Hare to Whatsapp
রাজ্যের চার জেলায় কমলা সতর্কতা জারি
নিজস্ব প্রতিবেদন
আগরতলা, মে ১৪, : অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোকা’র প্রভাব সরাসরি রাজ্যের উপর পড়বে না। কিন্তু এর প্রভাবে আগামীকাল বিকাল থেকে ১৭ মে পর্যন্ত রাজ্যের কিছু কিছু এলাকায় ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে। বাতাসের গতিবেগ থাকবে সর্বোচ্চ ঘন্টায় ৭০ কিলোমিটার। এজন্য রাজ্যের দক্ষিণ ত্রিপুরা, গোমতী, ধলাই এবং উত্তর ত্রিপুরায় কমলা সতর্কতা (সতর্ক এবং প্রস্তুতি রাখা) এবং বাকি জেলাগুলিতে হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। ১৩ মে রাজ্য অতিথিশালার কনফারেন্স হলে এক সাংবাদিক সম্মেলনে একথা জানান দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার স্টেট প্রোজেক্ট অফিসার শরৎ দাস। সাংবাদিক সম্মেলনে রাজস্ব দপ্তরের বিশেষ সচিব অনিন্দ্য কুমার ভট্টাচার্য বলেন, মোকা মোকাবিলায় আজ মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহার সভাপতিত্বে এক উচ্চপর্যায়ের পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। পর্যালোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন মুখ্যসচিব জে কে সিনহা, আগরতলাস্থিত আবহাওয়া দপ্তরের অধিকর্তা নেহুল কুলকর্নি। সাংবাদিক সম্মেলনে রাজস্ব দপ্তরের বিশেষ সচিব জানান, সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড়ের দ্বারা সৃষ্ট ক্ষয়ক্ষতি কমানোর জন্য রাজ্য ও জেলা প্রশাসনকে প্রস্তুত থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রাজ্য ও জেলা পর্যায়ে ইতিমধ্যেই খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম।
সাংবাদিক সম্মেলনে আরও জানানো হয়, ঘূর্ণিঝড়ের বিষয়ে জনসাধারণকে অবগতি করার জন্য দুটি হেল্পলাইন নম্বর চালু করা হয়েছে। এই নম্বর দুটি হল রাজ্যস্তরের জন্য ১০৭০ এবং জেলা পর্যায়ের জন্য ১০৭৭। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার স্টেট প্রোজেক্ট অফিসার শরৎ দাস আরও জানান, এনডিআরএফ, এইচডিআরএফ, আপদামিত্র, সিভিল ডিফেন্সের কর্মীদের সতর্ক করা, রাজ্যের ৩৬টি স্থানে দুর্যোগ মোকাবিলায় যে সকল সামগ্রী রয়েছে সেগুলিকে প্রস্তুত করে রাখা বন্যা প্রবণ অঞ্চলগুলিতে ত্রাণ শিবির খোলা, খাদ্য, পানীয়জল, স্বাস্থ্য ইত্যাদি বিষয়ক সুনিশ্চিত করার জন্য জেলাশাসকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আগরতলা শহর জলমগ্ন হলে জল নিষ্কাশনের পাম্পগুলি যাতে যথা সময়ে কাজ করে তার জন্য পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। রাজ্যবাসীদের ঘূর্ণিঝড় সম্পর্কে সচেতন করার জন্য প্রত্যেক ৩ ঘন্টা অন্তর অন্তর স্পেশাল বুলেটিনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়াও আবহাওয়া দপ্তর থেকে মোবাইল ম্যাসেজের মাধ্যমে সকলকে সচেতন করা হচ্ছে। কৃষি ও কৃষক কল্যাণ দপ্তরকে ঘূর্ণিঝড়ের ফলে কৃষকদের ফসল নষ্ট হলে তাদেরকে সত্বর সরকারি সহায়তা করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আগরতলাস্থিত আবহাওয়া দপ্তরের অধিকর্তা নেহুল কুলকর্নি, তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের অধিকর্তা বিম্বিসার ভট্টাচার্য ও যুগ্ম অধিকর্তা সঞ্জিব চাকমা।