Hare to Whatsapp
করোনা ভাইরাস সংক্রান্ত গুজব আটকাতে সঠিক তথ্য পরিবেশনে সাংবাদিকদের সাহায্য চাইলেন তথ্যসচিব
By Our Correspondent
আগরতলা, এপ্রিল ৩, : করোনা ভাইরাসকে সামনে রেখে একটি মহল থেকে সোশ্যাল মিডিয়াতে নিত্যনতুন গুজব রটানো হচ্ছে। কখনো বলা হচ্ছে ত্রিপুরায় করোনা ভাইরাসের একাধিক পজিটিভ রোগী পাওয়া গেছে। রাজ্য সরকার মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে তা গোপন রেখেছেন। আবার বলা হচ্ছে নিজামউদ্দিন থেকে আগত কিছু লোকের শরীরে করোনা ভাইরাসের জীবানু রয়েছে। তাই তারা আত্মগোপন করে রয়েছেন। সুপ্রীম কোর্ট পরিযায়ী শ্রমিকদের কথা মাথায় রেখে দেশ জুড়ে ২১ দিনের লকডাউন পরিস্থিতির কারনে যাতে তাদের থাকা খাওয়া ইত্যাদি ক্ষেত্রে অসুবিধা না হয়, সে লক্ষ্যে সুপ্রীমকোর্ট একটি নির্দেশিকা জারী করেছেন।গুজব প্রতিরোধে সুপ্রীমকোর্টের এই নির্দেশিকার ব্যাপারে সাংবাদিক ও মিডিয়া হাউজ গুলিকে অবহিত করতে রাজ্য সরকারের তথ্য সচিব শৈলেন্দ্র সিং নিজে আজ রবীন্দ্র ভবনে সাংবাদিকদের নিয়ে এক বৈঠক আহবান করেন। এবং সেখানে সাংবাদিকদের কাছ থেকে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সঠিক তথ্য পরিবেশনের ব্যাপারে সাহায্য চান।
অবশ্য সভার শুরুতেই তথ্যসচিব ত্রিপুরায় করোনা ভাইরাস নিয়ে সাংবাদিক ও বিভিন্ন মিডিয়া হাউজ গুলির ভুমিকার ভূয়সী প্রশংশা করেন। এবং এরাজ্যে ইতিমধ্যেই সাংবাদিকরা সুপ্রীমকোর্টের নির্দেশ মেনেই কাজ করছেন বলে জানান। তবে তিনি সোশ্যাল মিডিয়াতে যেভাবে করোনা ভাইরাস নিয়ে গোজব রটানো হচ্ছে এব্যাপারে সাংবাদিকদের সাহায্য ও পরামর্শ চান।
বৈঠকের শুরুতেই তথ্যসচিব শ্রী সিং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) একটি উদ্বৃতি যা করোনা ভাইরাস সংক্রান্ত গোজব বা অতিরঞ্জিত খবর প্রচারে সুপ্রীমকোর্টের একটি জাজমেন্টেও উল্লেখ করা হয়েছে। এসম্পর্কে সুপ্রীমকোর্টের ওই জাজমেন্টে বলা হয়েছে Dr Tedros Adhanom Ghebreyesus, Director General , World Health Organization (WHO), recently stated as under:
“We are not just fighting an epidemic; we are fighting an infodemic. Fake news spreads faster and more easily than this virus, and is just as dangerous.”
এসম্পর্কে আলোকপাত করতে গিয়ে দৈনিক সংবাদের সিনিয়র সাংবাদিক দিবাকর দেবনাথ, ত্রিপুরাইনফো-ডট-কম এর সম্পাদক জয়ন্ত দেবনাথ, স্যন্দন পত্রিকার অভিষেক দে, দেবাশীষ মজুমদার, পি আই বি-র স্থানীয় প্রতিনিধি প্রমুখ তাদের সুচিন্তিত অভিমত ব্যক্ত করেন। প্রায় প্রত্যেকেই সোশ্যাল মিডিয়ার অপপ্রচার রোধে পুলিশের পাশাপাশি তথ্য দপ্তরের তরফেও নিজস্ব সোশ্যাল মিডিয়া মনিটরিং সেল চালুর পরামর্শ দেন। পাশাপাশি গোজব ছড়ানোর অপরাধে যেসব সাজার ব্যবস্থা রয়েছে সেসব আইনী বিধানগুলি কঠোর ভাবে কার্যকর করার কথা বলা হয়।
তাছাড়া ইন্টারনেটে সোশ্যাল মিডিয়া সহ বিভিন্ন অনলাইন মিডিয়া গুলিতে যেসব অপপ্রচার চালানো হচ্ছে সেগুলির কাউন্টার দেওয়ার জন্য বিভিন্ন অনলাইন বা ওয়েব মিডিয়ার প্ল্যাটফর্ম গুলিতে সরকারী তথ্য বেশী করে প্রচারের কথাও বলা হয়। তথ্যসচিব বৈঠক শেষে সোশ্যাল মিডিয়ার গুজব রোধে সাংবাদিকদের তরফে প্রদত্ত পরামর্শ গুলি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা গ্রহনের কথা বলেন।
তাছাড়া করোনা ভাইরাস সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য যাতে আরও দ্রুত সাংবাদিকদের কাছে পৌছে দেওয়া যায়, সাংবাদিকেদের পরামর্শ অনুযায়ী সেলক্ষ্যে তথ্য দপ্তর দ্রুত কিছু পদক্ষেপ নেবে বলেও তিনি জানান।