Hare to Whatsapp

ওএনজিসি ত্রিপুরা এসেট কমপ্লেক্সে রক্ত দান শিবিরের উদ্বোধনে মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী

নিজস্ব প্রতিবেদন

আগরতলা, মে ২৭, : ওএনজিসি এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন অফ ত্রিপুরা-এর "প্রথম দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন-২০২৩" উপলক্ষে আয়োজিত একটি মহতী স্বেচ্ছায় রক্তদান শিবিরে উপস্থিত থেকে ২৭ মে সকালে মঙ্গলদীপ প্রজ্জ্বলিত করে এই মহতী স্বেচ্ছায় রক্তদান শিবিরে উপস্থিত রক্তদাতা ও আয়োজকদের ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন ত্রিপুরা সরকারের পরিবহন,পর্যটন, খাদ্য জনসংভরন ও ক্রেতা স্বার্থ বিষয়ক দপ্তরের মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী। রক্তদান শিবিরের উদ্বোধনের পর বক্তব্য রাখতে গিয়ে মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী বলেন, আমরা সকলেই জানি, রক্তদান জীবন বাঁচায়। মানুষের জীবন বাঁচানো মনুষ্যত্বের একটি বড় দিক।

তাই যাদের রক্তের প্রয়োজন আছে তারা যাতে সময়মত সুলভে উৎকৃষ্ট রক্ত পান তা সুনিশ্চিত করতে রক্তদানে সচেতনতা বাড়াতে হবে। কোনো মানুষের বিপদে তাঁর পাশে দাঁড়ানো ও সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়া একজন আদর্শ মানুষের পরিচয়৷ প্রতি মুহূর্তে একবিন্দু রক্তের জন্য জীবনযুদ্ধে পরাজিত হচ্ছে কতশত মানুষ, এটা আমাদের কোনোভাবেই কাম্য নয়৷ ব্লাড ব্যাঙ্ক গুলিতে টাটকা রক্তের প্রয়োজনীয় চাহিদা মেটানো,আমাদের দায়িত্ব এবং নৈতিক কর্তব্যর মধ্যে পড়ে। মানবিক কার্যকলাপে অনুপ্রেরণা,উৎসাহ এবং উদ্যোগী হওয়া আমাদের মূল লক্ষ্য হতে হবে। এর ফলে আগামী দিনে মানুষের দূর্ভোগ অনেক কম করা যাবে। স্বেচ্ছায় রক্তদান করার মধ্য দিয়ে আমরা অনেক মুমূর্ষু মানুষের প্রাণ বাঁচাতে পারি৷ তিনি আরও বলেন, আমাদের স্বেচ্ছায় রক্তদানের বিনিময়ে একজন মুমূর্ষু মানুষের প্রাণ বাঁচানো সম্ভব৷ আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানে অনেক অসাধ্যসাধন ঘটলেও কৃত্রিম উপায়ে রক্ত আবিষ্কার এখনও হয়নি৷ ফলে যে সমস্ত রোগীর কোনো কারণে অতিরিক্ত রক্তের প্রয়োজন হয়, তখন সেই রক্ত সুস্থ মানুষের শরীর থেকেই সংগ্রহ করতে হয়৷ এইজন্য রক্তদান একটি মহৎ দান বলে বিবেচ্য৷ সভ্যতার পারস্পরিক নির্ভরশীলতার কর্তব্যমূলক কর্মসূচিগুলির মধ্যে সম্ভবত সবচেয়ে মহৎ এবং পবিত্র কাজটি হলো মানুষের জীবন বাঁচানো৷ কিন্তু প্রত্যক্ষভাবে আমাদের পক্ষে কোন মুমূর্ষু মানুষের জীবন রক্ষা করা সবসময় সম্ভব হয়ে ওঠেনা৷ তাই এক্ষেত্রে সম্ভবত সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য এবং গুরুত্বপূর্ণ কাজটি হতে পারে রক্তদান৷ মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী তার ভাষণে সকল ছাত্র-যুবা, স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা,সরকারি কর্মচারী, বেসরকারী সংগঠন এবং সাধারণ মানুষের কাছে রক্তদানে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান । তিনি আজকের এই রক্তদান শিবিরে যাঁরা রক্তদান করেছেন ও রক্তদান করার জন্য নিজেদের নাম নথিভুক্ত করিয়েছেন তাঁদের সকলকে এই মহতী সেবামূলক মানসিকতার জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে সকলের সুস্বাস্থ্য ও উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করেন।

