Hare to Whatsapp
নজরুলের লেখায় রয়েছে মানবতার জয়গান : মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা
নিজস্ব প্রতিবেদন
আগরতলা, মে ২৭, : বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিংশ শতাব্দির অন্যতম শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালি। এপার ওপার বাংলার সাহিত্য জগতের এক অন্যন্য নক্ষত্র তিনি। তাঁর সাহিত্যে রয়েছে আলাদা রকমের অনুভব। ২৬ মে ১২৪তম নজরুল জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের উদ্যোগে নজরুল কলাক্ষেত্রে আয়োজিত প্রভাতী কবি প্রণাম অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা। অনুষ্ঠানের শুরুতে মুখ্যমন্ত্রী সহ অন্যান্য অতিথিগণ কলাক্ষেত্রের প্রাঙ্গণে বিদ্রোহী কবির মর্মর মূর্তিতে মাল্যদান করে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন।
আলোচনায় মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, কাজী নজরুল ইসলাম ছিলেন একাধারে কবি, গায়ক, দার্শনিক, দেশপ্রেমী। তাঁর লেখায় জাতি, ধর্ম, বর্ণের উর্ধ্বে উঠে রয়েছে মানবতার জয়গান। পরাধীন ভারতবর্ষে তিনি হিন্দু, মুসলিম ধর্মের মানুষের মধ্যে সেতু বন্ধনের কাজ করেছিলেন। বিদ্রোহী কবি একজন মুসলিম সম্প্রদায়ের লোক হয়েও শ্যামা সংগীত ও ভক্তি গীতি রচনা করেছিলেন। তাঁর রচনার মাধ্যমে সেই সময়কার বাঙ্গালি সমাজ দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে ইংরেজদের বিরুদ্ধে স্বাধীনতার আন্দোলনে নিজেদেরকে সম্পৃক্ত করেন। বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম আজও প্রাসঙ্গিক। কাজী নজরুল ইসলামের চিন্তা, চেতনা, দেশপ্রেমের ভাবনায় বর্তমান প্রজন্মকে জাড়িত করতেই প্রতি বছর রাজ্যব্যাপী পালিত হয় তাঁর জন্মদিবস। এছাড়াও মুখ্যমন্ত্রী শ্রী সাহা বিদ্রোহী কবির বাল্য ও কর্মজীবন নিয়ে আলোচনা করেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের সচিব ড. পি কে চক্রবর্তী। উপস্থিত ছিলেন ত্রিপুরা চাইল্ড রাইটস প্রোটেকশন কমিশনের চেয়ারম্যান জয়ন্তী দেববর্মা, কর্পোরেটর মণিমুক্তা ভট্টাচার্য, কর্পোরেটর সুখময় সাহা, তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের অধিকর্তা বিম্বিসার ভট্টাচার্য। প্রভাতী কবি প্রণাম অনুষ্ঠান উপলক্ষে সংক্ষিপ্ত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হয়।