Hare to Whatsapp
দিল্লি হাটে ত্রিপুরার ক্যুইন আনারস-এর বিপণন কেন্দ্রের সূচনা
নিজস্ব প্রতিবেদন
আগরতলা, মে ১৯, : দিল্লি হাটে অনুষ্ঠানিক ভাবে ১৮ মে ত্রিপুরার ক্যুইন আনারস বিপননের সূচনা হয়েছে। এই অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় কৃষি ও কৃষক কল্যাণ মন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র সিং তোমর। অনুষ্ঠানে ত্রিপুরার কৃষি ও কৃষক কল্যাণ, ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী শ্রী রতনলাল নাথও উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে, শ্রী তোমর বলেন যে উত্তর-পূর্ব অঞ্চলের উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে ভারত সরকার যে অগ্রাধিকার দিয়েছে, সরকার ওই অগ্রাধিকারের ক্ষেত্রগুলোতে লক্ষ্য পূরণে ক্রমাগত কাজ করছে । তিনি বলেন, এটি আনন্দের বিষয় যে প্রধানমন্ত্রী শ্রী মোদীর ক্রমাগত অনুপ্রেরণার ফলে ত্রিপুরা সহ উত্তর-পূর্বাঞ্চলের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড এগিয়ে চলেছে।
দিল্লি হাট, আইএনএ-তে ত্রিপুরা সরকার এবং রাজ্য কো-অপারেটিভ সাপ্লাই অ্যান্ড মার্কেটিং ফেডারেশন (সিমফেড) আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শ্রী তোমর বলেছেন যে, উত্তর-পূর্ব অঞ্চল আমাদের সকলের প্রাধান্যের ক্ষেত্র । এই অঞ্চল আগে অবহেলিত ছিল এবং এর জন্য বাজেট বরাদ্দও কম ছিল। প্রধানমন্ত্রী শ্রী মোদী নিজে ৯ বছরে ৫২ বার উত্তর-পূর্ব সফর করেছেন। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরাও তাঁর নির্দেশে সেখানে নিয়মিত সফর করছেন। এর পেছনে, প্রধান লক্ষ্য হল উত্তর-পূর্বের যে কোনও অসুবিধার সমাধান করা, উন্নয়নের পথ প্রশস্ত করা। এই লক্ষ্য পূরণ করতে উত্তর-পূর্ব অঞ্চলের উন্নয়ন মন্ত্রক (ডোনার)ও ক্রমাগত সক্রিয় এবং এই অঞ্চলের অগ্রগতির জন্য পরিকল্পনা বাস্তবায়নে নিযুক্ত রয়েছে। তিনি বলেন, বর্তমানে, প্রধানমন্ত্রী শ্রী মোদীর নেতৃত্বে ভারত সরকার এই রাজ্যগুলির সাথে সম্পূর্ণভাবে পাশে আছে। ভবিষ্যতেও কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যগুলির সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করে যাবে। কেন্দ্রীয় সরকার এই অঞ্চলে পাম তেল গাছের চাষের প্রসার ঘটাতে একটি মিশনও চালাচ্ছে, যা কৃষকদের উপকৃত করবে।
মন্ত্রী তোমর বলেছেন যে উত্তর-পূর্ব অঞ্চলে জৈব চাষে অনেক সাফল্য এসেছে, সিকিমকে জৈব রাজ্য হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছে, অন্যদিকে ত্রিপুরাও এই পথে এগিয়ে চলেছে, যা প্রশংসনীয়। শ্রী তোমর বলেন, উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলিতে কৃষির অনেক উন্নতি হচ্ছে। এখাতের পণ্য বিশ্ববাজারে তাদের অবস্থান তৈরি করেছে এবং রপ্তানি বাড়ছে। উত্তর-পূর্বাঞ্চলে কৃষি ও উদ্যানপালনের বিকাশের প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে। তিনি বলেন, উত্তর-পূর্বাঞ্চলের কৃষকরা জৈব চাষের মাধ্যমে লাভবান হচ্ছেন।
দিল্লি হাটের এই অনুষ্ঠানে, ত্রিপুরার জৈব ফল ক্যুইন আনারসের স্বতন্ত্রতা, গুণমান এবং উপযোগিতা প্রদর্শন করা হয় এবং একটি টেস্টিং অধিবেশনও অনুষ্ঠিত হয়। উত্তর-পূর্বাঞ্চলের উন্নয়ন মন্ত্রকের সচিব শ্রী লোক রঞ্জন, ত্রিপুরার কৃষি সচিব শ্রী অপূর্ব রায়, কৃষি অধিকর্তা শ্রী শরদিন্দু দাস, উদ্যান চাষ দপ্তরের অধিকর্তা ড. ফণিভূষণ জামাতিয়া, নেরাম্যাক এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর রাজীব অশোক, সিমফেড এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর ভাস্কর বাসনেট অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও, কেন্দ্র ও ত্রিপুরা সরকারের বিভিন্ন আধিকারিক, এফপিসি সদস্য এবং উত্তর পূর্বের সাথে সম্পর্কিত সংস্থাগুলির প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।