পাশাপাশি আজকে ওএনজিসি এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন অফ ত্রিপুরা এর "প্রথম দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন-২০২৩" এর সার্বিক সাফল্য কামনা করে তার প্রদত্ত বক্তব্যে তিনি বলেন, আপনাদের সংগঠনের সকল সদস্য-সদস্যাদের সাংগঠনিক জীবনে আজকের এই সম্মেলন শুধুই মিলন মেলা নয়, আড়ম্বরপূর্ণ উদযাপনও নয়, সম্মেলনের এই মহতী মঞ্চ আপনাদের সংগঠনের সাথে যুক্ত সকল সদস্য-সদস্যাদের সংগ্রাম-আন্দোলনের সর্বোচ্চ মঞ্চ। নিজেদের সামাজিক দায়বদ্ধতা পালনের মঞ্চ, নীতিনির্ধারণের মঞ্চ। চলমান পরিস্থিতির পর্যালোচনার মাধ্যমে, নৈতিক অবস্থান স্থির রেখে সংগঠনের স্বার্থে নিরলস পরিশ্রমের মাধ্যমে লক্ষ্যে পৌঁছানোর অনুশীলনের, প্রস্তুতির মঞ্চ। নিজেদের আত্মসমালোচনার মধ্যে দিয়ে এখানে আপনারা যেমন নানা ধরণের সঙ্কীর্ণতার বিরুদ্ধে আপনাদের অবস্থান স্পষ্ট করার সুযোগ পাবেন, তেমনি আপনাদের সংগঠনের ত্রুটি, বিচ্যুতি যদি কিছু থাকে তা পরিহার করার বিষয়েও আন্তরিকতার সাথে

সচেষ্ট হতে পারবেন। আন্তর্জাতিক, জাতীয় বা রাজ্য পরিস্থিতির পর্যালোচনা যা আপনাদের এই সম্মেলনে স্থান পেয়েছে, তার থেকে পক্ষে-বিপক্ষে বিভিন্ন বিষয় পর্যালোচনা করে আপনাদের এগিয়ে যেতে হবে, অবশ্যই নিজেদের ঐক্যকে অটুট রেখে, সব ধরনের সঙ্কীর্ণতার ঊর্ধ্বে উঠে। জাগ্রত

বিবেক নিয়ে নিজেদের সংগঠনের স্বার্থে ও জনকল্যাণে আপনাদের সংগঠনের অতন্দ্রপ্রহরী আপনাদের সংগঠনের উপদেষ্টা ও পূর্বসুরীরা যে নিদর্শন রেখেছেন তার দায়িত্বভার আজ আপনাদের নিজেদের কাঁধে তুলে নিতে হবে। আপনাদের সম্মুখে অনেক সময় বিভিন্ন ধরনের প্ররোচণা আসবে, আপনাদের ভাঙার চেষ্টা হবে কিন্তু আদর্শনিষ্ঠ, চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে যে ইস্পাতকঠিন সংগঠন আপনারা গড়ে তুলেছেন তাকে আপনারা সকলে মিলে অক্ষুন্ন রাখবেন, এই বিশ্বাস, এই প্রত্যয় নিয়ে কাজ করে যাবেন। আপনাদের সংগঠনের প্রত্যেক সদস্য বন্ধুর সাথে সংগঠনের শীর্ষ নেতৃত্বের সুদৃঢ় বন্ধন গড়ে তুলতে হবে, কারণ ঐক্যের সম্প্রসারণের কোন বিকল্প নেই। সুদৃঢ় ঐক্যের মধ্যে দিয়েই, নিরন্তর এবং নিবিড় যোগাযোগের মাধ্যমেই আগামী দিনে আপনাদের সংগঠন এগিয়ে যাবে, এই শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইল।

আজকের অনুষ্ঠানে অন্যান্য বিশিষ্ট অতিথিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, আগরতলা পুর নিগমের সম্মানিত মেয়র দীপক মজুমদার, রাজ্যের বিশিষ্ট সমাজসেবী রাজীব ভট্টাচার্যী, ১৪-বাধারঘাট কেন্দ্রের বিধায়িকা মীণা রানী সরকার, ৩০-বাগমা কেন্দ্রের বিধায়ক রামপদ জমাতিয়া, ওএনজিসি-র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর/এসেট ম্যানাজার তরুণ মালিক, ওএনজিসি'র জিজিএম/এসেট ম্যানাজার কৃষ্ণা কুমার,ওএনজিসি এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন অফ ত্রিপুরা'র সভাপতি নিতাই দেবনাথ, সাধারণ সম্পাদক বীরচন্দ্র দেববর্মা সহ অন্যান্য অতিথিরা।


You can post your comments below  
নিচে আপনি আপনার মন্তব্য বাংলাতেও লিখতে পারেন।  
বিঃ দ্রঃ
আপনার মন্তব্য বা কমেন্ট ইংরেজি ও বাংলা উভয় ভাষাতেই লিখতে পারেন। বাংলায় কোন মন্তব্য লিখতে হলে কোন ইউনিকোড বাংলা ফন্টেই লিখতে হবে যেমন আমার বাংলা কিংবা অভ্রো কী-বোর্ড (Avro Keyboard)। আমার বাংলা কিংবা অভ্রো কী-বোর্ডের সাহায্যে মাক্রোসফট্ ওয়ার্ডে (Microsoft Word) টাইপ করে সেখান থেকে কপি করে কমেন্ট বা মন্তব্য বক্সে পেস্ট করতে পারেন। আপনার কম্পিউটারে আমার বাংলা কিংবা অভ্রো কী-বোর্ড বাংলা সফ্টওয়ার না থাকলে নিম্নে দেয়া লিঙ্কে (Link) ক্লিক করে ফ্রিতে ডাওনলোড করে নিতে পারেন।
 
Free Download Avro Keyboard  
Name *  
Email *  
Address  
Comments *  
 
 
Posted comments
Till now no approved comments is available.