Hare to Whatsapp
কাজী নজরুল ইসলাম তাঁর লেখার মধ্য দিয়ে সমাজকে সচেতন করে গেছেন : সমাজকল্যাণমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদন
আগরতলা, মে ২৭, : কাজী নজরুল ইসলামের ১২৪তম জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে ২৬ মে সন্ধ্যায় রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনে শ্রদ্ধাঞ্জলি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সমাজকল্যাণ ও সমাজশিক্ষামন্ত্রী টিংকু রায়। অনুষ্ঠানে সমাজকল্যাণ ও সমাজশিক্ষামন্ত্রী টিংকু রায় বলেন, কবি কাজী নজরুল ইসলাম ছিলেন সাম্যবাদী কবি। কবি তাঁর লেখার মধ্য দিয়ে সমাজকে যেমন সচেতন করে গেছেন তেমনি ব্রিটিশের বিরুদ্ধে স্বাধীনতা সংগ্রামেও ভারতবাসীকে উদ্দীপ্ত করেছিলেন। কবি কাজী নজরুল ইসলাম নিজেই ব্রিটিশ অপশাসনের বিরুদ্ধে আপোষহীনভাবে লড়াই করে গেছেন। অনুষ্ঠানে সমাজকল্যাণমন্ত্রী আরও বলেন, কাজী নজরুল ইসলাম শ্যামা সংগীত, গজল ও দেশাত্মবোধক সংগীত রচনা করে গেছেন। তাঁর লেখা আজও আমাদের অনুপ্রাণিত করে। সমাজকল্যাণমন্ত্রী বর্তমান প্রজন্মকে নজরুলের আদর্শে অনুপ্রাণিত হওয়ার আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের সচিব ড. পি কে চক্রবর্তী বলেন, কাজী নজরুল ইসলাম ছিলেন কালজয়ী কবি। তিনি ছিলেন বাংলা সাহিত্যের এক অন্যতম নক্ষত্ৰ৷ সমাজের সমস্ত অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কবি অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছিলেন। অনুষ্ঠানে অবসরপ্রাপ্ত সহকারি অধ্যাপক ড. নারায়ণ ভট্টাচার্য কাজী নজরুল ইসলামের জীবন ও সাহিত্যের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের অধিকর্তা বিম্বিসার ভট্টাচার্য। অনুষ্ঠানের শুরুতে অতিথিগণ কাজী নজরুল ইসলামের প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। কাজী নজরুল ইসলামের ১২৪তম জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে আয়োজিত শ্রদ্ধাঞ্জলি অনুষ্ঠানে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়। অনুষ্ঠানে একক সংগীত, একক নৃত্য, আবৃত্তি, সমবেত সংগীত, সমবেত নৃত্য, সমবেত আবৃত্তি ও শ্রুতিনাটক পরিবেশিত হয়। একক সংগীতে অংশ নেন অনিন্দিতা রায়, দীপা চক্রবর্তী, দেবব্রত চ্যাটার্জি, ননীগোপাল দেববর্মা, পিয়ালি চক্রবর্তী, অনিন্দিতা সাহা। একক নৃত্যে অংশ নেন দেবজ্যোতি লস্কর ও দিব্যেন্দু ঘোষ। আবৃত্তি পরিবেশন করেন বাচিক শিল্পী প্রণব সাহা। সমবেত সংগীতে অংশ নেন সুর অঞ্জলি ও সুর মল্লাদ সাংস্কৃতিক সংস্থা। সমবেত নৃত্যে অংশ নেয় গুরুকুল এমটি ইনস্টিটিউট ও খোয়াইয়ের নৃত্যাঙ্গন ড্যান্স একাডেমির শিল্পীরা। সমবেত আবৃত্তিতে অংশ নেন অর্কদ্যুতি সাংস্কৃতিক সংস্থার বাচিক শিল্পীগণ। শ্রুতি নাটক পরিবেশন করেন পরম্পরা সাংস্কৃতিক সংস্থার শিল্পীগণ। অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী সংগীত পরিবেশন করেন শচীন দেববর্মণ সরকারি সঙ্গীত মহাবিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা।