Hare to Whatsapp
নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের কৃত্রিম সংকট তৈরি সরকার কোনো ভাবেই বরদাস্ত করবে না : খাদ্যমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদন
আগরতলা, জুন ২২, : বর্ষা মরশুমে সারা রাজ্যে চাল, ডাল সহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মজুত নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে ২১ জুন সচিবালয়ে এক গুরুত্বপূর্ণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। খাদ্যমন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই সভায় আগরতলা শহরের প্রধান প্রধান বাজারগুলির পাইকারি ও খুচরো ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক, সভাপতি সহ অল ত্রিপুরা মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন। সভায় বর্ষার মরশুমে বাজারগুলোতে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের কৃত্রিম সংকট তৈরী এবং কালোবাজারি রোধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের উপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করেন খাদ্যমন্ত্রী।
সভায় খাদ্যমন্ত্রী বলেন, বর্তমান রাজ্য সরকার জনকল্যাণে আন্তরিক। কোনো কারণে খাদ্য সরবরাহে বিঘ্ন ঘটলে সাধারণ মানুষকে সমস্যায় পড়তে হয়। জনগণ যাতে কোনো সমস্যায় না পড়ে তারজন্য সরকারের সর্বদা সজাগ দৃষ্টি রয়েছে। নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য সংগ্রহে জনগণের হয়রাণিও সরকার কোনো ভাবেই বরদাস্ত করবে না। খাদ্যমন্ত্রী বলেন, চাল, ডাল সহ বিভিন্ন নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য প্রধানত গণবন্টন ব্যবস্থা ও বাজারগুলির মাধ্যমে নিয়ন্ত্রিত হয়ে থাকে। গণবন্টন ব্যবস্থায় রাজ্যে বর্তমানে চাল ৮৬ দিনের, গম ৫৭ দিনের, লবণ ২৮ দিনের এবং চিনি ২৪ দিনের মজুত রয়েছে। অনুরূপভাবে বাজারগুলিতে চাল ৪৭ দিনের, ডাল ৪২ দিনের, ভোজ্য তেল ১১২ দিনের, আলু ৪৭ দিনের, আটা ৬৩ দিনের, চিনি ৩৫ দিনের এবং লবণ ৫০ দিনের মজুত রয়েছে। ফলে দেখা যাচ্ছে বর্তমানে রাজ্যে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য মজুতের কোনো সংকটজনক পরিস্থিতি নেই। সভায় খাদ্যমন্ত্রী বলেন, বর্ষার মরশুমে রাজ্যে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের কৃত্রিম সংকট তৈরী করে দাম বৃদ্ধি করলে সরকার কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। প্রয়োজনে খাদ্য দপ্তরের টাস্ক ফোর্স বাজারগুলিতে নিয়মিত অভিযান চালাবে।
সভায় খাদ্যমন্ত্রী বলেন, পাইকারি ও খুচরো ব্যবসায়ীগণ প্রতিটি জিনিস বিক্রির সময় যাতে ক্যাশমেমো প্রদান করে সে বিষয়েও গুরুত্ব আরোপ করেন। আগরতলা শহরের প্রধান প্রধান বাজারগুলোতে চাল, ডাল সহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য কি পরিমাণে মজুত রয়েছে তার একটা হিসেব নিয়মিত রাখার জন্য খাদ্য দপ্তরের আধিকারিকদের নির্দেশ দেন খাদ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, বাজারগুলোতে কোনও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মজুত কম থাকলে তার মজুত বৃদ্ধি করার জন্য আগাম ব্যবস্থা নিতে হবে। কোথাও কালোবাজারি হলে সঙ্গে সঙ্গেই ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মহকুমা শাসক সহ খাদ্য দপ্তরের আধিকারিকদের নির্দেশ দেন খাদ্যমন্ত্রী। সভায় খাদ্য দপ্তরের অধিকর্তা নির্মল অধিকারী, পরিবহন দপ্তরের অতিরিক্ত ট্রান্সপোর্ট কমিশনার সুব্রত চৌধুরী সহ খাদ্য দপ্তরের অন্যান্য আধিকারিকগণ উপস্থিত ছিলেন।