Hare to Whatsapp
বহিরাজ্যের অনেকেই ফোন লাগাতে পারছেনা, করোনা মোকাবিলায় রাজ্য সরকারের হেল্পলাইনের উপযোগিতা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন প্রাক্তন সাংসদ জীতেন্দ্র চৌধুরী
By Our Correspondent
আগরতলা, এপ্রিল ৪, : প্রাক্তন সাংসদ জীতেন্দ্র চৌধুরী আজ করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় রাজ্য সরকারের তরফে চালু বিভিন্ন হেল্পলাইন নম্বর গুলির উপযোগিতা নিয়ে গুরুতর অভিযোগ তুলেন।
প্রাক্তন সাংসদ তথা মন্ত্রীর অভিযোগ, অপূর্ব রায় নামে এক আই এ এস সচিবের সাথে ৮৪১৪৯৬৯৫৯২ নম্বর ফোনে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছিল। প্রাক্তন মন্ত্রী তথা সাংসদের অভিযোগ ৮৪১৪৯৬৯৫৯২ নম্বরের যেকোন নম্বরটি হেল্প লাইন নম্বর বলে চালানো হচ্ছে বস্তুত এই ফোন নম্বরে ফোন লাগানোই কঠিন হয়ে পড়েছে।
প্রাক্তন সাংসদ জানান চেন্নাই, ব্যঙ্গালোর, ভেলোর, পুনে ইত্যাদি একাধিক জায়গা থেকে তার কাছে ফোন এসেছে তারা ৮৪১৪৯৬৯৫৯২ নম্বরে ফোন লাগাতে পারছেনা। তাছাড়া রাজ্য সরকারের তরফে তাদের একাউন্টে নগদ হস্তান্তরের যে ঘোষনা দিয়েছিল সেই টাকাও নাকি এখনও প্রদান করা হয় নি।
প্রাক্তন সাংসদ তথা মন্ত্রী শ্রী চৌধুরীর দাবি, রাজ্য সরকার এক্ষুনিই ৮৪১৪৯৬৯৫৯২ নম্বরটি বদল করে অন্য কোন হেল্পলাইন নম্বর চালু করুন। তাছাড়া ১১২ নম্বরে ফোন করলে সিনিয়র সিটিজেনদের ওষুধ বাড়ীতে পাঠিয়ে দেওয়া হবে বলে যে ঘোষনা করা হয়েছে তাও যথাযথ ভাবে কাজে আসছে না বলে অভিযোগ।
রামনগর থেকে ম্যাডাম কমলিনী সুদেষ্ণা দাশগুপ্ত নামে একজন প্রবীন মহিলা ৮৪১৫০৬১৫৬৮ নম্বরের ফোন থেকে ফোন করে ত্রিপুরাইনফোতে অভিযোগ করেছেন যে, তিনি ১১২ নম্বরে ফোন করে গত পরশু ওষুধ চেয়েছিলেন। কিন্তু তাকে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে রান্না করা খাবার। তিনি এ বিষয়টি স্বাস্থ্য দপ্তর, পুলিশ দপ্তর অনেককেই জানিয়েছেন। কিন্তু কোন ফল হয়নি। তিনি একজন প্রবীন নাগরিক, একা থাকেন কিন্তু গৃহবন্ধী। লকডাউনের কারনে ঘর থেকে বের হতে পারছেন না। বেশ কিছু ওষুধ প্রত্যেকদিন খেতে হয়। কিন্তু বাড়ী থেকে বেরোতে পারছেননা বলে ওষূধ সংকটে ভোগছেন
একইরকম ভাবে, বহু জায়গা থেকে অভিযোগ আসছে রেশন দোকা বন্ধ। খাদ্য দপ্তরের তরফে ৫০ হাজার এ পি এল কে নতুন করে বিপিএল এর সুযোগ সুবিধা দেওয়ার কথা ঘোষনা করা হয়েছে। কিন্তু সদরের সিধাই মোহনপুর, জিরানীয়া, বড়জলা, এলাকায় এখনো সেই তালিকা রেশনসপ গুলিতে পৌছেনি বলে অভিযোগ আসছে।