিদের সাংস্কৃতিক পরিবেশনায় চিরাচরিত বিষয়গুলি অক্ষুন্ন রেখে গবেষনার মাধ্যমে আরও কিভাবে সৃজণশীল করা যায় সেই বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী গুরুত্ব আরোপ করেন। তিনি বলেন, উজ্জয়ন্ত রাজপ্রাসাদের বাইরের প্রাঙ্গনে সপ্তাহে দুদিন বিভিন্ন কর্মসূচি আগামীদিনে গ্রহণ করা হবে। তাতে আগরতলার বাইরের শিল্পীদের এনে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হলে শিল্পীদের প্রতিভা প্রকাশের সুযোগ ঘটবে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, একসময় রাজ্যে শাস্ত্রীয় সংগীতের ব্যাপক প্রচলন ছিল। কিন্তু শাস্ত্রীয় সংগীতের এই ধারা লুপ্তপ্রায় হয়ে যাচ্ছে। সভায় রাজ্যে শাস্ত্রীয় সংগীতের বিকাশে মুখ্যমন্ত্রী গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, রাজ্যের শিল্পীদের মধ্যে সবসময় নতুন কিছু সৃষ্টি করার তাগিদ থাকে। রাজ্যের সাংস্কৃতিক বিকাশে আগামীদিনেও নতুন নতুন উদ্ভাবনী চিন্তাভাবনা নিয়ে রাজ্যের শিল্পীরা এগিয়ে আসবেন বলে মুখ্যমন্ত্রী আশা ব্যক্ত করেন। সভায় মুখ্যমন্ত্রী সাংস্কৃতিক দিক থেকে রাজ্যে ‘ত্রিপুরা ঘরানা’ গড়ে তোলার উপরও গুরুত্বারোপ করেন।