Hare to Whatsapp
সমাজকল্যাণ ও সমাজশিক্ষা দপ্তরের প্রকল্পগুলি সম্পর্কে জনগণকে সচেতন করতে হবে : সমাজকল্যাণ ও সমাজশিক্ষা মন্ত্রী টিংকু রায়
নিজস্ব প্রতিবেদন
আগরতলা, মে ২৬, : সমাজকল্যাণ ও সমাজশিক্ষা এবং শ্রম দপ্তরের বিভিন্ন জনকল্যাণমূলক প্রকল্পগুলি সম্পর্কে জনগণকে আরও বেশি করে সচেতন করতে হবে। প্রকল্পগুলির বিষয়ে আরও বেশি করে প্রচার করতে হবে। তবেই সাধারণ মানুষ এই প্রকল্পগুলির বিষয়ে সুবিধা গ্রহণ করতে পারবেন। ২৫ মে উত্তর ত্রিপুরা জেলাভিত্তিক সমাজকল্যাণ ও সমাজশিক্ষা, শ্রম এবং যুব বিষয়ক ও ক্রীড়া দপ্তরের এক পর্যালোচনা সভায় সমাজকল্যাণ ও সমাজশিক্ষা মন্ত্রী টিংকু রায় একথা বলেন। উত্তর ত্রিপুরা জেলাশাসক কার্যালয়ের কনফারেন্স হলে আয়োজিত এই সভায় সমাজকল্যাণ ও সমাজশিক্ষা, শ্রম দপ্তর ও যুব বিষয়ক ও ক্রীড়া দপ্তরের বিভিন্ন প্রকল্প রূপায়ণের অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা করা হয়।
পর্যালোচনা সভায় সমাজকল্যাণ ও সমাজশিক্ষা মন্ত্রী টিংকু রায় বলেন, বাল্য বিবাহ রোধ করা, নেশা মুক্ত সমাজ গঠন করা, দিব্যাঙ্গজনদের আরও বেশি করে সাহায্য করার জন্য সমাজকল্যাণ দপ্তরকে আন্তরিকতার সঙ্গে বিভিন্ন প্রকল্প রূপায়ণ করতে হবে। শ্রম দপ্তরের কাজকর্মের বিষয়ে পর্যালোচনা করতে গিয়ে শ্রমমন্ত্রী টিংকু রায় বলেন, আগর শিল্পে নিযুক্ত শ্রমিক ও পাথর ভাঙ্গার কাজে নিযুক্ত শ্রমিকদের এমপ্লয়ি স্টেট ইন্স্যুরেন্সের আওতায় এনে তাদের নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে। পর্যালোচনা সভায় সমাজকল্যাণ দপ্তরের প্রতিনিধি জানান, গত অর্থবছরে এই জেলার ৬৮৯ জন দিব্যাঙ্গজনকে বিভিন্ন চলন সামগ্রী, শ্রবণ যন্ত্র ইত্যাদি দেওয়া হয়েছে। রাজ্য সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পে ২৯,৬৯১ জন সামাজিক ভাতা পাচ্ছেন। ১,৫৮৮ জন দিব্যাঙ্গজন এই সামাজিক ভাতা প্রাপকের মধ্যে রয়েছে। শ্রম দপ্তরের প্রতিনিধি জানান, নির্মাণ শ্রমিক কল্যাণ প্রকল্পে জেলায় ৩,৯৮২ জন নির্মাণ শ্রমিক নথিভুক্ত রয়েছেন। অনলাইনে নাম নথিভুক্ত করেছেন ২,৪৮৫ জন শ্রমিক। চলতি অর্থবছরে শিক্ষা অনুদান পাওয়ার জন্য ৬৫১ জন আবেদন করেছেন। এরমধ্যে ৬০ জনের আবেদন মঞ্জুর করা হয়েছে।
পর্যালোচনা সভায় উত্তর ত্রিপুরা জিলা পরিষদের সভাধিপতি ভবতোষ দাস, জেলাশাসক নাগেশ কুমার বি, অতিরিক্ত জেলাশাসক এল দারলং, ধর্মনগর মহকুমার মহকুমা শাসক বিবেক এইচ বি, কাঞ্চনপুরের মহকুমা শাসক রাহুল মোদি, সিএমও ড. অরুণাভ দাসগুপ্ত সহ বিভিন্ন দপ্তরের আধিকারিকগণ উপস্থিত ছিলেন। যুব বিষয়ক ও ক্রীড়া মন্ত্রী টিংকু রায় আজই জম্পুইহিল, দশদা ও দামছড়া কমন সার্ভিস সেন্টারের জন্য ৩টি ভ্যান গাড়ির চাবি সংশ্লিষ্টদের হাতে তুলে দেন। ডিজিটাল ইন্ডিয়া কর্মসূচির অঙ্গ হিসেবে এই প্রকল্পটি রূপায়ণ করছে ত্রিপুরা গ্রামীণ জীবিকা মিশনের উত্তর ত্রিপুরা ডিস্ট্রিক্ট মিশন ম্যানেজমেন্ট ইউনিট। মোবাইল কমন সার্ভিস সেন্টার পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সংশ্লিষ্ট ব্লকগুলির অধীনে থাকা একটি করে ভিলেজ অর্গানাইজেশনকে।