Hare to Whatsapp
১৬ মে থেকে রাজ্যের ন্যায্যমূল্যের দোকানে প্যাকেটজাত গুঁড়া মশলা : খাদ্য, জনসংভরন ও ক্রেতাস্বার্থ বিষয়ক দপ্তরের মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী
নিজস্ব প্রতিবেদন
আগরতলা, মে ১৫, : রাজ্য সরকার গণবন্টন ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করতে বহুমুখী কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এই লক্ষ্যে আগামী ১৬ মে থেকে লংতরাই’র মরিচ, হলুদ, জিরা ও ধনিয়ার প্যাকেটজাত গুঁড়া মশলা রাজ্যের মোট ২০৫০টি সরকারি ন্যায্যমূল্যের দোকানের মাধ্যমে প্রতিঘরে ভর্তুকিমূল্যে পৌছে দেওয়া হবে। ১৬ মে সকাল ১১টায় রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনে এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা। অনুষ্ঠানে রাজ্যের ৮ জেলার ৮ জন ভোক্তার হাতে মুখ্যমন্ত্রী প্যাকেটজাত গুঁড়া মশলা তুলে দেবেন। অনুষ্ঠানে আলোচনাচক্র ও মতবিনিময় সভাও অনুষ্ঠিত হবে। ১৪ মে গোর্খাবস্তীস্থিত খাদ্য, জনসংভরণ ও ক্রেতাস্বার্থ বিষয়ক দপ্তরের কনফারেন্সহলে দপ্তরের এক প্রস্তুতি সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রস্তুতি সভায় সভাপতিত্ব করেন খাদ্য, জনসংভরন ও ক্রেতাস্বার্থ বিষয়ক দপ্তরের মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী। উপস্থিত ছিলেন খাদ্য, জনসংভরণ ও ক্রেতাস্বার্থ বিষয়ক দপ্তরের সচিব রাভেল হেমেন্দ্র কুমার, অধিকর্তা নির্মল অধিকারী, অতিরিক্ত অধিকর্তা অনিমেষ দেববর্মা, তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের অধিকর্তা বিম্বিসার ভট্টাচার্য, লংতরাই গুঁড়া মশলা প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার রতন দেবনাথ, ত্রিপুরা সরকারি ন্যায্যমূল্য দোকান পরিচালন সমিতির সভাপতি উত্তম কুমার ঘোষ, দপ্তরের পদস্থ আধিকারিকগণ ও ডিলারগণ।
প্রস্তুতি সভার পর খাদ্য, জনসংভরণ ও ক্রেতাস্বার্থ বিষয়ক মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী সাংবাদিকদের জানান, রাজ্য সরকার গণবন্টন ব্যবস্থার মাধ্যমে রাজ্যের প্রত্যেক ভোক্তার ঘরে নতুন নতুন জিনিস পৌঁছে দেবার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। গণবন্টন ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করতে সরকার নায্যমূল্যের দোকানের মাধ্যমে ভর্তুকীমূল্যে প্যাকেটজাত গুঁড়া মশলা ভোক্তাদের দেওয়া হবে। সরকারের লক্ষ্য আরও বেশী নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রী ভর্তুকীমূল্যে রাজ্যের মানুষের কাছে পৌছে দেওয়া। লংতরাই গুঁড়া মশলা প্রতিষ্ঠানের মরিচ, হলুদ, জিরা ও ধনিয়ার প্যাকেটজাত গুঁড়া মশলা ন্যায্যমূল্যের দোকানের মাধ্যমে দেওয়া হবে। টেন্ডারের মাধ্যমে এই সংস্থাকে বরাত দেওয়া হয়েছে। খাদ্যমন্ত্রী জানান, রাজ্যে ৯ লক্ষের উপর রেশন কার্ড হোল্ডার রয়েছেন। এই ৪টি গুঁড়া মশলা ভর্তুকীমূল্যে রাজ্যের মোট ২০৫০টি ন্যায্যমূল্যের দোকানের মাধ্যমে ভোক্তাদের ঘরে পৌঁছে দেওয়া হবে। আগামীদিন সরিষার তৈল থেকে শুরু করে অন্যান্য নতুন নতুন জিনিস যাতে মানুষকে বেশী দাম দিয়ে কিনতে না হয় তার প্রচেষ্টা নেওয়া হয়েছে।