Hare to Whatsapp
কৃষির বিকাশ ও কৃষকের কল্যাণে সরকার অগ্রাধিকার দিয়েছে : কৃষিমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদন
আগরতলা, জুন ৭, : কৃষির বিকাশ ও কৃষকের কল্যাণে সরকার অগ্রাধিকার দিয়েছে। কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকার কৃষকদের আয় দ্বিগুণ করার জন্য বিভিন্ন প্রকল্প চালু করেছে। কৃষকদের এসমস্ত প্রকল্পের সুযোগ কাজে লাগাতে হবে। ৬ জুন মোহনপুর ব্লকের সাতডুবিয়া গ্রামপঞ্চায়েতের রামকৃষ্ণ আশ্রমে কৃষি ও উদ্যানজাত ফসল চাষের উপর সচেতনতামূলক আলোচনা সভা ও কৃষি সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করে কৃষিমন্ত্রী রতনলাল নাথ একথা বলেন। অনুষ্ঠানে কৃষিমন্ত্রী বলেন, কৃষি বিজ্ঞানীদের মতামত নিয়ে আধুনিক প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে কৃষকদের চাষাবাদে এগিয়ে আসতে হবে। তাহলেই কৃষকরা অনেক বেশী ফসল উৎপাদন করতে পারবেন এবং লাভবান হবেন।
অনুষ্ঠানে কৃষিমন্ত্রী আরও বলেন, রাজ্য সরকার সবসময় কৃষকদের পাশে রয়েছে। কৃষকদের বিভিন্ন সহায়ক সামগ্রী ও পরামর্শ দিয়ে সহায়তা করা হচ্ছে। কৃষকদের এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে আত্মনির্ভর ত্রিপুরা গঠনের কাজে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে হবে। কৃষিমন্ত্রী বাজরা চাষ বেশী করে করার উপর গুরুত্ব আরোপ করেন। তিনি বলেন, মিলেট বা বাজরা খুবই লাভজনক ফসল। এর পুষ্টিগুণও বেশী।
অনুষ্ঠানে এছাড়াও বক্তব্য রাখেন ভারতীয় কৃষি অনুসন্ধান কেন্দ্রের যুগ্ম অধিকর্তা ড. বিশ্বজিৎ দাস, অল ত্রিপুরা ফার্মার্স ক্লাবের সভাপতি প্রদীপ বর্মণ রায়। স্বাগত বক্তব্য রাখেন কৃষি ও কৃষক কল্যাণ দপ্তরের উপঅধিকর্তা ড. উত্তম সাহা। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মোহনপুর পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারম্যান রীনা দেববর্মা। অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মোহনপুর পঞ্চায়েত সমিতির ভাইস চেয়ারম্যান রাকেশ দেব, মোহনপুর এগ্রি স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান স্বপন কুমার ঘোষ, সাতডুবিয়া গ্রামপঞ্চায়েতের প্রধান অনিমা সূত্রধর, ত্রিপুরা ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের কোষাধ্যক্ষ জয়লাল দাস প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে কৃষকদের মধ্যে পাওয়ারটিলার, স্প্রে মেশিন, ওয়াটার কেনন, পাওয়ার ওয়েডার, কোদাল বিতরণ করা হয়। তাছাড়াও কৃষকদের মধ্যে সব্জী, ফল ও বাজরার বীজ বিতরণ করা হয়। অনুষ্ঠানের আগে কৃষি ও কৃষক কল্যাণ মন্ত্রী সাতডুবিয়া গ্রামপঞ্চায়েতে সব্জী ক্ষেত পরিদর্শন করেন এবং কৃষকদের সাথে মত বিনিময় করেন।